ধৃতরাষ্ট্রের রাজসভায় যখন দূঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করছিলেন সেই সময় শ্রীকৃষ্ণের বস্ত্র দান করা।পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ইষ্টভৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই ঘটনা। ধৃতরাষ্ট্রের রাজসভায় পাণ্ডব ও কৌরবদের যখন আলোচনা হচ্ছে সেই সময় এক দুষ্টু রাজা ছিলেন শিশুপাল।তার দেবতাদের বর দিয়েছিল তিনি 101 টা খারাপ কাজ করতে পারবেন। ওই দুষ্টু রাজা খারাপ কাজ করতে করতে তার খেয়াল ছিলনা কখন 101 টি খারাপ কাজ হয়ে গেছে। ওই শিশুপাল উত্তেজিত হয়ে কৃষ্ণ ঠাকুর কে গালাগালি দিতে শুরু করেন।কৃষ্ণ ঠাকুর তখন সুদর্শন চক্র দিয়ে রাজা শিশুপালের মস্তক ছেদন করেন। মস্তক ছেদন এরপর ওই চক্র ফিরে আসার সময় কৃষ্ণ ঠাকুরের অঙ্গুলিতে লাগে এবং রক্তপাত । সেই সময় দ্রোপদী ওই জায়গায় উপস্থিত ছিলেন।তিনি নিজের কাপড় ছিড়ে কৃষ্ণ ঠাকুরের হাতে বেঁধে দেন। এখানে আরেকটি ঘটনার কথা উল্লেখযোগ্য।দূর্যোধন ছিলেন খুবই কুচক্রী তিনি সব সময় ভাবতেন পান্ডবদের কিভাবে ক্ষতি করা যায়।একদিন তিনি দুর্বাসা মুনি কে পাঠালেন পাণ্ডবরা যখন অজ্ঞাতবাসে ছিলেন সেই জায়গায়।সেই সময় পান্ডবদের খাবার ঠিকঠাক ছিল । এদিকে দুর্বাসা মুনি ছিলেন খুবই রাগী তার একটুকু দোষ হলেই অভিশাপ দিতেন।ওই দুর্বাসা মুনি কুচক্রী দুর্যোধনের কথা শুনে তা সহস্য শিষ্য কে নিয়ে পান্ডবদের অজ্ঞাতবাস এ যান।জ্যেষ্ঠ পাণ্ডব যুধিষ্ঠির তখন দুর্বাসা মুনি কে শিষ্যদের নিয়ে স্নান করে আসতে বললেন।এদিকে বাড়িতে খাবার নেই।কৃষ্ণ ঠাকুর আগে থেকে তা জানতেন।তিনি আগে গিয়ে দ্রৌপদীর কাছে কিছু খাবার চান।দ্রৌপদি দেখেন হাঁড়িতে কোন খাবার নেই।কৃষ্ণ ঠাকুর সবই জানতেন।তিনি বললেন হারি খুঁজে দেখতে।দ্রৌপদী তখন একটি ভাতের কনা খুঁজে পান এবং কৃষ্ণ ঠাকুর কে তা দেন।ওইযে কৃষ্ণ ঠাকুর কে কনা দিয়েছিলেন সেই জন্য কৃষ্ণ ঠাকুর দুর্বাসা মুনির সহস্য শিষ্যদের খাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এই দুটি ঘটনা থেকে আমরা বুঝিতে পারি পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুরের ইস্ট ভীতি ঘটনার কথা।
Thakur anukul chandra and his family /যজন যাজন ইষ্টভৃতি পালনে লাভ/সৎদীক্ষার ফল/ঠাকুরের জীবনি
শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ ও কৃষ্ণের বস্ত্রদান
ধৃতরাষ্ট্রের রাজসভায় যখন দূঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করছিলেন সেই সময় শ্রীকৃষ্ণের বস্ত্র দান করা।পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ইষ্টভৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই ঘটনা। ধৃতরাষ্ট্রের রাজসভায় পাণ্ডব ও কৌরবদের যখন আলোচনা হচ্ছে সেই সময় এক দুষ্টু রাজা ছিলেন শিশুপাল।তার দেবতাদের বর দিয়েছিল তিনি 101 টা খারাপ কাজ করতে পারবেন। ওই দুষ্টু রাজা খারাপ কাজ করতে করতে তার খেয়াল ছিলনা কখন 101 টি খারাপ কাজ হয়ে গেছে। ওই শিশুপাল উত্তেজিত হয়ে কৃষ্ণ ঠাকুর কে গালাগালি দিতে শুরু করেন।কৃষ্ণ ঠাকুর তখন সুদর্শন চক্র দিয়ে রাজা শিশুপালের মস্তক ছেদন করেন। মস্তক ছেদন এরপর ওই চক্র ফিরে আসার সময় কৃষ্ণ ঠাকুরের অঙ্গুলিতে লাগে এবং রক্তপাত । সেই সময় দ্রোপদী ওই জায়গায় উপস্থিত ছিলেন।তিনি নিজের কাপড় ছিড়ে কৃষ্ণ ঠাকুরের হাতে বেঁধে দেন। এখানে আরেকটি ঘটনার কথা উল্লেখযোগ্য।দূর্যোধন ছিলেন খুবই কুচক্রী তিনি সব সময় ভাবতেন পান্ডবদের কিভাবে ক্ষতি করা যায়।একদিন তিনি দুর্বাসা মুনি কে পাঠালেন পাণ্ডবরা যখন অজ্ঞাতবাসে ছিলেন সেই জায়গায়।সেই সময় পান্ডবদের খাবার ঠিকঠাক ছিল । এদিকে দুর্বাসা মুনি ছিলেন খুবই রাগী তার একটুকু দোষ হলেই অভিশাপ দিতেন।ওই দুর্বাসা মুনি কুচক্রী দুর্যোধনের কথা শুনে তা সহস্য শিষ্য কে নিয়ে পান্ডবদের অজ্ঞাতবাস এ যান।জ্যেষ্ঠ পাণ্ডব যুধিষ্ঠির তখন দুর্বাসা মুনি কে শিষ্যদের নিয়ে স্নান করে আসতে বললেন।এদিকে বাড়িতে খাবার নেই।কৃষ্ণ ঠাকুর আগে থেকে তা জানতেন।তিনি আগে গিয়ে দ্রৌপদীর কাছে কিছু খাবার চান।দ্রৌপদি দেখেন হাঁড়িতে কোন খাবার নেই।কৃষ্ণ ঠাকুর সবই জানতেন।তিনি বললেন হারি খুঁজে দেখতে।দ্রৌপদী তখন একটি ভাতের কনা খুঁজে পান এবং কৃষ্ণ ঠাকুর কে তা দেন।ওইযে কৃষ্ণ ঠাকুর কে কনা দিয়েছিলেন সেই জন্য কৃষ্ণ ঠাকুর দুর্বাসা মুনির সহস্য শিষ্যদের খাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। এই দুটি ঘটনা থেকে আমরা বুঝিতে পারি পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুরের ইস্ট ভীতি ঘটনার কথা।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
পুত্র সন্তান লাভ করার তূক
পরম দয়াল পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র পুত্র সন্তান হওয়ার একটি তুক দিলেন। অনেক মায়েদের অনেক দিন বিবাহর পরেও যাদের কোন সন্তা...
-
শ্রী শ্রী ঠাকুরের পঞ্চনীতি _ যজন যাজন ইষ্টভৃতি সস্ত্যয়নী ও সদাচার ।পাঁচটি নীতি কেই পঞ্চনীতি বলা হয়। ...
-
পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের বর্তমান ইষ্টভৃতি মন্ত্র কী ভাবে সৃষ্টি হল। অনেক দিন যায় কিন্তু ইষ্টভ...
-
বাংলার 1295 বঙ্গাব্দে শুক্রবার 30 শে ভাদ্র তাল নবমী তিথিতে যুগো পুরুষোত্তম পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সকাল 7টা05 মিনিটে প...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন