পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুরের পন নাতি পূজনীয় বাবাই দা,একটি আলোচনা প্রসঙ্গে দুটি মাগুর মাছের ঘটনা দিয়ে সদ দীক্ষায় কি লাব তা বুঝিয়ে ছিলেন। একটি জলাশয় । তাতে দুটি মাগুর মাছ ছিল। প্রতিদিন জেলেরা মাছ ধরতে আসতো জলাশয়ে। ওই দুটি মাগুর মাছ জেলেদের জালে কোনদিন ধরা পড়েনি। ওই দুটি মাগুর মাছের মধ্যে একটি ছিল সৎদীক্ষায় দীক্ষিত।আরেকটি সদ দীক্ষা নিতে কিছুতেই রাজি নয়।যে মাগুরমাছ টি সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত। সে প্রতিদিন আরেকটি মাগুর মাছ কে দীক্ষার কথা বলে।কিন্তু এই মাছটি কোনদিন দীক্ষা নিতে চায়নি। কিন্তু ওই মাছটি কোনদিন বলতে ছাড়েনি দীক্ষা নাও বলে । ওই মাছটি বলতে থাকে সৎ দীক্ষা নিয়ে কি লাভ হবে। আমি তো বেশ ভালোই আছি ঘুরছি ফিরছি কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু এই মাছ প্রত্যহ বলতেই থাকে। একদিন বলল তুমি যখন এতো করে বলছ সৎদীক্ষা নিতে, এই বলে মাগুর মাছটি সৎ দীক্ষা নিল। ঐদিন ওই জলাশয় থেকে জেলে এসে মাগুর মাছ দুটি ধরে ফেলল। তখন যে মাছটি সেইদিন দীক্ষা নিল, অপর মাছটি কে বলছে আমি তো বেশ ভালোই ছিলাম সৎদীক্ষা নিয়ে আমার কি লাভ হল। এবার ও জেলের হাতে মরবো।তখন অপর মাছটি বলছে মরতে তো একদিন হবেই ঠাকুরের নাম করে চল।তখন ওই দুটি মাছ ঠাকুরের নাম নিয়ে জেলের হাতে ধরা পড়ে চলতে থাকলো। জেলে তার স্ত্রীকে বলল আমি বাজার থেকে ঘুরে আসছি তুমি মাছগুলোকে রান্না করে রাখো। জেলে যখন বাজারে গেছে তখন রাজার একজন কর্মী ঢেঁড়া পিটিয়ে বলছে দুটি মাগুর মাছ দিতে পারবে প্রচুর স্বর্ণমুদ্রা দেয়া হবে। তখন ওই জেলে ছুটতে ছুটতে বাড়ি যায়। তার স্ত্রীকে বলে তুমি কি মাছ গুলো কেটে দিয়েছো?জেলে স্ত্রী বলছেনা কাটিনি পাঁস মাখিয়ে রেখেছি। তখন ওই জেলে বলল ওই দুটি মাছ জ্যান্ত অবস্থায় রাজাকে দিলে অনেক স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া যাবে। রাজার কাছে মাছ দুটি দিয়ে জেলে স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে বাড়ি চলে এলো। রাজা তখন ওই দুটি মাছকে তা শান বানানো দিঘিতে ছেড়ে দিলেন। এবং ওই মাছ দুটিকে দেখাশোনার জন্য প্রহরী ঠিক করলেন। সৎদীক্ষা গ্রহনের ফল মাছটি বুঝতে পারল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন