যুগো পুরুষোত্তমম পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত এক গুরুভাই অনেকদিন ধরেই শ্রী শ্রী ঠাকুর এর কাছে ছিলেন। তার অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরে যাওয়ার।
জগন্নাথ দেবের দর্শন করার ইচ্ছা মনে বারবার উঁকি দিচ্ছিল। একদিন ওই গুরুভাই পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের কাছে বললেন ঠাকুর আমার অনেক দিনের ইচ্ছা পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরে যাওয়ার।
মন্দিরে যাওয়ার কথা বলতেই শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন পুরীর মন্দিরে যাবি তো? ওই গুরু ভাই বলল হে ঠাকুর আমার অনেক দিনের ইচ্ছা তা পূরণ করতে চাই। শ্রী শ্রী ঠাকুর জগন্নাথ দেবের দর্শনের জন্য ঐই গুরু ভাই কে অনুমতি দিলেন।
একদিন ওই গুরুভাই সমস্ত ভাবে তৈরি হয় জগন্নাথ দেবের দর্শনের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।পুরীতে পৌঁছে যখন জগন্নাথ দেবের মন্দিরে গেলেন ওই গুরুভাই দেখলেন জগন্নাথ দেবের মন্দিরে জগন্নাথের জায়গায় যুগো পুরুষোত্তমম পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সেই জায়গায় বসে আছেন।
শ্রী শ্রী ঠাকুর কে দেখে ওই গুরুভাই শ্রী শ্রী ঠাকুরকে প্রণাম করে দেওঘরে ফিরে এলেন। পরেরদিন সকালবেলায় ওই গুরুভাই শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।ওই গুরু ভাইকে দেখে শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন জগন্নাথ দেবের দর্শন হয়েছে তো ?। কই গুরু ভাই বলল হ্যাঁ ঠাকুর আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন _ "জীবন নাথকে ছেড়ে তুই জগন্নাথ কে দেখতে গেলি।জীবন নাথেই যে জগন্নাথ হেলায় তা তুই সব হারালি"। 33 কোটি দেবতার সমারোহে যুগো পুরুষোত্তমের সৃষ্টি। তাই আমাদের প্রতি প্রত্যেকের উচিত অন্ততপক্ষে যারা শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত তাদের ঠাকুরকে নিয়ে চলা উচিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন