আজ থেকে অনেকদিন আগেকার কথা।এক মা তার শ্বাশুড়ীকে খেতে দিচ্ছেন। তার শাশুড়ি না-বলা সত্যেও খাবার দিয়ে চলেছেন।শাশুড়ি জিজ্ঞাসা করছেন তোর খাবার আছে তো? ওই মা তখন মৃদু হেস চলেছেন।
এমন সময় শাশুড়ির লক্ষ্য হলো বৌমার কানের ফুল নেই।সেই সময় ওই বৌমার দিদি শাশুড়ি এসে পৌঁছালেন।তিনি গালমন্দ করে বললেন _ কেমন ঘরের থেকে মেয়ে এনেছো জানোনা।এই বলে বাপের বাড়ির লোককেও গালমন্দ করল দিদি শাশুড়ি। বোমাটি চোখে অশ্রুসিক্ত হলো।কাউকে কিছু না বলে তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন। কিছুক্ষণ পর শাশুড়ি বারান্দায় বসে ছিলেন।বৌমা জল আনতে গিয়েছিলেন। দিদি শাশুড়ি পাশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।এমন সময় একটি জেলে বউ একটি কাগজের পুটলি নিয়ে শাশুড়ির কাছে নামালেন।শাশুড়ি জিজ্ঞাসা করলেন এতে কি আছে? জেলে বউটি বলল আমার ছেলের খুব অসুখ। কোথাও কিছু ব্যবস্থা করতে না পারায় আমার কর্তা ঠাকুরের কাছে এসেছিলেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর এই করনফুল দিয়ে বলেছিলেন আমি এটি তোমাকে দান করছি এটি দিয়ে তোমার ছেলের চিকিৎসা করাবে যাও।আজ আমার কর্তা প্রচুর মাছ পেয়েছে সেগুলো বিক্রি করে যে পয়সা হয়েছে তা দিয়ে ওই কর্ণফুলটি যেখানে বাধা ছিল সেখান থেকে এনে আপনাদের ফিরিয়ে দিতে এনেছি। এই কথা জানার পর শাশুড়ি সব বুঝতে পারলেন।বৌমাকে এত গালমন্দ করার পরও সে কোন কথা না বলে চলে গিয়েছিলেন। এই মহীয়সী রমণী আর কেও না _ পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের অর্ধাঙ্গিনী শ্রী শ্রী বড়মা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন