বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০

ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে ডি ডি টি দেওয়ার ঘটনা

 

গ্রামবাংলায় মশার উপদ্রব খুব বেশি।            মশা তাড়ানোর জন্য সরকারি প্রচেষ্টায় ডি ডি টি (ডাইক্লোরো ডাই ফিনাইল ট্রাইক্লোরো ইথেন ) স্প্রে প্রচলন আজও আছে।                                           অনেকদিন আগেকার কথা পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সদ দীক্ষায় দীক্ষিত একটি পরিবার ডি ডি টি কে কেন্দ্র করে আইনের মারপ্যাঁচে জড়িয়ে পড়েন তা থেকে কী ভাবে রক্ষা  পেলেন সেই ঘটনার কথা।আলোচনার মুল বিষয়।    শ্রী শ্রী ঠাকুরের সদ দীক্ষায় দীক্ষিত পরিবারটির পরিবারের যিনি প্রধান তার এই ঘটনা।                      ওই গ্রামে সেদিন ডি ডি টি স্প্রে হচ্ছিল।ওই বাড়ির কর্তা সরকারি কর্মচারী ছিলেন।তিনি অফিসে যাওয়ার আগে বাড়ির সকলকে ডেকে বললেন।আজ এই গ্রামে ডি ডি টি স্প্রে হচ্ছে।তোমরা সকলেই লক্ষ্য রাখবে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে কেন ডি ডি টি স্প্রে না হয়।এই বলে তিনি অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।কিছুদুর যাওয়ার পর আবার পিছনে তাকিয়ে বাড়ির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বললেন লক্ষ্য রাখার কথা।ওই দাদা অফিসে যাচ্ছেন কিন্তু তার ডি ডি টি দেওয়ার কথা মাথা থেকে কিছুতেই যাচ্ছিল না।                     ডিডিটি দেয়ার জন্য ওই বাড়িতে লোকেরা এল।বাড়ির প্রত্যেক সদস্য তাদেরকে বললেন।পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের প্রতিকৃতিতে জেন ডিডিটি স্প্রে না করা হয়।কিন্তু তা শুনলেন না।তারা ওই প্রতিকৃতিতে বেশি করে ডিডিডি স্প্রে করলেন।তারা বললেন ওই প্রতিকৃতিতে মশার ডিম থাকবে।আমাদের সরকারি নির্দেশ আছে ওই জায়গায় স্প্রে করার জন্য।                                     ওই বাড়ির যিনি কর্তা তিনি অফিস থেকে ফিরে ঠাকুরের প্রতিকৃতির দিকে লক্ষ্য করলেন।তিনি প্রচণ্ড রেগে গেলেন।এবং বাড়ির লোকদের বললেন বারবার বলা সত্ত্বেও তোমরা ওদেরকে কিছু বলনি।বাড়ির বাকি সদস্যরা সব কথা বললেন।তা শুনে ওই বাড়ির কর্তা যারা ডি ডি টি স্প্রে করছিল তাদের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।তাদেরকে দেখা পাওয়ার পর।তিনি বললেন বারণ করা সত্ত্বেও আমার ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে কেন ডি ডিটি স্প্রে করেছেন।এইভাবে তাদের তর্ক বেঁধে যায়।ওই বাড়ির কর্তা তখন যে ডি ডি টি প্রে  করছিল তার গায়ে হাত লাগান।তারাও ছিল সরকারি কর্মচারী।ওই দাদাও ছিলেন সরকারি কর্মচারী।ওই দাদা বুঝতে পারলেন তারা আইনের আশ্রয় নেবে।ওই দাদা তখন ঠাকুর বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা । সকল সমস্যার সমাধান জানবি ইস্টো প্রতিষ্ঠান।                ওই দাদা ঠাকুরের কাছে সব কথা বললেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন মারলি কেন?কই দাদা বললো রাগের বসে হয়ে গেছে।                                          শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তখন ঠাকুরবাড়ির এক উকিলের কাছে পাঠালেন।ঠাকুর বললেন আমাকে লেখাটা দেখিয়ে নিয়ে যাবে।সেই মত কাজ।ওই দাদা ঠাকুরের কাছে লেখা দেখাতে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর আরো এক লাইন যোগ করে দিলেন।       ওই দাদা বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর।তিনি দেখলেন কোর্ট থেকে  নোটিশ এসেছে।তিনি কোর্টে হাজির হলেন ঠাকুরের লেখাটি নিয়ে।                                 কোটের কাজ শুরু হতেই ওই দাদার ডাক পড়ল।ওই দাদা তখন ঠাকুরের লেখা ওই কাগজ টি জজ সাহেব কে দিলেন।জজ সাহেব খুব চিন্তা করছেন পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র যে লাইনটা লিখেছিলেন সেই লাইনটি বারবার আন্ডারলাইন করছেন।ওই লাইনটিতে লেখা ছিল এই ঘটনা যদি গান্ধীজীর প্রতিকৃতিতে করা হতো আপনি কী করতেন? ঐ জজ ছিলেন গান্ধীজির পরম ভক্ত।        ঐ জজ ভাবলেন আমি তাকে মেরে ফেলতাম।ঐ কেস তিনি ডিসমিস করে দিলেন।                             পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর জানতেন যে জজের কাছে ঐ দাদা যাবেন তিনি গান্ধীজির ভক্ত।                শ্রীশ্রী ঠাকুর এই ভাবে ঐ দাদাকে আইনের হাত থেকে রক্ষা করলেন।        

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পুত্র সন্তান লাভ করার তূক

 পরম দয়াল পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র পুত্র সন্তান হওয়ার একটি তুক দিলেন।  অনেক মায়েদের অনেক দিন বিবাহর পরেও যাদের কোন সন্তা...