বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে হত্যা করার চক্রান্ত

 


অনেকদিন আগেকার কথা শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তিল তিল করে গড়ে তুলছেন দেওঘর আশ্রম। শ্রী শ্রী ঠাকুরের আশ্রম দেখে পান্ডাদের মনে আক্রোশ বৃদ্ধি পেল।

 পান্ডারা একজন ডাকাতকে ঠিক করল।ওই ডাকাতকে অনেক পয়সার বিনিময়ে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে হত্যা করার জন্য একটি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে শ্রী শ্রী ঠাকুরের আশ্রম দেওঘরে পাঠান।

 ওই কুখ্যাত ডাকাত আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেওঘরে আশ্রয় নেয়। ওই ডাকাত দেখলো আমি বেশ ভালোই আছি। শ্রী শ্রী ঠাকুরের খাবার খাচ্ছি আর ঘুরে বেড়াচ্ছি।এই ভাবে দিন কতক কাটিয়ে যাওয়া যাক।

ওই ডাকাত মনে মনে ভাবল ওই হাফ হাফ ধুতি পরা লোকটাকে মারতে আমার এক মিনিট সময় লাগবে।আমি দিন কতক এখানে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুরে বেড়াই।

 একদিন এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো _ যেহুতু লোকটি কুখ্যাত ডাকাত ছিল সেই জন্য তার নামে ওয়ারেন্ট বেরিয়েছে।পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে ওই ডাকাত শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে আছে।

একদিন সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী দেওঘরে এসে শ্রী শ্রী ঠাকুর কে জিজ্ঞাসা করলেন এখানে কোন ডাকাত এসেছে কিনা।

 শ্রী শ্রী ঠাকুর অন্তর্যামী তিনি সবই জানতেন কিন্তু পুলিশকর্মীদের তিনি মিথ্যে কথা  বললেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন এখানে সেরকম কেউ নেই তাছাড়া থাকলো আপনারই হাতে তুলে দিতাম না। 

ওই কুখ্যাত ডাকাত তখন আড়াল থেকে সব শুনছিল।শ্রী শ্রী ঠাকুরের সমস্ত কথা শোনার পর পুলিশকর্মী  যখন চলে গেলেন তখন ওই কুখ্যাত ডাকাত শ্রী শ্রী ঠাকুরের কাছে এসে পায়ে পড়ে গেল।

শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বলল আমি খুবেই পাপী। আমি যার জীবন নিতে চেয়েছিলাম তিনি  আমার জীবন রক্ষা করলেন।

 ওই ডাকাত পান্ডার এর সঙ্গে চুক্তি হওয়ার সমস্ত কথা শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বললেন।

 যুগো  পুরুষোত্তমম্ পরম  দয়ালের আশ্রম দেওঘরে ওই ডাকাতের পুনর্জনম হলো অর্থাৎ ঠাকুরের সৎ দীক্ষায়  দীক্ষিত হয়ে।

 বেশ কিছুদিন পর শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তার পবিত্র পাঁজা এবং পবিত্র দন্ড দিয়ে একজন ডাকাত থেকে শ্রী শ্রী ঠাকুরের পাঞ্জাধারী কর্মীতে পরিণত করলেন।

 এই হলেন আমার দয়াল ঠাকুর। 


বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০

এক কৃপণ মায়ের কথা

 



পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত যারা। তারা প্রত্যেকেই জল গ্রহণের পূর্বে পরম পিতার ভোগ হিসাবে যৎকিঞ্চিৎ কাঞ্চন মুদ্রা ইস্ট ভৃতি নিবেদন করি। বেশিরভাগ মানুষ টাকা-পয়সার উপর লোভ বেশী। তাই সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত যারা  ঠাকুরের ভোগ হিসাবে প্রত্যেকেই নিবেদন করেন।।                                                                   একদিন এক সন্ন্যাসী এক গৃহস্থের বাড়িতে ভিক্ষা নিতে যান।কিন্তু সন্ন্যাসী যতবার ভিক্ষা চেয়েছেন ওই বাড়ির মা কিছু অজুহাত দিয়ে ভিক্ষা দেননি।            ওই মাটি যখন বারবার ব্যস্ততাই দেখাচ্ছেন তখন ওই সন্ন্যাসী বললেন আপনার বাড়িতে রান্না হয়।। ঐ মা টি বললেন তা হবে না কেন? প্রত্যহ রান্না হয়। তখন ঐ সন্ন্যাসী বললেন আপনার বাড়িতে উনুনে যে ছাই হয়েছে তা আমাকে দেন।            তখন ওই মা বললেন ওই উনুনের ছাই আপনার কী কাজে লাগবে? তখন ঐ সন্ন্যাসী বলল  আমার কিছু কাজে লাগবে না তোমার ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগবে। তখন ঐ মা সমস্ত কথা জানতে চাইলেন। তখন ওই সন্ন্যাসী বললেন কাউকে কিছু না দিয়ে দিয়ে আপনি কোন conjugate  হয়ে গেছেন। আপনার গর্ভে যে সন্তান জন্ম গ্রহন করবে  সেও conjugated হয়ে যাবে। ফলে আপনার বার্ধক্য সময়ে আপনাকে আপনার সন্তান দু মুঠো ভাত দেবে না। তাই আপনিও উনুনের ছাই যদি আমাকে দেন আপনার দেয়ার হাত খুলে গেলে।আপনার গর্ভে যে সন্তান হবে সে আপনার ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নেবে। এই বলে সন্ন্যাসী সেখান থেকে চলে গেলেন।                                                  তাই আমরা পরমপিতা কে ভোগ নিবেদন করি ইষ্টভৃতির মাধ্যমে যাতে আমাদের বার্ধক্য জীবন  ঐ মা টির মতো কাটাতে না হয়।

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের পুণ্য পুথি প্রকাশ

 শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ডাক্তারি ডিপ্লোমা ডিগ্রী পাওয়ার পর  হিমায়েতপুরে ডাক্তারি শুরু করলেন।তিনি দুঃস্থ মানুষদের চিকিৎসা করতেন তিনি টাকাপয়সা তো নিতেই না বরং উল্টে তাদের টাকা দিতেন। মাঝেমধ্যে তাদের চাষের সবজি ফল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে দিলে শ্রী শ্রী ঠাকুর তা গ্রহণ করতেন।


 এইভাবে তিলে তিলে সঞ্চয় করে কীর্তনের  দল গঠন করলেন। তার কীর্তনের দল সব জাতী ধর্মালম্বী  মানুষ কীর্তনে শামিল হত। শ্রী শ্রী ঠাকুর সমস্ত জাতি ধর্মের পতি অনুরাগী ছিলেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বলতেন ধর্ম এক ধর্ম বিভিন্ন হয়না। আমার মতে এক-একটা মত।

 এরকম কীর্তন করতে করতে ভাব মত্ত অবস্থায়  শ্রী শ্রী ঠাকুরের সমাধি ঘটতো। ঐ সমাধি অবস্থায়  ডাক্তার তখন শ্রী শ্রী ঠাকুরের পার্স পেতেন না।সেই সময় শ্রী শ্রী ঠাকুর ভাব মস্ত অবস্থায়  ঠাকুর যে বাণী বলতেন সেই বাণী লিপিবদ্ধ করে রাখা হতো। এইভাবে লিপিবদ্ধ করতে করতে 72 দিনের বাণী সমূহ একত্রিত করে পুস্তকাকারে লিপিবদ্ধ  করা হয় যা আমাদের কাছে পুণ্যপুথি বা ভাব বাণী হিসাবে পরিচিত।


শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত একগুরু ভাইয়ের জগন্নাথ দর্শন


 যুগো পুরুষোত্তমম পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত এক গুরুভাই অনেকদিন ধরেই শ্রী শ্রী ঠাকুর এর কাছে ছিলেন। তার অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরে যাওয়ার।

 জগন্নাথ দেবের দর্শন করার ইচ্ছা মনে বারবার উঁকি দিচ্ছিল। একদিন ওই গুরুভাই পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের কাছে বললেন ঠাকুর আমার অনেক দিনের ইচ্ছা পুরীর জগন্নাথ  দেবের মন্দিরে যাওয়ার। 

মন্দিরে যাওয়ার কথা বলতেই শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন পুরীর মন্দিরে যাবি তো? ওই গুরু ভাই বলল হে ঠাকুর আমার অনেক দিনের ইচ্ছা তা পূরণ করতে চাই। শ্রী শ্রী ঠাকুর জগন্নাথ দেবের দর্শনের জন্য ঐই গুরু ভাই কে  অনুমতি দিলেন।

 একদিন ওই গুরুভাই সমস্ত ভাবে তৈরি হয় জগন্নাথ  দেবের দর্শনের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।পুরীতে পৌঁছে যখন জগন্নাথ দেবের মন্দিরে গেলেন ওই গুরুভাই দেখলেন জগন্নাথ দেবের মন্দিরে জগন্নাথের জায়গায় যুগো পুরুষোত্তমম পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সেই জায়গায় বসে আছেন।

 শ্রী শ্রী ঠাকুর কে দেখে ওই গুরুভাই শ্রী শ্রী ঠাকুরকে প্রণাম করে দেওঘরে ফিরে এলেন। পরেরদিন সকালবেলায় ওই গুরুভাই শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।ওই গুরু ভাইকে দেখে শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন জগন্নাথ দেবের দর্শন হয়েছে তো ?। কই গুরু ভাই বলল হ্যাঁ ঠাকুর আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।

 শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন _ "জীবন নাথকে ছেড়ে তুই  জগন্নাথ কে দেখতে গেলি।জীবন নাথেই যে জগন্নাথ হেলায় তা তুই সব হারালি"। 33 কোটি দেবতার সমারোহে যুগো পুরুষোত্তমের সৃষ্টি। তাই আমাদের প্রতি প্রত্যেকের উচিত অন্ততপক্ষে যারা শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত  তাদের ঠাকুরকে নিয়ে চলা উচিত।

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের নাতি পরমপূজ্যপাদ বর্তমান আচার্যদেব শ্রীশ্রী দাদার 88 তম জন্ম দিবস

 


পরম দয়ালু শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের নাতি  পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রী দাদার  88 তম জন্ম দিবস আজ ইংরেজি 21/10 /2020।

 আজ একটি বিশেষ দিন এই বিশেষ দিনে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে দেওঘরে।কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার জন্য সমস্ত কিছু অনুষ্ঠান বন্ধ করা  হয়েছে।

 আচার্যদেব শ্রীশ্রী দাদা বললেন আগামী বৎসর সবকিছু ঠিক  হয়ে যাবে। 2021 সালের শ্রীশ্রী দাদার শুভ 89 তম জন্মদিন আমরা সকলে দেওঘরে থেকে আনন্দ উৎসবে মাতো হারা হয়ে থাকতে পারবো বলে আশা করি।

 আচার্য দাদা কারো নিন্দা করতে বারণ করলেন। শ্রীশ্রী দাদা বললেন কেউ খারাপ এ কথা বলতে নেই। তার যে ভালো গুণ টুকু আছে সেইটুকু আমরা নেব। লোকের খারাপ দেখলে সেই দোষ নিজের উপর আসে।

আচার্যদেব শ্রীশ্রী দাদা নাম ধ্যানে জন্য  জোর দিতে বললেন।শ্রী শ্রী দাদা বললেন  নিষ্ঠার সঙ্গে নাম ধ্যান করলে আমাদের নিজের ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়। একাগ্রভাবে নাম ধ্যান  করলে লক্ষ্য স্থির থাকার ক্ষমতা বাড়ে।

 আজ আমরা বাড়িতে বসেই পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের নাতি পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব দাদাকে স্মরণ করে দিন কাটাতে হল।   


 

রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জন্ম রহস্য ও জন্ম মহোৎসব

 


 


বাংলার  1295 বঙ্গাব্দে  শুক্রবার 30 শে ভাদ্র তাল নবমী তিথিতে যুগো  পুরুষোত্তম পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সকাল 7টা05 মিনিটে পাবনার হিমায়েতপুরে মাতা মনমোহিনী দেবীর কোল আলো করে  ধরাধামে অবতীর্ণ হন।

পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুরের প্রতিবছর দেওঘর আশ্রমে জন্ম মহোৎসব পালিত হয়।সাধারণত বছরের শেষ ভাগে এই উৎসব পালিত হয়।

 এবছর করোনাভাইরাস বিশ্ব মহামারীর রূপ নেওয়ায় দেওঘর আশ্রম এবং শ্রী শ্রী ঠাকুরের সমস্ত কেন্দ্র মন্দিরে  ঠাকুরের সব রকমের উৎসব থেকে সকলকে বিরত থাকার জন্য আদেশ এসেছে।

দুই হাজার কুড়ি (2020) সালে পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জন্ম মহোৎসব তৎসহ ঋত্বিক কনফারেন্স 28 ও 29 অক্টোবর ঘোষিত হলোও কোন প্রকার অনুষ্ঠান দেওঘর আশ্রমে  অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হয়।

 এই করোনাভাইরাস বিশ্ব মহামারীর হাত থেকে যতদিন না রক্ষা পাচ্ছি কোন প্রকার অনুষ্ঠান না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।  

যদি করোনাভাইরাস এর টিকাকরণ সমস্ত বিশ্ববাসীকে দেওয়া সম্ভব হয় তাহলেই সকল প্রকার অনুষ্ঠান করার আর কোনো বাধা থাকবে না। 

আশা করছি আগামী বছর অর্থাৎ 2021 সাল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের কৃপায় ঠাকুরের জন্ম মহোৎসব দেখার সুযোগ আমরা সকলেই পাব।


 

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০

ভগবান শ্রী বিষ্ণু ও নারদ মুনির কথা

 


ভগবান শ্রী বিষ্ণু একদিন নারদ মুনির অহং দূর করার জন্য  একটি পরিকল্পনা করলেন।                   ভগবান শ্রীবিষ্ণু নারদ মুনি কে কাছে দেখতে পেয়ে মর্তভূমিতে  একটি কুঁড়েঘর দেখিয়ে বললেন ওই কুঁড়েঘরে ওই যে মানুষটিকে দেখতে পাচ্ছেন ও আমার পরম ভক্ত। এই কথা শুনে নারদ মুনির খুব রাগ হল।নারদ মুনি বললেন আমার থেকে পরম ভক্ত আপনারা আর কেউ নেই।

 তখন বিষ্ণুদেব বললেন _ ঠিক আছে নারদ আপনি একটি পরীক্ষা দেন। ভগবান বিষ্ণুর কথামতো নারদ মুনি পরীক্ষা দিতে রাজী হলেন।                       বিষ্ণুদেব বললেন আপনি একটি ঘটিতে করে এক ঘটি তেল নিয়ে  পুরো ব্রহ্মাণ্ড ঘুরে আসুন। দেখবেন যাতে একফোঁটাও তেল মাটিতে না পড়ে।তাহলে আমি জানব আপনি পরম ভক্ত। সেই কথামতো নারদ মুনি এক ঘটি তেল নিয়ে  পুরো ব্রহ্মাণ্ড  ঘুরার সিদ্ধান্ত নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। তিনি সব সময় লক্ষ্য রাখছিলেন যাতে এক ফোটা তেল না পড়ে।

 পুরো ব্রহ্মাণ্ড ঘুরে আসার পর নারদ মুনি বললেন আমি এক ফোটা তেল না ফেলে ঘুরে এসেছি তাই আমি আপনার প্রিয় ভক্ত। ভগবান শ্রী বিষ্ণু বললেন আপনি আপনি যখন পরিক্রমণ করছিলেন তখন কতবার আমাকে স্মরণ করেছিলেন।তখন নারদ মুনি বললেন আপনার কথা কি মনে করবো। আমিতো এই ঘটির তেল নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আপনার কথা স্মরণ করতে পারিনি। তখন ভগবান শ্রীবিষ্ণু বললেন ওই কুঁড়েঘরে যে বাস করে সে প্রতিদিন আমাকে স্মরণ না করে থাকেনি।

 নারদ মুনি সব শুনে লজ্জিত হলেন।                          তাই আমাদেরও দরকার পরম পিতা কে প্রত্যহ স্বরন করা।

শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রও ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় এবং এক মায়ের ঘটনা

 


যুগো পুরুষোত্তমম পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত  স্বত্যয়নী ব্রত পালন করা এক মা অসুস্থ হয়ে ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের কাছে চিকিৎসার জন্য যান। ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় সব রকম পরীক্ষা করে বললেন আমি কিছু ওষুধ দিচ্ছি ওই ওষুধগুলো খাবেন সেইসঙ্গে আপনি বাড়িতে প্রতিদিন আড়াইশো গ্রাম মুরগির ছানার ঝোল খাবেন। অর্থাৎ ছোট ছোট মুরগির বাচ্চার মাংস আড়াইশো গ্রাম করে খাবেন। তা যদি না খান তাহলে আর আপনি বাঁচবেন না।এই কথা শুনে ওই মা টি বাড়ি চলে আসেন।                 
          এই মাটি স্বত্যয়নী ব্রত গ্রহণ করার জন্য  তিনি নিরামিষ আহার গ্রহণ করেন। স্বত্যয়নী ব্রত যারা গ্রহণ করেন তারা  মাছ মাংস পেঁয়াজ রসুন গ্রহণ করেন না।

 এই মাটি কোন কিছু উপায় না পেয়ে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে জান।    সকল সমস্যার সমাধান জানবি ইষ্ট প্রতিষ্ঠান।           ওই মা ডঃ বিধান চন্দ্র রায় যা বলেছিলেন তা শ্রীশ্রী  ঠাকুরকে বললেন। ঠাকুর সমস্যা সমাধান করে দিলেন। শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন _ আপনি গরম ভাতে গরম ছানা কুলে খাড়া ঝোল খাবেন।

ওই মা ঠাকুরের কথামতো খাবার খেয়ে এক মাস পর ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের কাছে আবার জান।ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ঐ মাকে দেখে  বললেন আপনি আমার কথামত খেয়েছেন বলে  ভালো হয়ে গেছেন। তখন ওই মা বললেন না ডাক্তার বাবু আমি পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের  সৎ দিক্ষায়  দিক্ষিত সেই সঙ্গে স্তত্যয়নী ব্রত পালন করি আমি নিরামিষ আহার গ্রহন করি।

 তাই আপনার বলা খাবার না খেয়ে আমার পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের বলা খাবার গরম ভাতে গরম ছানা কুলেখাড়ার ঝোল খেয়ে আমি ভালো হয়েছি। 

সব কথা শুনে ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। 

পরবর্তীকালে ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সান্নিধ্যে যান।

 


বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০

কলকাতার এক অদীক্ষিত জমিদারের জীবন রক্ষার কথা


 কলকাতার এক বিখ্যাত জমিদার তিনি এক ঋত্বিক দাদার বারবার যাজনের  পর  সপরিবারে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে  যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।       
                                                        ওই জমিদার সপরিবারে নিজে গাড়ি নিয়ে দেওঘরের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। কিছুদুর যাওয়ার পর যখন রাত্রি বারোটা বাজছে তখন তার গাড়িটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। তখন অনেক রাত্রি হয়েছে মেকানিক নেই। অগত্যা সেই জায়গায় সকাল হওয়া পর্যন্ত ওই গাড়িতে কাটাতে হলো।                                               ওই জমিদারের লোক যখন গাড়ি সারানোর জন্য মেকানিক  নিয়ে এলেন তখন ওই মেকানিক জিজ্ঞাসা করলেন আপনারা কোথায় যাচ্ছিলেন বলুন তো? তখন ওই জমিদার বিদ্রূপের  সঙ্গে জানালেন অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘর।                                                                                       তখন ওই মেকানিক বললেন তাই আপনারা রক্ষা পেলেন।                             তখন ওই জমিদার সবিস্তারে ওই মেকানিকের কাছে জানতে চাইলেন কী ঘটনা ঘটেছিল। তখন ওই মেকানিক বললেন আপনাদের গাড়ি কখন খারাপ হয়েছিল? তখন ওই জমিদার বললেন রাত্রি বারোটার পাশাপাশি।                                                                                                                                                তখন ওই দাদা বললেন রাত্রি বারোটার পর থেকে ভোর 3 টা পর্যন্ত ছিনতাই হয়েছে। ঐই সময় যত গাড়ি গেছে  প্রত্যেকে টাকাপয়সা এমনকি মার ধোরা হয়েছে। কিছু মানুষ হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন। তখন ওই কলকাতা জমিদার বাবু ঠাকুরের কথা বুঝতে পারলেন।                                           পরম পূজনীয় বাবাই দা তাই বললেন কেও যদি অদীক্ষিত হয়  পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘর এলে তারও অকল্যাণ হয় না। 

পুত্র সন্তান লাভ করার তূক

 পরম দয়াল পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র পুত্র সন্তান হওয়ার একটি তুক দিলেন।  অনেক মায়েদের অনেক দিন বিবাহর পরেও যাদের কোন সন্তা...