বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে হত্যা করার চক্রান্ত

 


অনেকদিন আগেকার কথা শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তিল তিল করে গড়ে তুলছেন দেওঘর আশ্রম। শ্রী শ্রী ঠাকুরের আশ্রম দেখে পান্ডাদের মনে আক্রোশ বৃদ্ধি পেল।

 পান্ডারা একজন ডাকাতকে ঠিক করল।ওই ডাকাতকে অনেক পয়সার বিনিময়ে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে হত্যা করার জন্য একটি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে শ্রী শ্রী ঠাকুরের আশ্রম দেওঘরে পাঠান।

 ওই কুখ্যাত ডাকাত আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেওঘরে আশ্রয় নেয়। ওই ডাকাত দেখলো আমি বেশ ভালোই আছি। শ্রী শ্রী ঠাকুরের খাবার খাচ্ছি আর ঘুরে বেড়াচ্ছি।এই ভাবে দিন কতক কাটিয়ে যাওয়া যাক।

ওই ডাকাত মনে মনে ভাবল ওই হাফ হাফ ধুতি পরা লোকটাকে মারতে আমার এক মিনিট সময় লাগবে।আমি দিন কতক এখানে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুরে বেড়াই।

 একদিন এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো _ যেহুতু লোকটি কুখ্যাত ডাকাত ছিল সেই জন্য তার নামে ওয়ারেন্ট বেরিয়েছে।পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে ওই ডাকাত শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে আছে।

একদিন সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী দেওঘরে এসে শ্রী শ্রী ঠাকুর কে জিজ্ঞাসা করলেন এখানে কোন ডাকাত এসেছে কিনা।

 শ্রী শ্রী ঠাকুর অন্তর্যামী তিনি সবই জানতেন কিন্তু পুলিশকর্মীদের তিনি মিথ্যে কথা  বললেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন এখানে সেরকম কেউ নেই তাছাড়া থাকলো আপনারই হাতে তুলে দিতাম না। 

ওই কুখ্যাত ডাকাত তখন আড়াল থেকে সব শুনছিল।শ্রী শ্রী ঠাকুরের সমস্ত কথা শোনার পর পুলিশকর্মী  যখন চলে গেলেন তখন ওই কুখ্যাত ডাকাত শ্রী শ্রী ঠাকুরের কাছে এসে পায়ে পড়ে গেল।

শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বলল আমি খুবেই পাপী। আমি যার জীবন নিতে চেয়েছিলাম তিনি  আমার জীবন রক্ষা করলেন।

 ওই ডাকাত পান্ডার এর সঙ্গে চুক্তি হওয়ার সমস্ত কথা শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বললেন।

 যুগো  পুরুষোত্তমম্ পরম  দয়ালের আশ্রম দেওঘরে ওই ডাকাতের পুনর্জনম হলো অর্থাৎ ঠাকুরের সৎ দীক্ষায়  দীক্ষিত হয়ে।

 বেশ কিছুদিন পর শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তার পবিত্র পাঁজা এবং পবিত্র দন্ড দিয়ে একজন ডাকাত থেকে শ্রী শ্রী ঠাকুরের পাঞ্জাধারী কর্মীতে পরিণত করলেন।

 এই হলেন আমার দয়াল ঠাকুর। 


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পুত্র সন্তান লাভ করার তূক

 পরম দয়াল পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র পুত্র সন্তান হওয়ার একটি তুক দিলেন।  অনেক মায়েদের অনেক দিন বিবাহর পরেও যাদের কোন সন্তা...