পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পানিপারুলে। ঐ প্রসঙ্গে ঠাকুরের আলোচনা করছিলেন এক ঋত্বিক দাদা তার আলোচনায় একটি অংশ ওই রিকেট রোগীর মনে দাগ কাটে। ওই আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল যদি কেউ যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলে তার অকাল মৃত্যু ঘটে না।এই কথা শুনে ওই 22 বছরের রিকেট রোগী ওই ঋত্বিক দাদার কাছে সবিস্তারে আরো জানেন সত্যিই কি যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চললে অকাল মৃত্যু ঘটে না। ওই ঋত্বিক দাদা বলেন একথা আমার কথা নয়। একথা আমার পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের কথা অর্থাৎ এ কথার কোন ভুল হবেনা। ওই 22 বছরের রিকেট রোগীটি তখন তার জীবনের কথা সব বললেন - তিনি বললেন আমার 22 বছর বয়স আমার ওজন 22 কেজি।আমি অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু সবার এক কথা।সব ডাক্তারবাবুরা বলছেন আমি আর বেশিদিন বাঁচবো না।আমার বাঁচার মেয়াদ আর তিন মাস ডাক্তারবাবুরা বলেছেন।ওই ডাক্তারবাবুরা বললেন বাড়িতে যেয়ে ভালো করে মাছ মাংস খান ডাক্তারবাবুরা যা বললেন আমি তাই করছি।কিন্তু আমার শরীরের ওজন 22 কেজি আর বেরোয় না। তখন ওই ঋত্বিকদা যার মাধ্যমে পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলতে থাকলেন। কিছুদিন যাওয়ার পর ওই ঋত্বিক দাদার সঙ্গে আরো দেখা হয় ওই রিকেট রোগীর।তিনি বলেন আমার খুব একটা উন্নতি এখনো হয়নি।তখন ওই ঋত্বিক দাদা বললেন আপনি আমার সঙ্গে আমার পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে চলুন।ওই রিকেট রোগী তখন ওই ঋত্বিক দাদার সঙ্গে দেওঘর এই জান।এবং তিনি ঠাকুরের কাছে বলেন ঠাকুর সব ডাক্তাররাই আমাকে বলেছেন আমার আয়ু 3 মাস।আমি কি আর বাঁচবো না ঠাকুর।পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আপনি অনেক দিন বাঁচবেন কিন্তু আপনাকে নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হবে।তা শুনে ওই রিকেট রোগী রাজি হলেন। তিনি বাড়ি ফিরে এসে নিরামিষ খাওয়ার কথা বাড়িতে বলতেই তাহার বাড়ির লোক সবাই খুব রাগা রাগী । বাড়ির লোক প্রত্যেকেই বললেন নিরামিষ খেলে আর এক দিনও বাঁচবি না।কিন্তু ওই রিকেট রোগী নিরামিষ খাবেই।ওই রিকেট রোগী বললেন ডাক্তাররা বলেছেন আমি আর তিন মাস বাঁচব।আমি এখন আমার ঠাকুরের কথা শুনে চলবো।তা শুনে ওই রিকেট রোগের কাকা রিকেট রোগীকে প্রচুর মারধর করেন।কিন্তু রিকেট রোগী ঠাকুরের কথামতো নিরামিষ আহার গহন করতে । কিছুদিন পর তার শরীরের উন্নতি ঘটে। তার ওজন আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।বর্তমানে তার বয়স 77 বছর।তিনি এখন পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের পাঞ্জা ধারী সহপতি ঋত্বিক। তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় শ্রী শ্রী ঠাকুরের নাম করে চলেন।নাম করতে করতে অচৈতন্য হয়ে পড়েন।কিছুক্ষণ পর আবার চৈতন্য ফিরে আসে । বর্তমানে তিনি পানিপারুল মন্দির এর সঙ্গে যুক্ত সুস্থ অবস্থায় আছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন