হেম দা উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন।তিনি বিদেশে বহু জায়গায় গিয়েছেন। কাজের সঙ্গে সঙ্গে মদ্যপান এবং বিভিন্ন প্রতিতা নারীদের কাছে প্রতিনিয়তই যেতেন।এইভাবে উশৃংখল জীবনযাপন ছিল তার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এইভাবে চলতে চলতে হেম দা অসুস্থ হয়ে পড়েন।এই সময় এক দাদা হেম দা কে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রমে নিয়ে যান। শ্রী শ্রী ঠাকুরের কাছে থাকার জন্য হেম দাকে বলা হলে হেম দা বলেন আমি থাকতে পারি প্রতিদিন আমার মদ চাই।এই কথা শুনে ঠাকুর বললেন আমি রাজি।কিন্তু আমার একটি শর্ত আছে আমি নিজ হাতে আপনাকে মদ খাওয়াবো।হেম দা শুনে রাজি হলেন। এরপর প্রতিদিন হেম দার জন্য মদ এনে ঠাকুর নিজ হাতে খাওয়াতে থাকেন। এদিকে একটা কথা উঠে যায় ঠাকুর নিজে হাতে এক জনকে মদ দেন।চারিদিকে ঠাকুরকে নিয়ে নানা মন্তব্য শোনা যায়।এই কথার পর অনেক গুরু ভাই আশ্রম ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা । তাতো ঠাকুরের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।শ্রী শ্রী ঠাকুর হেম দা কে মদ খাওয়াতে থাকেন। একদিন যে গুরু ভাই হেম দার জন্য মদ আনতেন ঠাকুরের নামে অপপ্রচার হচ্ছে বলে সেদিন মদ আনলেন । এদিকে শ্রী শ্রী ঠাকুরও কিছু খাবার খেলেন না।তখন সবাই চিন্তায় পড়লেন।যখন জানা গেল দ্বিপ্রহর পেরিয়ে গেছে ঠাকুর কিছু খাবার খান নেই হেম দাকে মদ না এনে দেয়ার জন্য।তখন দাদা হেম দার জন্য মদ অনলেন। শ্রীশ্রী ঠাকুর না খেয়ে আছেন শুধুমাত্র হেমদাকে মদ না দেওয়ার । তখন হেমদা মদের বোতল মাটিতে ছুড়ে । সেদিন তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন আর কোনদিন মদ খাবেন না বলে।হেম দা বললেন আমি আগে বুঝতে পারিনি ঠাকুর মদ দিয়ে আমার মদ খাওয়া ছড়াবেন। এরপর হেমদা শ্রী শ্রী ঠাকুরের আশ্রমে থেকে যান।এবং তিনি শ্রী শ্রী ঠাকুরের অনেক গান লেখেন। অনেকদিন পর শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বলেন ঠাকুর সাত জন্ম আগে আমি কি ছিলাম তা বড় জানতে ইচ্ছে করে।শী শী ঠাকুর বলেন সাত জন্ম থাক এই জন্মে পরম পিতাকে পেয়েছেন।পরমপিতা কে নিয়ে চলুন। হেমদা কিছুদিন ছাড়া ছাড়া একই প্রশ্ন করতে থাকেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর একেই উত্তর দেন। তখন হেম দা ভাবলেন ঠাকুর একথা জানেন না বলে আমাকে উত্তর দিচ্ছেন না। হেম দা তখন তিব্বতে লামাদের কাছে গিয়ে সাধন করে জানবেন বলে শ্রী শ্রী ঠাকুর এর কাছে অনুমতি নিয়ে একটু আগাতেই শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন হেমদা সাত জনম আগের ঘটনা শুনবেন নাকি।হেমদা বললেন বলুন ঠাকুর। শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন সাত জনম আগে আপনি বৌদ্ধ ভিক্ষুক । কঠোরভাবে প্রবৃত্তি গুলো দমন করেছিলেন বলে এ জীবনে এত উশৃংখল হয়েছেন। তা শুনে হেমদা বললেন আমাকে তিব্বতে না যেতে দেওয়ার জন্য শ্রীশ্রী ঠাকুর একথা বলছেন। ঠাকুর তখন বললেন এই জীবনের দু একটা ঘটনার কথা সুনবেন নাকি হেমদা? হেমদা বললেন বলুন । শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আজ থেকে 18 বছর আগে এক বন্ধুর বাড়িতে তার ছেলের অন্নপ্রাশনে গিয়ে বাতাবি লেবু তলায় এক মা বাথরুমে বসে ছিল আপনি তাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।আজ থেকে 12 বছর আগে এক বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে পরিশ্রান্ত স্ত্রী দরজা ভেজিয়ে যখন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছিল আপনি তাকে বেআব্রু করেছিলেন। এর পর হেমদা আর কিছু শুনতে চাইলেন না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন