পাবনা হিমাইতপুর পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের আশ্রমে বিশেষ ঘটনার কথা। একদিন আশ্রমে ঠাকুর বসে আছেন ভক্তবৃন্দ ঠাকুরকে বেষ্টন করে শ্রী শ্রী ঠাকুরের আলোচনা শুনছেন। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। হঠাৎ করে ঠাকুর বলে উঠলেন _ আমাকে এখুনি পদ্মা পাড়ে যেতে হবে একটা ছাতা একটা বাতি নিয়ে। ভক্তবৃন্দ শ্রী শ্রী ঠাকুরের কথা কেউ বুঝতে পারলেন না। কিছুক্ষণ পর এক ভক্ত খুব পরিশ্রান্ত হয়ে শ্রী শ্রী ঠাকুরের কাছে এলেন। ওই ভক্ত বললেন ঠাকুর আপনি আমার প্রাণ রক্ষা করেছেন। শ্রী শ্রী ঠাকুর সব জানার পরও কি ঘটনা ঘটেছিল তাও ঐ ভক্ত ঠাকুরের কাছে ঠাকুরের কাছে খুলে বললেন। ওই ভক্ত বললেন পদ্মা পেরিয়ে এক বিশেষ কাজের জন্য কুষ্টিয়া গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম দিন বেলাবেলি ফিরে যাব কিন্তু কাজ শেষ করতে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমে আসে। এবং বৃষ্টি পড়তে থাকে । আমি দিকভ্রষ্ট হয়ে এদিকে সেদিকে ঘুরতে থাকি। তখন আমার মনে পড়ে আপনার কথা। তখন আমি অশ্রুসজল চোখে কাতর ভাবে আপনাকে ডাকতে থাকি ঠাকুর আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে। সঙ্গে সঙ্গে কেউ একজন একটি ছাতা ও বাতি হাতে আমার আগে আগে চলতে থাকেন। আমি তাকে ধরার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তাকে ধরতে পারিনি।এই আশ্রম এর কাছে এসে তাহাকে আর দেখতে পেলাম না। ভক্তবৃন্দরা শ্রী শ্রী ঠাকুরের পদ্মা পাড়ে ছাতাও বাতি হাতে যাবার ঘটনা তারা সকলেই বুঝতো পারলেন। এই পরম তাতা হলেন যুগ পুরুষোত্তমম পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।সৎ নামের মাধ্যমে এই বিশ্ববাসীকে রক্ষা করে চলেছেন।
Thakur anukul chandra and his family /যজন যাজন ইষ্টভৃতি পালনে লাভ/সৎদীক্ষার ফল/ঠাকুরের জীবনি
বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
পাবনা হিমায়েতপুরে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর এর দাদার প্রাণ রক্ষা করলেন
পাবনা হিমাইতপুর পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের আশ্রমে বিশেষ ঘটনার কথা। একদিন আশ্রমে ঠাকুর বসে আছেন ভক্তবৃন্দ ঠাকুরকে বেষ্টন করে শ্রী শ্রী ঠাকুরের আলোচনা শুনছেন। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। হঠাৎ করে ঠাকুর বলে উঠলেন _ আমাকে এখুনি পদ্মা পাড়ে যেতে হবে একটা ছাতা একটা বাতি নিয়ে। ভক্তবৃন্দ শ্রী শ্রী ঠাকুরের কথা কেউ বুঝতে পারলেন না। কিছুক্ষণ পর এক ভক্ত খুব পরিশ্রান্ত হয়ে শ্রী শ্রী ঠাকুরের কাছে এলেন। ওই ভক্ত বললেন ঠাকুর আপনি আমার প্রাণ রক্ষা করেছেন। শ্রী শ্রী ঠাকুর সব জানার পরও কি ঘটনা ঘটেছিল তাও ঐ ভক্ত ঠাকুরের কাছে ঠাকুরের কাছে খুলে বললেন। ওই ভক্ত বললেন পদ্মা পেরিয়ে এক বিশেষ কাজের জন্য কুষ্টিয়া গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম দিন বেলাবেলি ফিরে যাব কিন্তু কাজ শেষ করতে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমে আসে। এবং বৃষ্টি পড়তে থাকে । আমি দিকভ্রষ্ট হয়ে এদিকে সেদিকে ঘুরতে থাকি। তখন আমার মনে পড়ে আপনার কথা। তখন আমি অশ্রুসজল চোখে কাতর ভাবে আপনাকে ডাকতে থাকি ঠাকুর আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে। সঙ্গে সঙ্গে কেউ একজন একটি ছাতা ও বাতি হাতে আমার আগে আগে চলতে থাকেন। আমি তাকে ধরার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তাকে ধরতে পারিনি।এই আশ্রম এর কাছে এসে তাহাকে আর দেখতে পেলাম না। ভক্তবৃন্দরা শ্রী শ্রী ঠাকুরের পদ্মা পাড়ে ছাতাও বাতি হাতে যাবার ঘটনা তারা সকলেই বুঝতো পারলেন। এই পরম তাতা হলেন যুগ পুরুষোত্তমম পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।সৎ নামের মাধ্যমে এই বিশ্ববাসীকে রক্ষা করে চলেছেন।
সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
তানসেন ও তার গুরু এবং আকবর
আকবরের রাজসভায় 9 জন গুণী ব্যক্তির সমাদর করা হতো। তাদের নবরত্ন বলা হত।তাদের মধ্যে তানসেন ছিলেন অন্যতম। তানসেন উত্তর ভারতের একজন বিশেষ সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন।তানসেন সংগীতে এত পারদর্শী ছিলেন তা সঙ্গীত শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে পড়তো। তানসেন আকবর কে খুশি করার জন্য সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। এতদিন সম্রাট আকবর মনে কৌতূহলবশত তানসেন কে বললেন আপনি তো ভালো গান করেন।কিন্তু আপনার গুরুর কাছে আমাকে নিয়ে চলুন আমি তার কাছে গান শুনবো। তানসেন তার গুরুর কাছে আকবর কে নিয়ে গেলেন। আকবর তানসেনের গুরুর কাছে সঙ্গীত শুনে মুগ্ধ হলেন। আকবর রাজসভায় ফিরে এসে তানসেন কে বললেন আপনার গুরুর মত আপনি সঙ্গীত পরিবেশন করতে পারেন না কেন? তানসেন সব কথা শুনে মহামতি আকবর কে বললেন সঙ্গীত পরিবেশন হয় যে শুনে তার উপর। আমি সঙ্গীত পরিবেশন করি আপনার জন্য।আর আমার গুরু সঙ্গীত পরিবেশন করেন ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য।সেই জন্যই পার্থক্য। শ্রী শ্রী ঠাকুরের উদ্দেশ্যে সঙ্গীত পরিবেশন হলে তার মাধুর্য বৃদ্ধি পায়।
রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
এক আদর্শ মায়ের কথা
এমন সময় শাশুড়ির লক্ষ্য হলো বৌমার কানের ফুল নেই।সেই সময় ওই বৌমার দিদি শাশুড়ি এসে পৌঁছালেন।তিনি গালমন্দ করে বললেন _ কেমন ঘরের থেকে মেয়ে এনেছো জানোনা।এই বলে বাপের বাড়ির লোককেও গালমন্দ করল দিদি শাশুড়ি। বোমাটি চোখে অশ্রুসিক্ত হলো।কাউকে কিছু না বলে তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর শাশুড়ি বারান্দায় বসে ছিলেন।বৌমা জল আনতে গিয়েছিলেন। দিদি শাশুড়ি পাশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।এমন সময় একটি জেলে বউ একটি কাগজের পুটলি নিয়ে শাশুড়ির কাছে নামালেন।শাশুড়ি জিজ্ঞাসা করলেন এতে কি আছে? জেলে বউটি বলল আমার ছেলের খুব অসুখ। কোথাও কিছু ব্যবস্থা করতে না পারায় আমার কর্তা ঠাকুরের কাছে এসেছিলেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর এই করনফুল দিয়ে বলেছিলেন আমি এটি তোমাকে দান করছি এটি দিয়ে তোমার ছেলের চিকিৎসা করাবে যাও।আজ আমার কর্তা প্রচুর মাছ পেয়েছে সেগুলো বিক্রি করে যে পয়সা হয়েছে তা দিয়ে ওই কর্ণফুলটি যেখানে বাধা ছিল সেখান থেকে এনে আপনাদের ফিরিয়ে দিতে এনেছি। এই কথা জানার পর শাশুড়ি সব বুঝতে পারলেন।বৌমাকে এত গালমন্দ করার পরও সে কোন কথা না বলে চলে গিয়েছিলেন। এই মহীয়সী রমণী আর কেও না _ পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের অর্ধাঙ্গিনী শ্রী শ্রী বড়মা।
শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
পাবনা সৎসঙ্গ আশ্রমের ফিলান্থ্রোপি অফিসে টাকা চুরির ঘটনা
হিমায়েতপুর সৎসঙ্গ আশ্রম এর ফিলান্থ্রোপি অফিসের ক্যাশিয়ার পদে নিযুক্ত ছিলেন ভবানী সাহা। এতদিন ওই টাকা পয়সার লোভ সামলাতে না পেরে ফিলান্থ্রোপি অফিসে টাকা চুরি করার পর তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে যান।এরকম বেশ কিছুদিন চলতে থাকার পর শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র নগেন দা কে ডেকে বললেন অনেকদিন হলো ভবানী দার খবর পাইনি ।ভবানী দারএকটু খবর করুন । শ্রী শ্রী ঠাকুরের কথা মত নগেন দা কিছু জন লোককে নিয়ে বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেন কিন্তু তারা ভবানী দার কোন খবর পাননি। খগেন দা পাবনা সঙ্গে ফিরে এসে শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বললেন ঠাকুর সব জায়গায় খুঁজেছি কিন্তু ভবানী দাকে কোথাও পায়নি। শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আপনি আবার খোঁজ নেন।ঠাকুরের কথামতো নগেন দা আবার খোঁজ চালাতে শুরু করলেন। নগেন দা এক গুরু ভাই এর মাধ্যমে জানতে পারলেন ভবানী সাহা দা চাকদহ স্টেশনে থাকেন।নগেন দা চাকদহ স্টেশন খুজাখুজির পর একটি জীর্ণ শীর্ণ বেধি গ্রস্ত লোককে চট ঢাকা অবস্থায় দেখতে পান।নগেন দা বললেন আপনি ভবানী দা তো? তখন ওই লোকটি বলল আমি ভবানী না আপনি এখান থেকে যান। নগেন দা কিছুদূর আসার পর।ভবানী দা নগেন দা কে ডাকলেন আমি ভবানি ঠাকুরের টাকা চুরি করে খুব অন্যায় করেছি। আমার কেও বেঁচে নেই।আমি রোগগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে আছি। কেউ খেতে দিলে খেতে পাই। নগেন দা বললেন ঠাকুর আপনাকে নিয়ে যেতে বলেছেন। ভবানী দা বললেন আমি যা পাপ করেছি এই জীবনে ঠাকুরকে এই মুখ দেখাবো না। নগেনদা ঠাকুরের কাছে গিয়ে সব কথা খুলে বললেন। শ্রী শ্রী ঠাকুর মা মা বলে চিৎকার করে বললেন ওকে আর বাঁচানো গেল না।
বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
মুসলিম মায়ের জীবন রক্ষা
কিছুদিন আগের ঘটনা।এক ধনী পরিবারের একমাত্র কন্যা ছিল। সেই মেয়েটি ছিল ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত একদিন এক ঋত্বিক দাদার ঠাকুরের যাজন শুনে ওই ব্লাড ক্যান্সার রোগীর বাঁচার তাগিদে সদ দীক্ষা নিতে চাইলেন। শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন _কেউ যদি যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলে তাহলে তার অকাল মৃত্যু হয়না।এই কথা ঋত্বিক দাদার এই আলোচনা শুনে ওই ব্লাডক্যান্সারে আক্রান্ত মা টি পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের দেওয়া সৎনামে দীক্ষিত হলেন । এদিকে ব্লাড ক্যান্সার রোগী অবস্থা খুবই খারাপ।একদিকে তার রোগ অন্যদিকে তার পরিবারকে নিয়ে অশান্তি।কেননা হিন্দুদের ঠাকুরকে মুসলিমরা গ্রহণ করেছে বলে।বাড়ির লোক অনেক চেষ্টা করোও ওই ব্লাড ক্যান্সার রোগী টির ইস্টভৃতি করা ছাড়াতে পারেন নাই। একদিন টেস্ট করে বললেন একটি মেজর অপারেশন করে ওই রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা যাবে এই বলে প্রচুর টাকার বিনিময় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই রোগীকে ভর্তি করা হয়। ওই ডাক্তারদের একজন বললেন রোগীর কাছে কোন টাকা পয়সা রাখা যাবেনা।এই কথা শুনে বাড়ির লোক খুব আনন্দিত হলো তারা অনেক চেষ্টা করোও পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ইস্টভৃতি ছাড়াতে পারেন নাই।কিন্তু ডাক্তার সেই কাজ সম্পন্ন করেছে । ওই মাটি তখন অনেক অনুনয় বিনয় করল।কিন্তু ডাক্তারবাবু তার পয়সা সব বাড়ির লোকের হাতে দিয়ে দিয়েছিলেন। ওই মাটি তখন কান্নাকাটি করে বললেন ঠাকুর আমি ইষ্টভৃতি কি দিয়ে করব । ভোর বেলায় অপারেশন করার আগেই মাটি দেখলেন আমার কাছে তো কিছুই নেই আমি কি ইষ্টভৃতি করব। তখন একটি মগে জল দেখতে পেয়ে তা দিয়েই শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ইষ্টভৃতি করলেন। কিছুক্ষণ পর অপারেশন শুরু হল।ঐ মা টি অপারেশন টেবিলে মারা গেলেন।তখন বাড়ির লোক টাকা ও বাড়ীর মেয়েকে ফেরতের কথা বলতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর হসপিটালের এক কর্মী দেখেন ওই মা টির জ্ঞান ফিরে এসেছে। এই হল পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎদীক্ষা ও ইষ্টভৃতির ফল। শ্রী শ্রী ঠাকুরের বাণী তে আছে _ যজন যাজন ইষ্টভৃতি করলে কাটে মহাভৃতি।
মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সাওতাল ভক্তের কথা
পরম দয়াল ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎদীক্ষায় দীক্ষিত যারা তাদের প্রত্যেকের জল গ্রহণের পূর্বে ঠাকুরের ভোগের জন্য ইস্ট ভৃতি হিসাবে কিছু অর্ঘ্য তুলে রাখতে হয় । শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের এক সাঁওতাল ভক্ত ছিল।ওই ভক্তের সামর্থ্য জমছিল না ইষ্টভৃতি করার মত।একদিন ওই সাঁওতাল ভক্ত ঠাকুর এর কাছে যান।শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সব জানতেন ঐ ভক্ত ইস্ট ভৃতি করেনা।শ্রী শ্রী ঠাকুর ওই ভক্তকে বললেন আপনি কি ইস্ট ভৃতি করেন? ওই ভক্ত টি বললেন আমার দিনান্তে দিন চলে।ইষ্টভৃতি কিভাবে করবো ঠাকুর। শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন বাড়িতে প্রতিদিন রান্না হয়।ওই সাঁওতাল ভক্ত টি বলল তা হয় ঠাকুর ।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন রান্নার পর উননে যে ছাই হয় তা দিয়ে ইষ্টভৃতি করবেন এবং সেটি 30 দিনে ঠাকুরের কাছে পৌঁছে দেবেন। ঠাকুরের কথামতো তাঁর স্ত্রীকে বলে ঠাকুর বলেছেন ছাই দিয়ে ইষ্টভৃতি করার কথা। ঠাকুরের কথামতো পরের দিন থেকে উনুনের ছাই দিয়ে ইষ্টভৃতি শুরু করল। ঠিক 30 দিনের দিন ঠাকুরের কাছে ওই সাঁওতাল ভক্ত টি ঠাকুর বাড়িতে পৌঁছায়।শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বললেন ঠাকুর আমার ইষ্টভৃতি 30 দিন হয়েছে।অনেক ছাই হওয়ায় লোকে কিছু বলবে ভেবে ঐ ছাই নিয়ে আসতে পারিনি। ঠাকুর বললেন ঠিক করেছেন।আপনার বাড়িতে কোনো ফাঁকা জায়গা আছে। ওই সাঁওতাল ভক্ত টি বলল আছে ঠাকুর।ঠাকুর বললেন ওই ছাই ওই ফাঁকা জায়গায় মাটির সঙ্গে মিশিয়ে মান কচুর চাষ করুন। সে চিন্তা করছে মান কচু কোথায় পাব।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আমি মান কচুর চারা দিচ্ছি আপনাকে।সেই মান কচু দিয়ে চাষ করুন। ঠাকুরের কথামতো মান কচুর চাষ করল ভক্ত টি খুব ভালোভাবে মান কচু হলো।ওই ভক্ত টি একটি মান কচু নিয়ে ঠাকুরের কাছে গেলেন।ঠাকুর খুব খুশি হলেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন এ মান কচু কার।ওই সাঁওতাল ভক্ত টি বলল আপনার ঠাকুর। ছাইও আপনার আমিও আপনার । শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন মান কচু বিক্রি করে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করুন তারপর যা মুনাফা হবে তা দিয়ে ইষ্টভৃতি করবেন।ঠাকুরের কথামতো ব্যবসা করে তার প্রচুর মুনাফা হলো সে ইস্ট ভীতি শুরু করলো।পরম দয়ালের দেওয়া মান কচু ও তার এই ইষ্টভৃতি করার ছাই ব্যবসার উন্নতির সহায়ক হলো। পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুরের কৃপায় আমরা প্রত্যেকেই ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চললে আমাদেরও লাভ হবে ।
সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
আমরা শ্রী শ্রী ঠাকুরের সৎনাম নিতে ভয় পাই কিন্তু সৎনাম না নিলে কি হয়
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের শেষে অর্জুন তা সখা কৃষ্ণ কে ডেকে বললেন _এই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে আমার আত্মীয় স্বজনকে মেরেছি অর্থাৎ আমি প্রচুর পাপ করেছি।সখা আপনি যদি আমাকে একবার গঙ্গাস্নানে নিয়ে যান। অর্জুনের কথা শুনে কৃষ্ণ বললেন আমি আপনার রথের সারথি আপনি যা বলবেন তাই করবো।এই বলে রথ চালিয়ে অর্জুন কে সঙ্গে নিয়ে কৃষ্ণ ঠাকুর অর্জুনকে গঙ্গা সানে নিয়ে গেলেন। কৃষ্ণ ঠাকুর অর্জুনকে রথে বসতে বলে একটু দূরে চলে গেলেন। অর্জুনের একটি মহৎ গুণ ছিল তিনি পশুপাখিদের ভাষা বুঝতে পারতেন।ওই সময় দুইজন লোক একটি মোরা কাঁধে করে শ্মশানে নিয়ে আসছে হরিবোল হরিবোল বলে তারা মড়াটি নামিয়ে চিতা সাজাবার কাজ শুরু করলো।চিতা সা যাবার পর তারা দেখল কোন আগুন নেই।তারা দুজনেই কেউ একা এখানে থাকতে চাইলনা মরার কাছে তাই তারা দুজনেই বাড়ি চলে গেল আগুন আনতে। সেই সময় একটি জীর্ণ শীর্ণ শিয়াল মড়াটিকে একা পেয়ে তাস খাওয়ার উদ্দেশ্যে মরার কাছে গেল কিন্তু শিয়ালটি তার পা দুটি শুকছে আর মাথা নাড়াচ্ছে।হাত দুটি শুকছে মাথা নাড়াচ্ছে কান দুটি শুকছে আর মাথা নাড়াচ্ছে মরার মুখ শুকে মাথা নাড়িয়ে চলে যাচ্ছে।এমন সময় একটি মোটা শিয়াল সব লক্ষ্য করে জীর্ণ শিয়ালটি কে বলল _তুই মরাটি নাখেয়ে চলে যাচ্ছিস কেন?তখন জীর্ণ শিয়ালটি বলল আমি অখাদ্য-কুখাদ্য খাইনা।তোর খেতে হয় তুই খা।তখন মোটা শিয়ালটিকে সব কথা খুলে বলল _ওর পা দুটি কখনো হরিনাম আসরে যায়নি।ওর হাত দিয়ে কোন সদগুরু সেবা করেনি।ওর কান দিয়ে হরি কথা সবন হয়নি।ওর জিভ দিয়ে কোনদিন হরিকথা উচ্চারণ হয়নি।তাই আমি ওই অকাদ ওই কুখাদ্য খাব না । তখন মোটা শিয়াল টি বলল ওকে নাই খাস কিন্তু রথে যে বসে আছে তাকে খাবো চল। তা শুনে জীর্ণ শিয়ালটি বলল ও তো আরো বেশি মূর্খ।যার পা হতে গঙ্গার উৎপত্তি তাকেই বলে গঙ্গা স্নান করতে নিয়ে যেতে।অর্জুন সমস্ত ঘটনা লক্ষ্য করছিলেন।সখা কৃষ্ণ এলে তার পা দুটি জড়িয়ে নিজের ভুল স্বীকার করলেন। কৃষ্ণ ঠাকুর অর্জুনকে শিক্ষা দেয়ার জন্য বাবা মহেশ্বর নন্দী ভিঙ্গি ও যোগমায়ার সাহায্য নিয়েছিলেন।ওই মরাটি ছিল বাবা মহেশ্বর।যে দুজন লোক বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল তারা হল নন্দী আর ভিঙ্গি। আর দুই শিয়াল হল যোগমায়া।
শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র
সেদিন ছিল 1332 বঙ্গাব্দ।অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনেকদিন ধরে কৌতূহল ছিল পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুরের আশ্রমকে কেন্দ্র করে।
অমর কথাশিল্পী একদিন শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের পাবনা আশ্রমে তপবন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কএই সমাজের প্রতি থাশিল্পীর মনে অনেক কৌতূহল ছিল।শ্রী শ্রী ঠাকুরকে প্রথম সাক্ষাতে কৌতুহল বসতো জিজ্ঞাসা করেন আপনি বিযোগআন্ত রচনা পছন্দ করেননি একথা আমি শুনেছি। পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র শিল্পীকে বললেন আমাদের প্রত্যেকের এই সমাজের প্রতি দায়িত্ব আছে।যদিও জানি সমাজ আজ পচে গেছে।তাও সমাজকে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন সাহিত্যের মধ্যে হিত কথাটি আছে যার প্রকৃত অর্থ মঙ্গল।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আমরা যদি মানুষের মঙ্গল করতে না পারি তাহলে সাহিত্যের লাভ কি? শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন মানুষকে যদি বিয়োগান্ত দুঃখে ভরা উপন্যাস দেয়া হয় তাহলে মানুষ আরো খারাপের দিকে যাবে। অমর কথাশিল্পী তার মনের সমস্ত কৌতুহল দূর হলো।কথাশিল্পী বললেন আমার প্রথম সাহিত্য রচনার পূর্বে কেন আপনার কাছে আসিনি?তাহলে এই ভুল আর হতো না।কথাশিল্পী বললেন আমি এই শেষ জীবনে আর কি সাহিত্য রচনা করতে পারব? শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কে মনে সাহস দিলেন বললেন আপনি পারবেন। কথাশিল্পী পাবনা আশ্রম থেকে যাবার পর তার অন্তিম সাহিত্য বিপ্রদাস রচনা করেন।যদিও ওটি প্রকাশিত হয় অমর কথাশিল্পীর মহাপ্রয়াণের পর। অমর কথাশিল্পীর অন্যান্য উপন্যাসের সঙ্গে বিপ্রদাসের অনেক পার্থক্য আছে।
বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের মানিকপুরে বনভোজন উৎসবের পেক্ষাপট
আরো বেশ কিছুদিন পর শ্রী শ্রী ঠাকুর বড়মা ও শ্রী শ্রী ঠাকুরের জৈষ্ঠ কন্যা সান্তনা মৈত্র কে সঙ্গে নিয়ে মানিকপুর এ যান।ঠাকুরের জৈষ্ঠ কন্যা সান্তনা মৌত্রের ওই মানিকপুর খুব ভালো লাগে।তিনি শ্রী শ্রী ঠাকুর কে একদিন ওখানে উৎসব খাওয়ার জন্য বললেন। ঠাকুর ও বড়মা দুজনেই রাজী হলেন। সেদিন ছিল 9 জানুয়ারি।শ্রী শ্রী ঠাকুরের কথা মত শ্রীশ্রীবড়দা বাড়িতে রাঙ্গা বৌদি তত্ত্বাবধানে সব আয়োজন করা হলো। মানিকপুর থেকে দু ফারলং দুরে সরকারি রির্জাফ ফরেস্ট দুতাবাঁধে ঐ খানে রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হল।অনেক নর নারী উপস্থিত হলেন। কিছূ খন পর ঠাকুরের অসুস্থ লাগার জন্য ঠাকুরকে দেওঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠাকুরের জন্য ঠাকুর ভোগ দেওঘরে পাঠানো হয়।বাকীরা মানিকপুরে থেকে উৎসব পালন করেন। সেই দিন থেকে প্রতি বছর 9 জানুয়ারী বনভোজন হয়ে থাকে।
সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের টাওয়ার ঘড়ি সৃষ্টির ইতিহাস
এই স্তম্ভটির উচ্চতা 60 ফুট এই স্তম্ভে যে ঘড়ি টি আছে তাকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সুত্রপাত। একদিন শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র শিষ দাকে ডেকে বললেন সিমেন্ট গুলো অনেক দিন আছে নষ্ট হয়ে যাবে।আপনি যে কোন উপায়ে টাওয়ার ঘড়িটি তৈরি করে ফেলুন। শীষদা ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে বললেন ওই টাওয়ার ঘড়ি তৈরির কথা।তারা প্রত্যেকেই বললেন ওই টাওয়ার ঘড়ি একদিনে তৈরি করা যাবে না। শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন তা হবে না এক দিনেই করতে হবে । ইঞ্জিনিয়াররা দেখে বললেন একদিন এই খুব বেশি হলে দশ ফুটের বেশি পড়া যাবে না। কিছুদিন পর আবার শীষ দাকে ওই ঘড়ি তৈরির কথা বললে শীষদা বললেন একদিনে ওই ঘড়ি তৈরি হবে না বলে চলে গেলেন। এরপর শ্রী শ্রী ঠাকুর খগেন দা কে ডেকে বললেন এই ঘড়ি করা যায়।খোকনদা বললেন ঠাকুর ইঞ্জিনিয়াররা যখন বারণ করেছে তখন একদিনে করা যাবে না আমিও মার খাবো আপনিও খারাপ হবেন। শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আজই ভোর থেকে শুরু করতে হবে কাজ লোকজন সব রেডি করুন ।খগেন দা ঠাকুরের কথা মত লোকজন তৈরি করলেন। তাদেরকে রাত্রিবেলায় আনন্দবাজার প্রসাদ খাইয়ে ভোর থেকে কাজ শুরু হল।শ্রী শ্রী ঠাকুর অস্থির হয়ে পড়েছেন।এক জন লোক পাঠিয়ে খবর নিচ্ছেন।সকাল ছটার মধ্যে নিচের 6 ফুট ঢালাই হয়ে গেছে।সকাল আটটার মধ্যে উপরে আরো ছোট হয়ে গেছে ঢালাই। এদিকে শ্রী শ্রী ঠাকুর খগেন দা কে সব বুঝিয়ে রেখেছেন শীষদা এলে কি বলতে । শীষদা এসে হাজির তিনি ঘড়ি তৈরি হচ্ছে দেখে রেগে খাপ্পা হয়ে গেলেন।খগেন দা কে নিয়ে ঠাকুরের কাছে গেলেন।শ্রীশ্রী ঠাকুর খগেন দাকে বললেন তুমি শীষকে বলনি।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন শীষদা খগেন দা আমাকেও বলেনি আপনাকেও বলেনি।খগেনদা ঠাকুরের শিখানো মত কথাগুলি বলতে শুরু করলেন খগেন দা বললেন ঠাকুর অনেক কষ্টে সিমেন্ট জোগাড় করেছি নষ্ট হয়ে যাবে তাই কাজ শুরু করে দিয়েছি আমাকে জুতা পিটা করুন ঠাকুর। শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন যা করেছ এখন শীষ দাকে নিয়ে বাকি কয়টি শেষ করুন।শীষদা রেগে বললেন ওই ঢালাই পড়ে যাবে যে কাজ শুরু করেছে সেই করুক আমি পারবো না বলে চলে গেলেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর খগেন দা কে ইশারা করে আরো কাজ শুরু করতে বললেন। ঠিক দুপুর দুটোর সময় কাজ শেষ করে খগেন দা শ্রী শ্রী ঠাকুরের কাছে গেলেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর খগেন দা কে জিজ্ঞাসা করলেন এখনো ঢালাই টি আছে তো।খগেন দা মাথা নেড়ে বললেন হে ঠাকুর এখনো আছে।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন পরম পিতা রক্ষা করবেন।খগেনদা তখন বললেন আপনার পরমপিতা রক্ষা করুন না করুন আমার পরমপিতা যদি রক্ষা না করেন আমার অবস্থা খারাপ। বর্তমানে সংস্কারের পর এর নাম হয় ঘড়িঘর। এটি তৈরি হয়েছিল 1946 সালে।
শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০
এক 22 বছরের রিকেট রুগীর পরম দয়াল ঠাকুর জীবন রক্ষা করলেন
পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পানিপারুলে। ঐ প্রসঙ্গে ঠাকুরের আলোচনা করছিলেন এক ঋত্বিক দাদা তার আলোচনায় একটি অংশ ওই রিকেট রোগীর মনে দাগ কাটে। ওই আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল যদি কেউ যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলে তার অকাল মৃত্যু ঘটে না।এই কথা শুনে ওই 22 বছরের রিকেট রোগী ওই ঋত্বিক দাদার কাছে সবিস্তারে আরো জানেন সত্যিই কি যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চললে অকাল মৃত্যু ঘটে না। ওই ঋত্বিক দাদা বলেন একথা আমার কথা নয়। একথা আমার পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের কথা অর্থাৎ এ কথার কোন ভুল হবেনা। ওই 22 বছরের রিকেট রোগীটি তখন তার জীবনের কথা সব বললেন - তিনি বললেন আমার 22 বছর বয়স আমার ওজন 22 কেজি।আমি অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু সবার এক কথা।সব ডাক্তারবাবুরা বলছেন আমি আর বেশিদিন বাঁচবো না।আমার বাঁচার মেয়াদ আর তিন মাস ডাক্তারবাবুরা বলেছেন।ওই ডাক্তারবাবুরা বললেন বাড়িতে যেয়ে ভালো করে মাছ মাংস খান ডাক্তারবাবুরা যা বললেন আমি তাই করছি।কিন্তু আমার শরীরের ওজন 22 কেজি আর বেরোয় না। তখন ওই ঋত্বিকদা যার মাধ্যমে পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলতে থাকলেন। কিছুদিন যাওয়ার পর ওই ঋত্বিক দাদার সঙ্গে আরো দেখা হয় ওই রিকেট রোগীর।তিনি বলেন আমার খুব একটা উন্নতি এখনো হয়নি।তখন ওই ঋত্বিক দাদা বললেন আপনি আমার সঙ্গে আমার পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে চলুন।ওই রিকেট রোগী তখন ওই ঋত্বিক দাদার সঙ্গে দেওঘর এই জান।এবং তিনি ঠাকুরের কাছে বলেন ঠাকুর সব ডাক্তাররাই আমাকে বলেছেন আমার আয়ু 3 মাস।আমি কি আর বাঁচবো না ঠাকুর।পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আপনি অনেক দিন বাঁচবেন কিন্তু আপনাকে নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হবে।তা শুনে ওই রিকেট রোগী রাজি হলেন। তিনি বাড়ি ফিরে এসে নিরামিষ খাওয়ার কথা বাড়িতে বলতেই তাহার বাড়ির লোক সবাই খুব রাগা রাগী । বাড়ির লোক প্রত্যেকেই বললেন নিরামিষ খেলে আর এক দিনও বাঁচবি না।কিন্তু ওই রিকেট রোগী নিরামিষ খাবেই।ওই রিকেট রোগী বললেন ডাক্তাররা বলেছেন আমি আর তিন মাস বাঁচব।আমি এখন আমার ঠাকুরের কথা শুনে চলবো।তা শুনে ওই রিকেট রোগের কাকা রিকেট রোগীকে প্রচুর মারধর করেন।কিন্তু রিকেট রোগী ঠাকুরের কথামতো নিরামিষ আহার গহন করতে । কিছুদিন পর তার শরীরের উন্নতি ঘটে। তার ওজন আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।বর্তমানে তার বয়স 77 বছর।তিনি এখন পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের পাঞ্জা ধারী সহপতি ঋত্বিক। তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় শ্রী শ্রী ঠাকুরের নাম করে চলেন।নাম করতে করতে অচৈতন্য হয়ে পড়েন।কিছুক্ষণ পর আবার চৈতন্য ফিরে আসে । বর্তমানে তিনি পানিপারুল মন্দির এর সঙ্গে যুক্ত সুস্থ অবস্থায় আছেন।
বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে নরকবাস
পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত প্রত্যেকটি মানুষ এই এই কথাটি সকলেই জানেন। আমরাও যদি সৎ মানুষের সঙ্গে থাকি আমাদের প্রকৃতি সৎ হবে।কিন্তু আমরা অসৎ মানুষের সঙ্গে থাকি আমাদের প্রকৃতি অসৎ হবেই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি কৌতুকের ছলে সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে । একটি গোবরে পোকা ও একটি ভ্রমর পকার মধ্যে খুবেই ভাব।তারা কিছু সময়ের জন্য একে অপরের ভালো মন্দের খবরা খবর নিত।একদিন ভোমর পোকা গোবর পোকাটিকে বলল বন্ধু তুমি পত্যহ গোবরে থাক,গোবর খেয়ে থাক।তুমি আজ আমার সঙ্গে চলো আজ গোবর খেতে হবে না।তুমি আমার মত ফুলে ফুলে মধু খাবে চলো।সেই কথা শুনে গোবরে পোকা টি ওই ভ্রমর প্রকার সঙ্গে মধু খেতে গেল। ভ্রমর পোকাটি মধু খেয়ে বাড়ি যাবে বলে ঠিক করল সে গোবরে পোকার টিকেও বাড়ি যাওয়ার কথা বলল।কিন্তু গোবরে পোকা প্রথম দিন মধু বেশি খাওয়ার জন্য ওই ফুলের ভিতরেই বিশ্রাম নিল।ভ্রমর পোকাটিকে বাড়ি যেতে বলল।এদিকে ওই গোবরে পোকা টি যে ফুলে বিশ্রাম নিচ্ছিল সেই ফুলটি রাত্রিতে পাপড়িগুলি গুটিয়ে গেছে। পরের দিন সকালবেলায় মালি এসে নিত্য পূজার জন্য ফুল তোলার সময় ওই গোবরে পোকা থাকা ফুলটি তুলে নিয়ে যায়।তখন দিনের আলো ফোটায় ফুলটি আবার পাপড়ি গুলো । গোবরে পোকা এখন লক্ষ্য করে সে দেবতার পদতলে আশ্রয় পেয়েছে।সে যদি ভ্রমর পকার কথা না শুনছো তাহলে দেবতার পায়ে জায়গা হতো না।তাকে গোবর খেয়ে দিন কাটাতে হতো। গোবরে পোকা কি ভাবল সৎ এর ছিলাম বলে আজ আমি দেবতার পদতলে আছি। ফুল বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়।শবদেহ কাজে ফুল ব্যবহার হয়।আবার দেবতার পূজায় ফুল লাগে। তাই আমি সৎ ভ্রমর পকার সঙ্গে ছিলাম বলে দেবতার পায় আশ্রয় পেয়েছি। তাই আমাদের প্রতি প্রত্যেকের সৎ আশ্রয় নেয়া । পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের বলা সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে নরকবাস প্রতি প্রত্যেকের মনে রাখা দরকার।
সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
পুত্রবধূকে আপন করার একটি তুক
প্রত্যেক বাড়িতে দেখা যায় শাশুড়ি আর বৌমার সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়।তাদের সম্পর্ক অহি-নকুল বা একটা চলতি কথা আছে আদা কাঁচকলা সম্পর্ক। এর ফলে বাড়িতে একটা অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি ।
পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র পুত্রবধূকে আপন করার জন্য একটি তুক বললেন _শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন পরের মেয়ে বাড়িতে এলেই তাকে আপন করে নিতে হয়।সে যেমন প্রকৃতির হোক না কেন।তাকে সবার কাছে বলতে হবে আমার বউমা মত আর কারো কারোও বৌমা নেই।যেমন গুনে তেমনি কথাবার্তা সবাইকে আপন করে নিয়েছে।তাহলে সেই যদি খারাপও হয় আস্তে আস্তে সেও ঠিক হয়ে যাবে। তাছাড়াও কিছুদিন পর সংসারের দায়িত্ব তার উপর নেস্ত্য করতে হবে।যাতে বৌমা নিজের সংসারের কথা ভাবতে পারে।তাহলে সে যদি খারাপ প্রকৃতির ও হয় আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।
রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
মানুষ মৃত্যুর পরে কিরূপে থাকে
মানুষ মৃত্যুর পরে কিরূপে থাকে? বা মানুষ সত্যি কি মানুষরূপে আবার ফিরে আসে? পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে এক গুরু ভাই মৃত্যুর পর মানুষ কিরূপে থাকে তা জানার জন্য জিজ্ঞাসা করলে পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেন কি ভাব নিয়ে মৃত্যুবরণ করে এবং সে ইষ্ট পরায়ন কিনা তার উপর নির্ভর করে কিরূপে থাকবে। শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন কেও হয়তো খুব ইস্ট পরায়ণ সে মৃত্যুর সময় ভাবছে আমি তো মারা যাবো কিন্তু আমার গরুটি খুঁটিতে বাধা আছে কে তাকে সরাবে। যেহেতু লোকটি ইষ্ট পরায়ণ ছিল সেই সময় গরুর কথা ভাবতে ভাবতে মৃত্যুবরণ করলে ওই ব্যক্তি গরু রূপে জন্মগ্রহণ করবে ।ইষ্ট পরায়ন থাকার জন্য ওই ব্যক্তি একটি সৎ মিনুষের গৃহে গরু রুপে থাকবে এবং গরুটি ভালো সেবা যত্ন পাবে।ইষ্টমুখি থাকার জন্য পুনরায় মৃত্যুর পর মানুষ রূপে জন্ম গ্রহণ করবে। কিন্তু যে মানুষ ইস্টো মুখী নয় সে মৃত্যুর সময় যদি ভাবে বাঘ সিংহ কথা তখন সে যেভাব নিয়ে মৃত্যুবরণ করবে সে রুপে জন্মগ্রহন করবে। কিন্তু যেহেতু মানুষটি ইষ্টমুখি ছিলনা সেই জন্য বনে বনে ঘুরে বেড়াবে এবং পশুর মৃত্যুর পর আর মানুষরূপে ফিরে আসতে পারবে না।
শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ ও কৃষ্ণের বস্ত্রদান
ধৃতরাষ্ট্রের রাজসভায় যখন দূঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করছিলেন সেই সময় শ্রীকৃষ্ণের বস্ত্র দান করা।পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ইষ্টভৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই ঘটনা। ধৃতরাষ্ট্রের রাজসভায় পাণ্ডব ও কৌরবদের যখন আলোচনা হচ্ছে সেই সময় এক দুষ্টু রাজা ছিলেন শিশুপাল।তার দেবতাদের বর দিয়েছিল তিনি 101 টা খারাপ কাজ করতে পারবেন। ওই দুষ্টু রাজা খারাপ কাজ করতে করতে তার খেয়াল ছিলনা কখন 101 টি খারাপ কাজ হয়ে গেছে। ওই শিশুপাল উত্তেজিত হয়ে কৃষ্ণ ঠাকুর কে গালাগালি দিতে শুরু করেন।কৃষ্ণ ঠাকুর তখন সুদর্শন চক্র দিয়ে রাজা শিশুপালের মস্তক ছেদন করেন। মস্তক ছেদন এরপর ওই চক্র ফিরে আসার সময় কৃষ্ণ ঠাকুরের অঙ্গুলিতে লাগে এবং রক্তপাত । সেই সময় দ্রোপদী ওই জায়গায় উপস্থিত ছিলেন।তিনি নিজের কাপড় ছিড়ে কৃষ্ণ ঠাকুরের হাতে বেঁধে দেন। এখানে আরেকটি ঘটনার কথা উল্লেখযোগ্য।দূর্যোধন ছিলেন খুবই কুচক্রী তিনি সব সময় ভাবতেন পান্ডবদের কিভাবে ক্ষতি করা যায়।একদিন তিনি দুর্বাসা মুনি কে পাঠালেন পাণ্ডবরা যখন অজ্ঞাতবাসে ছিলেন সেই জায়গায়।সেই সময় পান্ডবদের খাবার ঠিকঠাক ছিল । এদিকে দুর্বাসা মুনি ছিলেন খুবই রাগী তার একটুকু দোষ হলেই অভিশাপ দিতেন।ওই দুর্বাসা মুনি কুচক্রী দুর্যোধনের কথা শুনে তা সহস্য শিষ্য কে নিয়ে পান্ডবদের অজ্ঞাতবাস এ যান।জ্যেষ্ঠ পাণ্ডব যুধিষ্ঠির তখন দুর্বাসা মুনি কে শিষ্যদের নিয়ে স্নান করে আসতে বললেন।এদিকে বাড়িতে খাবার নেই।কৃষ্ণ ঠাকুর আগে থেকে তা জানতেন।তিনি আগে গিয়ে দ্রৌপদীর কাছে কিছু খাবার চান।দ্রৌপদি দেখেন হাঁড়িতে কোন খাবার নেই।কৃষ্ণ ঠাকুর সবই জানতেন।তিনি বললেন হারি খুঁজে দেখতে।দ্রৌপদী তখন একটি ভাতের কনা খুঁজে পান এবং কৃষ্ণ ঠাকুর কে তা দেন।ওইযে কৃষ্ণ ঠাকুর কে কনা দিয়েছিলেন সেই জন্য কৃষ্ণ ঠাকুর দুর্বাসা মুনির সহস্য শিষ্যদের খাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এই দুটি ঘটনা থেকে আমরা বুঝিতে পারি পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুরের ইস্ট ভীতি ঘটনার কথা।
বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
শ্রীভগবান ও তার প্রিয় ভক্ত
শ্রী ভগবানের এক পরম ভক্ত ছিলেন।তিনি ভগবানকে বলতেন আমি আপনার সব সময় নাম ধ্যান করি কিন্তু অনেকেই আপনার নাম ধ্যান করে না তাও তারা আমার থেকে বেশি সুখী। ওই বক্তব্য বলতে থাকে ও ভক্তটি। ভগবান বলেন আমি সকলের জন্য একেই ব্যবস্থা করেছি অর্থাৎ আমার দৃষ্টি সকলের দিকে সমান। কিন্তু ওই ভক্ত সে কথা শুনতে রাজি নয়।ওই ভক্ত বলে আমার যত রোগ-শোক দারিদ্র আছে তা দূর করুন। কিন্তু ভগবান সেই একই কথা ওই ভক্তকে বলতে থাকেন।ভক্ত টি ও ভগবান কে একই কথা বারবার বলতে থাকে। শ্রী ভগবান দেখলেন ভক্ত টি একই কথা বারবার বলছে।শ্রীভগবান তখন ওই ভক্তকে বললেন একটি উপায় আছে,এই কথা শুনে ভক্ত টি আত্মহারা হয়ে গেল।ভক্তটি ভগবানকে বললেন বলুন কী উপায় । শ্রী ভগবান বললেন ঐ মন্দিরের পাশে একটি পুরানো বৃক্ষ আছে ঐ বেক্ষে আপনার যত দূঃখ কষ্ট আছে তা লিখে ঐ পূরানো বৃক্ষে রেখে আসুন তা শুনে ভক্ত খুব খুশী।ভক্ত একটু আগাতেই ভগবান বললেন আমার একটি শর্ত আছে।ঐ ভক্ত ভগবানের শর্তের কথা শুনতে চাইলেন।ভগবান বললেন আপনি যখন নিজের দুঃখ কষ্ট যা আছে তা বাঁধার সময় ঐ গাছে আগে থেকে যে পুটলি আছে।ঐ গুলোর মধ্য থেকে আপনার জন্য একটা পুটলি নিয়ে আসবেন।
পুত্র সন্তান লাভ করার তূক
পরম দয়াল পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র পুত্র সন্তান হওয়ার একটি তুক দিলেন। অনেক মায়েদের অনেক দিন বিবাহর পরেও যাদের কোন সন্তা...
-
শ্রী শ্রী ঠাকুরের পঞ্চনীতি _ যজন যাজন ইষ্টভৃতি সস্ত্যয়নী ও সদাচার ।পাঁচটি নীতি কেই পঞ্চনীতি বলা হয়। ...
-
পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের বর্তমান ইষ্টভৃতি মন্ত্র কী ভাবে সৃষ্টি হল। অনেক দিন যায় কিন্তু ইষ্টভ...
-
বাংলার 1295 বঙ্গাব্দে শুক্রবার 30 শে ভাদ্র তাল নবমী তিথিতে যুগো পুরুষোত্তম পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সকাল 7টা05 মিনিটে প...