উমেশচন্দ্র লাহারি ছিলেন মস্ত বড় জমিদার।তিনি ছিলেন বাল গোপালের উপাসক। উমেশচন্দ্র লাহাড়ি মাতা মনমোহিনী দেবী মাসতুতো পিসতুতো ভাই বোন ছিলেন। মাতা মনমোহিনী দেবী ছোট্ট শিশু অনুকূল কে নিয়ে উমেশচন্দ্র বাবুর বাড়িতে গেলেন।উমেশচন্দ্র বাবু তারবাল গোপালের নিত্য পূজা আরম্ভ করলেন। যথা যত উপকরণ সামগ্রী ও ভোগ নিবেদন করে বাল গোপালের পূজা আরম্ভ করলেন।তিনি যখন বাল গোপালের ধ্যান কোরছেন,তখন ঢং করে আওয়াজ হল।উমেশচন্দ্রবাবু চোখ খুলে দেখলেন। তার আরাধ্য দেবতা বাল গোপাল মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে সেই জায়গায় ছোট্ট শিশু অনুকূল দাঁড়িয়ে আছে।তিনি খুব রেগে গেলেন বললেন মনো ছেলের কান্ড দেখে যা।তিনি পুনরায় নতুনভাবে ভোগরাগ নিবেদন করলেন।পুনরায় পূজা আরম্ভ করলেন।তিনি যখন ধ্যানে বসলেন তখন আবার ঢং করে আওয়াজ হল।উমেশচন্দ্র বাবু দেখলেন বালগোপাল গড়াগড়ি খাচ্ছে এবং সিংহাসনে ছোট্ট শিশু অনুকূল দাঁড়িয়ে আছে।তা দেখে উমেশচন্দ্র বাবু ভীষণ রেগে গেলেন।দারোয়ানকে বললেন তোরা কি ঘুমাচ্ছিস।উমেশচন্দ্র বাবু যখন পূজা করতেন ওই পূজা স্থলে অন্যদের প্রবেশ নিষেধ ছিল। মাতা মনমোহিনী দেবী অতিশয় লজ্জিত হয়ে ছোট্ট শিশুকে নিয়ে বাইরে গেলেন।তিনি দারোয়ানদের সজাগ থাকার জন্য বললেন।যেন তার পূজার স্থলে কেউনা প্রবেশ করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বললেন।উমেশচন্দ্র বাবু পরপর দুটি দ্বার বন্ধ করে দিলেন। উমেশচন্দ্র বাবু পুনরায় ভোগ নিবেদন করে তার আরাধ্য দেবতা বাল গোপালের পূজা আরম্ভ করলেন।আবার তিনি যখন ধ্যানে বসলেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো।দেখলেন বাল গোপাল মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে সেই জায়গায় ছোট্ট শিশু অনুকূল দাঁড়িয়ে আছে। মাতা মনমোহিনী এলেন অনুকূলচন্দ্র কে বললেন,এত বারণ করা সত্ত্বেও তুমি এখানে আসছো কেন?ছোট্ট শিশু অনুকূলচন্দ্র বললেন আমাকেও বারে বারে ডাকে কেন? উমেশচন্দ্র লাহারির সব ভ্রম দূর হলো।তিনি বুঝতে পারলেন তার আরাধ্য দেবতা ছোট্ট শিশু অনুকূলচন্দ্র একেই।
Thakur anukul chandra and his family /যজন যাজন ইষ্টভৃতি পালনে লাভ/সৎদীক্ষার ফল/ঠাকুরের জীবনি
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
পুত্র সন্তান লাভ করার তূক
পরম দয়াল পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র পুত্র সন্তান হওয়ার একটি তুক দিলেন। অনেক মায়েদের অনেক দিন বিবাহর পরেও যাদের কোন সন্তা...
-
শ্রী শ্রী ঠাকুরের পঞ্চনীতি _ যজন যাজন ইষ্টভৃতি সস্ত্যয়নী ও সদাচার ।পাঁচটি নীতি কেই পঞ্চনীতি বলা হয়। ...
-
পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের বর্তমান ইষ্টভৃতি মন্ত্র কী ভাবে সৃষ্টি হল। অনেক দিন যায় কিন্তু ইষ্টভ...
-
বাংলার 1295 বঙ্গাব্দে শুক্রবার 30 শে ভাদ্র তাল নবমী তিথিতে যুগো পুরুষোত্তম পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সকাল 7টা05 মিনিটে প...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন