রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০

উত্তরাখন্ডের ভূমিকম্পের 30 জন মায়ের জীবন রক্ষার ঘটনা

 


আজ থেকে অনেক দিন আগের ঘটনা।উত্তরাখণ্ডে আই সি এস (ICS) ট্রেনিং এর জন্য 30 জন মা গিয়েছিলেন।                                                         ঐ মাদের মধ্যে একজন মা পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎদীক্ষায় দীক্ষিত এক মায়ের প্রত্যহ যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলা এক মায়ের ঘটনা।                                            6 মাস আগে পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষা নিয়ে ওই ট্রেনিংয়ের জন্য যান।         তখনকার দিনে মোবাইলের এত প্রচলন ছিলনা।   ঐদিন ওই 30 জন মা ট্রেনিং এর কাজ একটি উত্তরাখণ্ডে গ্রাম পরিদর্শন করেছিলেন। সেই সময় ওয়ারলেস এর মাধ্যমে জানতে পারলেন আজ উত্তরাখণ্ডে ভূমিকম্প হবে।                                     এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।সেদিন ছিল আমাবশ্যা রাত্রি। সেদিন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে সবার কাছে যা খাবার ছিল তা নিয়েই একটি প্রাইমারি স্কুল ঘরে সবাই আশ্রয় নিলেন।                                               হঠাৎ করে মাঝ রাত্রিতে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুরের সদ দীক্ষায় দীক্ষিত মা টির পা টি হঠাৎ করে নাড়া দিয়ে ওঠে।ওই মাটির তখন ঘুম ভেঙে যায়।ওই মাটি তখন দেখতে পান পায়ের  সামনে আলো পড়েছে সেই আলোতে দেখা যাচ্ছে একটি কাল কেউটে সাপ সামনে দাঁড়িয়ে আছে।                 তখন ওই মাটি সকলকে ডাকাডাকি করে সাপ সাপ বলে সবাইকে বাইরে বার করে নিয়ে যান।কখন বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি পড়ছে।বাকি মা রা ওই দীক্ষিত মাটিকে বলছেন এই বৃষ্টিতে ভিজছি শুধুমাত্র ঐ শাপের জন্য।                                        কিছুক্ষণ পর খুব জোরে একটা শব্দ হলো অমাবস্যা রাত থাকার জন্য সেখানে কিছু দেখা যাচ্ছিল না তারপর সে দিন বৃষ্টির  জন্য ওই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না।                                           কিছুক্ষণ পর দেখা গেল যে স্কুল বাড়িতে ওই মায়েরা ছিলেন সেই বাড়িটি সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়েছে।                                                                 এই মা টি পরে চিন্তা করলেন ওই অমাবস্যা রাত্রিতে বিদ্যুৎহীন গ্রামে আলো হলো কি করে।             ওই মা তখন পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের দয়ার কথা বুঝতে পারেন।

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০

হেম কবির এ জিবনে রক্ষা পাওয়া সাত জনম আগের ঘটনা

 


হেম দা উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন।তিনি বিদেশে বহু জায়গায় গিয়েছেন।                                          কাজের সঙ্গে সঙ্গে মদ্যপান এবং বিভিন্ন প্রতিতা নারীদের কাছে প্রতিনিয়তই যেতেন।এইভাবে উশৃংখল জীবনযাপন ছিল তার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।                                                                 এইভাবে চলতে চলতে হেম দা অসুস্থ হয়ে পড়েন।এই সময় এক দাদা হেম দা কে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রমে নিয়ে যান।                          শ্রী শ্রী ঠাকুরের কাছে থাকার জন্য হেম দাকে বলা হলে হেম দা বলেন আমি থাকতে পারি প্রতিদিন আমার মদ চাই।এই কথা শুনে ঠাকুর বললেন আমি রাজি।কিন্তু আমার একটি শর্ত আছে আমি নিজ হাতে আপনাকে মদ খাওয়াবো।হেম দা  শুনে রাজি হলেন।                                                                    এরপর প্রতিদিন হেম দার  জন্য মদ এনে ঠাকুর নিজ হাতে খাওয়াতে থাকেন।                                  এদিকে একটা কথা উঠে যায় ঠাকুর নিজে হাতে এক জনকে মদ দেন।চারিদিকে ঠাকুরকে নিয়ে নানা মন্তব্য শোনা যায়।এই কথার পর অনেক গুরু ভাই আশ্রম ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা । তাতো ঠাকুরের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।শ্রী শ্রী ঠাকুর হেম দা কে মদ খাওয়াতে থাকেন।                                      একদিন যে গুরু ভাই হেম দার জন্য মদ আনতেন ঠাকুরের নামে অপপ্রচার হচ্ছে বলে সেদিন মদ আনলেন । এদিকে শ্রী শ্রী ঠাকুরও কিছু খাবার খেলেন না।তখন সবাই চিন্তায়   পড়লেন।যখন জানা গেল দ্বিপ্রহর পেরিয়ে গেছে ঠাকুর কিছু খাবার খান নেই হেম দাকে মদ না এনে দেয়ার জন্য।তখন  দাদা হেম দার জন্য মদ অনলেন।           শ্রীশ্রী  ঠাকুর না খেয়ে আছেন শুধুমাত্র হেমদাকে মদ না দেওয়ার । তখন হেমদা মদের বোতল মাটিতে ছুড়ে । সেদিন তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন আর কোনদিন মদ খাবেন না বলে।হেম দা বললেন আমি আগে বুঝতে পারিনি ঠাকুর মদ দিয়ে আমার মদ খাওয়া ছড়াবেন।                                                    এরপর হেমদা শ্রী শ্রী ঠাকুরের আশ্রমে থেকে যান।এবং তিনি শ্রী শ্রী ঠাকুরের অনেক গান লেখেন।         অনেকদিন পর শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বলেন ঠাকুর সাত জন্ম আগে আমি কি ছিলাম তা বড় জানতে ইচ্ছে করে।শী শী ঠাকুর বলেন সাত  জন্ম থাক এই জন্মে পরম পিতাকে পেয়েছেন।পরমপিতা কে নিয়ে চলুন।                                                                   হেমদা কিছুদিন ছাড়া ছাড়া একই প্রশ্ন করতে থাকেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর একেই উত্তর দেন।                   তখন হেম দা ভাবলেন ঠাকুর একথা জানেন না বলে আমাকে উত্তর দিচ্ছেন না।                              হেম দা তখন তিব্বতে লামাদের কাছে গিয়ে সাধন করে জানবেন বলে শ্রী শ্রী ঠাকুর এর কাছে অনুমতি নিয়ে একটু আগাতেই শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন হেমদা সাত জনম আগের ঘটনা শুনবেন নাকি।হেমদা বললেন বলুন ঠাকুর।                                                   শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন সাত জনম আগে আপনি বৌদ্ধ ভিক্ষুক । কঠোরভাবে প্রবৃত্তি গুলো দমন করেছিলেন বলে এ জীবনে এত উশৃংখল হয়েছেন। তা শুনে হেমদা বললেন আমাকে তিব্বতে না যেতে দেওয়ার জন্য  শ্রীশ্রী  ঠাকুর একথা বলছেন।               ঠাকুর তখন বললেন এই জীবনের দু একটা ঘটনার কথা সুনবেন নাকি হেমদা? হেমদা বললেন বলুন । শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আজ থেকে 18 বছর আগে এক বন্ধুর বাড়িতে তার ছেলের অন্নপ্রাশনে গিয়ে বাতাবি লেবু তলায় এক মা বাথরুমে বসে ছিল আপনি তাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।আজ থেকে 12 বছর আগে এক বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে পরিশ্রান্ত স্ত্রী দরজা ভেজিয়ে যখন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছিল আপনি তাকে বেআব্রু করেছিলেন। এর পর হেমদা আর কিছু শুনতে চাইলেন না।


শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০২০

বড়মা আদ্যা শক্তি নারায়নী হওয়ার ঘটনা


 পরম পূজনীয়া বড়মা কি করে আদ্ধাশক্তি নারায়নী । বড় মায়ের রান্না ঘরে কাজ করে দিতেন মা ভবতারিণী বলে এক মা।                                         মা ভবতারিণী কে কেন্দ্র করে এই ঘটনার উৎপত্তি।    একদিন ভবতারিণী মা ভাবছেন আমিতো অনেকদিন ঠাকুর বাড়িতে আছি।শ্রী শ্রী ঠাকুরের অনেক অলৌকিক ক্ষমতা আছে।কিন্তু বড়মাকে দেখছি এবং তার সঙ্গে থাকছি কিন্তু তার মধ্যে কোনো অলৌকিক কিছু  আছে বলে আমার মনে হয় না।                                                                    এরকম ভাবতে ভাবতে তিনি ঠাকুরের ঘর থেকে নিচে নেমে আসছেন রান্নাঘরের দিকে।ভবতারিণী মা দেখলেন শ্রী শ্রী বড়মা সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠেছেন।                                                                ভবতারিণী মা দেখলেন -রান্না ঘরে শ্রী শ্রী বড়মা পিড়ার উপরে বসে । বড়মাকে এইভাবে দেখে ভবতারিনী মা মাথা ঘুরে পড়ে অচৈন্য হয়ে গেলেন।     বড়মা ভবতারিণী মা কে  সঙ্গে সঙ্গে জল ছিটিয়ে দিলেন।ভবতারিণী মায়ের জ্ঞান ফিরে এলে বড়মা বললেন তোর কি হয়েছে?ভবতারিণী মা একটি কথাই বারবার বলতে থাকলেন আদ্ধাশক্তি নারায়নী। এই কথা বড়মার কথা উঠলেই তিনি বারবার বলতেন।

মঙ্গলবার, ২৫ আগস্ট, ২০২০

ঠাকুরের পঞ্চনীতি _যজন যাজন ইষ্টভৃতি সস্ত্যয়নী ও সদাচার


 শ্রী শ্রী ঠাকুরের পঞ্চনীতি
_ যজন যাজন ইষ্টভৃতি সস্ত্যয়নী ও সদাচার।পাঁচটি নীতি কেই পঞ্চনীতি বলা হয়।                                                                 যজন কি?  যজন হোলো ঠাকুর সম্বন্ধে জানা । ঠাকুর সম্বন্ধে জানতে গেলে ঠাকুরের অমিও গ্রন্থ ঠাকুর সম্বন্ধে আলোচনা বা ঠাকুরবাড়িতে যাওয়া তাহলেই যজন হবে।                                                              যাজন কি? যাজন হল যজন এর মাধ্যমে আমরা ঠাকুর সম্বন্ধে যা জানলাম তা অন্যের কাছে প্রকাশ করা।                         যাজন করতে গেলে যজন অবশ্যই প্রয়োজন।                                                                                             শ্রীশ্রী ঠাকুর তাই বললেন যজন বিনা যাজন দুধ ছাড়া মাখন।                                                                        ইষ্টভৃতি কি? প্রত্যহ জল গ্রহনের পূর্বে ঠাকুরের ভোগের জন্য যৎকিঞ্চিৎ যে অর্ঘ্য তুলে রাখা হয়।এবং 30 দিনে স দক্ষিণা সহ ঠাকুর সকাশে পেরন করা হয় তা হল ইষ্টভৃতি। এই ইস্টভৃতি করার সঠিক সময় ভোর তিনটা থেকে পাঁচটার মধ্যে অর্থাৎ ব্রম্ভ মহুর্তে।                                                                    সস্ত্যযনী কি? সস্ত্যযনী কথাটা এসেছে স্বস্ত্যয়ন কথা । যা হলো প্রকৃষ্ট ভাবে বেঁচে থাকার পথ।সস্ত্যয়নী হল একটি ব্রত বিশেষ।এই সস্ত্যয়নীর আবার পাঁচটি নীতি আছে। {1}শরীরকে ইষ্ট পূজার যন্ত্র বিবেচনা করে সুস্থ ও সহন পটু করে তুলতে হবে।{2}মনের কোনে যখনই যেকোনো প্রবৃত্তি উকি মারুক না কেন তাকে ইষ্টস্বার্থ ও ইষ্টপ্রতিষ্ঠার অনুকূলে নিয়ন্ত্রিত করতে হবে। {3}যে কাজে যখনই যা ভালো বলে মনে হবে তা কাজে ফুটিয়ে তুলতে হবে।{4} পারিপার্শ্বিকের বাঁচা -বাড়াকে নিজের এই বাঁচা বাড়ার স্বার্থজ্ঞেনে তাদের যা জনসেবায় ইস্টে আকৃষ্ট ও যুক্ত করে উন্নত চলৎশীল করে তুলতে ওহবে।{5}আর চাই নিজের কর্মশক্তি উদ্ভাবনী বুদ্ধি ও অর্জনপটুতাকে বাড়িয়ে তুলে নিত্য বিধি মাফিক অর্ঘ্য নিবেদন।এই আচরণগুলোর পালন করলেই সস্ত্যযনী পালন করা হয়।                                         সদাচার কি? সদাচার হল নিজে এবংপারিপার্শ্বিক  কে বাঁচার জন্য কিছু আচরণ।যেমন মলমূত্র ত্যাগ করার পর ভালো করে সোচকার্য করে সাবান দিয়ে ভালো করে হাত ধুতে হবে।  কোমর পর্যন্ত জল দিয়ে ধুতে হবে।নাকে মুখে হাত দিলে সঙ্গে সঙ্গে হাত ধুতে হবে।   


                    

শনিবার, ২২ আগস্ট, ২০২০

উমেশচন্দ্র লাহাড়ির বাল গোপালের সিংহাসনে ছোট্ট শিশু অনুকূলচন্দ্র

 
উমেশচন্দ্র লাহারি ছিলেন মস্ত বড় জমিদার।তিনি ছিলেন বাল গোপালের উপাসক।                            উমেশচন্দ্র লাহাড়ি মাতা মনমোহিনী দেবী মাসতুতো পিসতুতো ভাই বোন ছিলেন।                                  মাতা মনমোহিনী দেবী ছোট্ট শিশু অনুকূল কে নিয়ে উমেশচন্দ্র বাবুর বাড়িতে গেলেন।উমেশচন্দ্র বাবু তারবাল গোপালের  নিত্য পূজা আরম্ভ করলেন।       যথা যত উপকরণ সামগ্রী ও ভোগ নিবেদন করে বাল গোপালের পূজা আরম্ভ করলেন।তিনি যখন বাল গোপালের ধ্যান কোরছেন,তখন ঢং করে আওয়াজ হল।উমেশচন্দ্রবাবু চোখ খুলে দেখলেন।   তার আরাধ্য দেবতা বাল গোপাল মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে সেই জায়গায় ছোট্ট শিশু অনুকূল দাঁড়িয়ে আছে।তিনি খুব রেগে গেলেন বললেন মনো ছেলের কান্ড দেখে যা।তিনি পুনরায় নতুনভাবে ভোগরাগ  নিবেদন করলেন।পুনরায় পূজা আরম্ভ করলেন।তিনি যখন ধ্যানে বসলেন তখন আবার ঢং করে আওয়াজ হল।উমেশচন্দ্র বাবু দেখলেন বালগোপাল গড়াগড়ি খাচ্ছে এবং সিংহাসনে ছোট্ট শিশু অনুকূল দাঁড়িয়ে আছে।তা দেখে উমেশচন্দ্র বাবু ভীষণ রেগে গেলেন।দারোয়ানকে বললেন তোরা কি ঘুমাচ্ছিস।উমেশচন্দ্র বাবু যখন পূজা করতেন ওই পূজা স্থলে অন্যদের প্রবেশ নিষেধ ছিল।                                   মাতা মনমোহিনী দেবী অতিশয় লজ্জিত হয়ে ছোট্ট শিশুকে নিয়ে বাইরে গেলেন।তিনি দারোয়ানদের সজাগ থাকার জন্য বললেন।যেন তার পূজার স্থলে কেউনা প্রবেশ করতে পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বললেন।উমেশচন্দ্র বাবু পরপর দুটি দ্বার বন্ধ করে দিলেন।                                                                 উমেশচন্দ্র বাবু পুনরায় ভোগ নিবেদন করে তার আরাধ্য দেবতা বাল গোপালের পূজা আরম্ভ করলেন।আবার তিনি যখন ধ্যানে বসলেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলো।দেখলেন বাল গোপাল মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে সেই জায়গায় ছোট্ট শিশু অনুকূল দাঁড়িয়ে আছে।                                         মাতা মনমোহিনী এলেন অনুকূলচন্দ্র কে বললেন,এত বারণ করা সত্ত্বেও তুমি এখানে আসছো কেন?ছোট্ট শিশু অনুকূলচন্দ্র বললেন আমাকেও বারে বারে ডাকে কেন?                            উমেশচন্দ্র লাহারির সব ভ্রম দূর হলো।তিনি বুঝতে পারলেন তার আরাধ্য দেবতা  ছোট্ট শিশু  অনুকূলচন্দ্র একেই। 

শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০২০

ঠাকুর একটি ছাগল ছানার জন্য নীজের জীবন দিতে চেয়েছিলেন।

 1919 সালে চৈত্র সংক্রান্তির দিন এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটেছিল।হেমায়েতপুরের সৎসঙ্গ নিকটস্থ শ্মশান ভূমিতে শক্তির  উপাসক খুব ধুমধাম সহকারে একটি ছাগল ছানা কে জগৎমাতার পূজার জন্য বলি দিবেন বলে ঠিক করেছেন।শ্রীশ্রী ঠাকুর সেই সময় ওই শ্মশানে ভূমিতে পৌঁছালেন।তিনি ওই শক্তি সাধককে বললেন মা কিছুতেই এই বলি নিতে পারেন । কারণ মা জগত জননী তিনি সন্তানের বলি নেবেন কি । অনত্য শ্মশান থাকা সত্ত্বেও ঠাকুরের প্রাণে ব্যথা লাগে এই কারণেই হেমায়েতপুরের শ্মশান ভূমিতেই ছাগ বলির ব্যবস্থা করলেন ওই শক্তির উপাসক।                                                     পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ঐ ছাগলের শিশুটিকে ছাড়ার জন্য শক্তির উপাসকের কাছে অনুনয়-বিনয়  । শক্তির উপাসক ঠাকুরের কথায় রাজি হলেন না।শ্রীশ্রী ঠাকুর তখন বললেন আপনি যে যোগ্য করছেন বাম বোনকে কিছু দান করার ব্যবস্থা আছে আপনি ওই ছাগল শিশুটিকে আমায় দান করুন আমি ব্রাক্ষণ সন্তান। ওই শক্তির উপাসক বললেন আপনাকেই ছাগল ছানা দেবো না।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন ছাগল বলি না দিয়ে অন্য উপাচারে মায়ের পূজা করুন।                                  শক্তির উপাসক তাও রাজি হলেন না।পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর বললেন ওই ছাগলের ছানা দিকে ছেড়ে দেন তার জায়গায় আমাকে বলি । তখন শ্রী শ্রী ঠাকুরের একজন ভক্ত ঐ জায়গায় উপস্থিত হন । ওই ভক্ত বললেন ঠাকুরের প্রানে ব্যাথা লাগছে বলে তিনি নিজের প্রাণ দিতে চাইছেন ছাগল ছানার । ওই ভক্ত বললেন আপনি ঠাকুর করে দেন তার জায়গায় আমাকে বলে দেন।                                    ওই ভক্ত বললেন আমি ব্রাহ্মণ সন্তান আমি ব্রহ্মচারী আমার আর কেউ নেই।আপনার খড়্গ আমায় দিন।আমি নিজেকে নিজেই বলি । আমার এই আত্ম বলিতে আপনার কোন দোষ হবে । সেই সময় মাতা মনমোহিনী দেবী এসে পৌঁছালেন ঘটনাস্থলে।শ্রী শ্রী ঠাকুর কে তিনি নিয়ে চলে গেলেন।ঠাকুর মার্তি ভক্তির জন্য চলে । কিন্তু পাগলের মতো ছোটাছুটি করতে লাগলেন।               ঠাকুরের এই অবস্থা দেখে ভক্ত নফর মাতা মনমোহিনী দেবীর কাছে অনুমতি চাইলেন ওই ছাগল ছানা টি আনার  । মনমোহিনী দেবী বললেন কোনরূপ ঝামেলা ছাড়াই যদি আনতে পারো তা হলে । নফরতে দেখলেন শক্তির উপাসকের 25 থেকে 30 জন ওই ছাগল ছানা দিকে ঘিরে । নফর তখন প্রচন্ড হুঙ্কারে জয়গুরু বলে ওই ছাগল ছানা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এলেন।                               শ্রী শ্রী ঠাকুর মৃত্যুমুখে পতিত উদ্ধার  ছাগলছানা  দেখে চুম্বন করতে নাগলেন।
𐂈

বুধবার, ১৯ আগস্ট, ২০২০

ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে ডি ডি টি দেওয়ার ঘটনা

 

গ্রামবাংলায় মশার উপদ্রব খুব বেশি।            মশা তাড়ানোর জন্য সরকারি প্রচেষ্টায় ডি ডি টি (ডাইক্লোরো ডাই ফিনাইল ট্রাইক্লোরো ইথেন ) স্প্রে প্রচলন আজও আছে।                                           অনেকদিন আগেকার কথা পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সদ দীক্ষায় দীক্ষিত একটি পরিবার ডি ডি টি কে কেন্দ্র করে আইনের মারপ্যাঁচে জড়িয়ে পড়েন তা থেকে কী ভাবে রক্ষা  পেলেন সেই ঘটনার কথা।আলোচনার মুল বিষয়।    শ্রী শ্রী ঠাকুরের সদ দীক্ষায় দীক্ষিত পরিবারটির পরিবারের যিনি প্রধান তার এই ঘটনা।                      ওই গ্রামে সেদিন ডি ডি টি স্প্রে হচ্ছিল।ওই বাড়ির কর্তা সরকারি কর্মচারী ছিলেন।তিনি অফিসে যাওয়ার আগে বাড়ির সকলকে ডেকে বললেন।আজ এই গ্রামে ডি ডি টি স্প্রে হচ্ছে।তোমরা সকলেই লক্ষ্য রাখবে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে কেন ডি ডি টি স্প্রে না হয়।এই বলে তিনি অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।কিছুদুর যাওয়ার পর আবার পিছনে তাকিয়ে বাড়ির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বললেন লক্ষ্য রাখার কথা।ওই দাদা অফিসে যাচ্ছেন কিন্তু তার ডি ডি টি দেওয়ার কথা মাথা থেকে কিছুতেই যাচ্ছিল না।                     ডিডিটি দেয়ার জন্য ওই বাড়িতে লোকেরা এল।বাড়ির প্রত্যেক সদস্য তাদেরকে বললেন।পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের প্রতিকৃতিতে জেন ডিডিটি স্প্রে না করা হয়।কিন্তু তা শুনলেন না।তারা ওই প্রতিকৃতিতে বেশি করে ডিডিডি স্প্রে করলেন।তারা বললেন ওই প্রতিকৃতিতে মশার ডিম থাকবে।আমাদের সরকারি নির্দেশ আছে ওই জায়গায় স্প্রে করার জন্য।                                     ওই বাড়ির যিনি কর্তা তিনি অফিস থেকে ফিরে ঠাকুরের প্রতিকৃতির দিকে লক্ষ্য করলেন।তিনি প্রচণ্ড রেগে গেলেন।এবং বাড়ির লোকদের বললেন বারবার বলা সত্ত্বেও তোমরা ওদেরকে কিছু বলনি।বাড়ির বাকি সদস্যরা সব কথা বললেন।তা শুনে ওই বাড়ির কর্তা যারা ডি ডি টি স্প্রে করছিল তাদের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।তাদেরকে দেখা পাওয়ার পর।তিনি বললেন বারণ করা সত্ত্বেও আমার ঠাকুরের প্রতিকৃতিতে কেন ডি ডিটি স্প্রে করেছেন।এইভাবে তাদের তর্ক বেঁধে যায়।ওই বাড়ির কর্তা তখন যে ডি ডি টি প্রে  করছিল তার গায়ে হাত লাগান।তারাও ছিল সরকারি কর্মচারী।ওই দাদাও ছিলেন সরকারি কর্মচারী।ওই দাদা বুঝতে পারলেন তারা আইনের আশ্রয় নেবে।ওই দাদা তখন ঠাকুর বাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা । সকল সমস্যার সমাধান জানবি ইস্টো প্রতিষ্ঠান।                ওই দাদা ঠাকুরের কাছে সব কথা বললেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন মারলি কেন?কই দাদা বললো রাগের বসে হয়ে গেছে।                                          শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তখন ঠাকুরবাড়ির এক উকিলের কাছে পাঠালেন।ঠাকুর বললেন আমাকে লেখাটা দেখিয়ে নিয়ে যাবে।সেই মত কাজ।ওই দাদা ঠাকুরের কাছে লেখা দেখাতে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর আরো এক লাইন যোগ করে দিলেন।       ওই দাদা বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর।তিনি দেখলেন কোর্ট থেকে  নোটিশ এসেছে।তিনি কোর্টে হাজির হলেন ঠাকুরের লেখাটি নিয়ে।                                 কোটের কাজ শুরু হতেই ওই দাদার ডাক পড়ল।ওই দাদা তখন ঠাকুরের লেখা ওই কাগজ টি জজ সাহেব কে দিলেন।জজ সাহেব খুব চিন্তা করছেন পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র যে লাইনটা লিখেছিলেন সেই লাইনটি বারবার আন্ডারলাইন করছেন।ওই লাইনটিতে লেখা ছিল এই ঘটনা যদি গান্ধীজীর প্রতিকৃতিতে করা হতো আপনি কী করতেন? ঐ জজ ছিলেন গান্ধীজির পরম ভক্ত।        ঐ জজ ভাবলেন আমি তাকে মেরে ফেলতাম।ঐ কেস তিনি ডিসমিস করে দিলেন।                             পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর জানতেন যে জজের কাছে ঐ দাদা যাবেন তিনি গান্ধীজির ভক্ত।                শ্রীশ্রী ঠাকুর এই ভাবে ঐ দাদাকে আইনের হাত থেকে রক্ষা করলেন।        

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

ঠাকুরের কাছে কিভাবে কিছু চাইব

 


এক রাজা ছিলেন।ওই রাজার একটি গুনগ্রাহী চাকর ছিল।তার নাম ছিল ভজ।                                ওই রাজার বাড়িতে আনন্দের মুহূর্ত তৈরি হয়েছে।ওই রাজার পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে।      রাজা ও রানী ঠিক করলেন।এই শুভ ক্ষনে আমার রাজ্যে যত পজা আছে।সবাইকে কিছু না কিছু দান করব।রাজার লোক পাঠিয়ে ঢেঁড়া পিটিয়ে বলতে বললেন যে সবাইকে কিছু দান করা হবে সবাই যেন উপস্থিত হন।সেই সুসংবাদ শুনেই প্রত্যেক প্রজা দান নিতে চলে এলেন।                                           এদিকে রানীর খেয়াল হলো তাদের বিশ্বস্ত চাকর দান গ্রহণ করেননি।                                               রানী তখন রাজার কাছে ভজ ওকে কিছু দেয়ার জন্য বললেন।                                                        সেই সময় রাজা ভজকে ডেকে পাঠালেন।রাজা বললেন সবাই কিছু না কিছু দান নিয়ে বাড়ি গেছে।  তুমি কেন কিছু নাওনি।তুমি চেয়ে নাও তোমার কি দরকার।ভজো তখন বলল প্রভু আপনার দয়ায় আমার সব আছে তাইআমি কিছু চাইনি।রানী তখন অনুনয়-বিনয় করলে বললেন ভজা তোমাকে কিছু নিতেই হবে।                                                          ভজো কিছু নিতে চাইছে না রাজা রানী কিছু না দিয়ে ছাড়বেন না।ভজ তখন বলল একান্তই যদি কিছু দিতে হয় তাহলে আমার একটি চাওয়া আছে।এই গরিবের বাড়িতে রাজা মশাইয়ের  পায়ের ধুলো পড়ে।                                                                     রাজা যখন খুশি হয় অনুমতি দিলেন।তিনি তার মন্ত্রী কে বললেন ভজর বাড়িতে যাওয়ার জন্য ব্যবস্থা করার।মন্ত্রীমশায় বললেন আপনিতো যাবেন বলছেন ভজর বাড়িতে কিন্তু ওখানে যাবার মতো কোনো রাস্তা নেই।সেই শুনে রাজামশাই ভজর বাড়ি থেকে রাজবাড়ী পর্যন্ত রাস্তা করার অনুমতি দিলেন। রাজামশাই মন্ত্রীকে বললেন রাস্তা হয়ে গেছে চলুন ভজন বাড়ি যাওয়া যাক।                                        মন্ত্রী সে কথা শুনে বললেন এখনো যাওয়ারও অসুবিধা আছে।রাজা বললেন রাস্তা ছিল না রাস্তা তো হয়েছে আর কি অসুবিধা আছে।মন্ত্রীমশায় বললেন ওর বাড়িতে যাবেন ওর তো কোন বাড়ি নেই।আপনি কোথায় গিয়ে উঠবেন।রাজামশাই সে কথা শুনে ভজন পাকা বাড়ি করার নির্দেশ দিলেন।বাড়ি যখন হয়ে গেল তখন মন্ত্রী মশাই কে বললেন এবার এই বার চলুন ভজর বাড়ী যাওয়া যাক।রাজামশাই-এর কথা শুনে মন্ত্রীমশাই বললেন এখনো অসুবিধা আছে। আপনিতো ভজন বাড়ি যাবেন বলছেন ভজর বাড়িতে কেউ থাকেনা।আপনাকে আপ্যায়ন  করবে কে।রাজা সে কথা শুনে মন্ত্রী মশাই কে বললেন ভজর জন্য একটি সুযোগ্য পাত্রী ঠিক করে ভজন বিয়ে দিয়ে দিন।রাজামশাই-এর কথামতো ভজর সুন্দরী শিক্ষিতা নারীর সঙ্গে ভজন বিবাহ হলো।তখন রাজামশাই মন্ত্রীকে বললেন চলুন এরপর ভজবাড়িতে যাওয়া যাক।মন্ত্রীমশাই বললেন আর কোনো অসুবিধা নেই এরপর যাওয়া যাবে।                                             প্রত্যেকের এই চাওয়াই দরকার।একটি চাইলেই যে অন্য সকল গুলি পাওয়া যায়।পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সত্যানুসরণ এ বলা আছে এই কথা। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত এরকম চাওয়া যাতে এক চাইলেই  সবকিছু হয়।

অপরের রোগ কিভাবে নিজের আসে


 পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের নিজের জীবনের ঘটনার কথা।                                            পেক্ষাপট  1956 সালের একুশে মে । একটি বিশেষ ঘটনা ঘটেছিল।শ্রী শ্রী ঠাকুর জামতলায় অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন।ঠাকুরের প্যারালাইসিস হয়ে গেছে।ডান দিকটা সম্পূর্ণ অবস।                                      1961 সালে শ্রীশ্রী ঠাকুর সকালবেলায় পার্লারে বসে আছেন।চৌকির উপর বসে ছিলেন।বেশি নড়াচড়া করতে পারতেন না।ঠাকুর বলছেন এটাই এখন আমার সাম্রাজ্যঃ।তারপর ঠাকুর বলতে লাগলেন।এইযে প্যারালাইসিস এটা আমার ছিলনা।আমি খুব ভালোই ছিলাম।আমার এই অসুখের আগেই আমি জামতলার ঘরে থাকতাম।                                                 শ্রীশ্রী  ঠাকুর বলছেন আমার বেশ মনে আছে একজন রোগী । তারেক অঙ্গ প্যারালাইসিস হয়েছে।সেই জামতলার অদূরে পড়ে থাকত । আর সে আমাকে দেখলেই প্রার্থনা করত দয়া করে আমার এই রোগটা নিয়ে  নেন।আমি আর সহ্য করতে পারছি না।আপনার সহ্য ক্ষমতা আছে।আপনার দিন চলে যাবে কিন্তু আমার চলবে না।আপনি নেন ঠাকুর,আপনি নেন ঠাকুর।এই কথা কান্নাকাটি করে  বলতো।আমার কোন রোগ ছিল না।কিছুদিন পর আমার এই রোগটা হলো।                                            এর আগে একজন পক্ষাঘাত  রোগী এসেছিল।সে ওইভাবে কেঁদেকেটে বলতো।এরকম অনেক রোগী আসতো।                                                               শ্রী শ্রী ঠাকুর সরৎ দার দিকে তাকিয়ে বললেন আমি বলছি না যে ওই জন্য আমার রোগটা । কিন্তু ওই ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই আমার রোগটা  হল । এরকম অনেক ঘটনার কথা আছে।যেমন সতীশ তার পেটের ব্যায়াম ঠাকুর নিয়েছিলেন।তারপর ঠাকুর কলকাতা কার্শিয়াং প্রভৃতি জায়গায় বায়ু পরিবর্তন করে এই রোগ সারিয়ে ছিলেন।                তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত ঠাকুরের কাছে এই প্রার্থনা না করা।

রবিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২০

বর্তমান ইষ্টভৃতি মন্ত্র সৃষ্টির রহস্য


পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের বর্তমান ইষ্টভৃতি মন্ত্র কী ভাবে সৃষ্টি হল।                                অনেক দিন যায় কিন্তু ইষ্টভৃতি মন্ত্র ঠিক হয়নি।   শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন বড় খোকা অনেকদিন হলো এরপর একটা ইষ্টভৃতি মন্ত্র ঠিক করা দরকার।   অনেক দিন চলে যায়। ইষ্টভৃতি মন্ত্র  তো আর ঠিক হয়নি। একদিন বড়দা গদ্দা কারে একটি  মন্ত্র তৈরি । বড়দাদা সেটি গোস্বামী দাকে দেখালেন।                                            সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে তাদের আদরের বাবু   (আচার্যদেব শ্রীশ্রী দাদা) যাচ্ছিলেন।তিনি সেটা দেখার পর সেটা পদ্দাকারে রুপ দিলেন।                                                                                                                সেদিন ছিল সাতাশে (27)মে 1964 সাল।   সেদিন ভারতের
প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জহরলাল নেহেরুর পরলোক গমনের দিন। ঠাকুর ওই সময় কারো সঙ্গে কথা বলছেন না।বড়দা ওই ইষ্টভৃতি মন্ত্র  নিয়ে  ঠাকুরের কাছে গেলেন।ঠাকুরের তখন মুখ গম্ভীর।বরদা বললেন ইষ্টভৃতি মন্ত্র টা নিয়ে এসেছি।ঠাকুর গম্ভীরভাবে বললেন দে।ঠাকুর ওই মন্ত্র  দেখে   ওই গম্ভীর ভাব কেটে ঠাকুর লাফিয়ে বিছানায় উঠে গেলেন।বললেন খুব ভালো হয়েছে।  তখন তিনি সব ভুলে গেলেন।আত্মহারা হয়ে । বড়দাকে বললেন ইষ্টভৃতি মন্ত্র তৈরি হলো।একটা সমস্কৃত রূপ দেয়া দরকার।  পরে কা সংস্কৃত রূপ দেয়া হয়েছিল।                                                       এইভাবে বর্তমান ইষ্টভৃতির মন্তর  তৈরি হয়েছিল।
         

শুক্রবার, ১৪ আগস্ট, ২০২০

মাগুর মাছের ঘটনা /সৎ দীক্ষার ফল

 

  
পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুরের পন নাতি পূজনীয় বাবাই দা,একটি আলোচনা প্রসঙ্গে দুটি মাগুর মাছের ঘটনা দিয়ে সদ দীক্ষায় কি লাব তা বুঝিয়ে ছিলেন।                                                                   একটি জলাশয় । তাতে দুটি মাগুর মাছ ছিল।        প্রতিদিন জেলেরা মাছ ধরতে আসতো জলাশয়ে।  ওই দুটি মাগুর মাছ জেলেদের জালে কোনদিন ধরা পড়েনি।                                                                  ওই দুটি মাগুর মাছের মধ্যে একটি ছিল সৎদীক্ষায় দীক্ষিত।আরেকটি সদ দীক্ষা নিতে কিছুতেই রাজি নয়।যে মাগুরমাছ টি সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত। সে প্রতিদিন আরেকটি মাগুর মাছ কে দীক্ষার  কথা বলে।কিন্তু এই মাছটি কোনদিন দীক্ষা নিতে চায়নি। কিন্তু ওই মাছটি  কোনদিন বলতে ছাড়েনি দীক্ষা নাও বলে ।                                                             ওই মাছটি বলতে থাকে সৎ দীক্ষা নিয়ে কি লাভ হবে। আমি তো বেশ ভালোই আছি ঘুরছি ফিরছি কোন অসুবিধা নেই।                                              কিন্তু এই মাছ প্রত্যহ বলতেই থাকে। একদিন বলল তুমি যখন এতো করে বলছ সৎদীক্ষা নিতে, এই বলে মাগুর মাছটি সৎ দীক্ষা নিল।                           ঐদিন ওই জলাশয় থেকে জেলে এসে মাগুর মাছ দুটি ধরে  ফেলল।                                                   তখন যে মাছটি  সেইদিন দীক্ষা নিল, অপর মাছটি কে বলছে আমি তো বেশ ভালোই ছিলাম সৎদীক্ষা নিয়ে আমার কি লাভ হল। এবার ও জেলের হাতে মরবো।তখন অপর মাছটি বলছে  মরতে তো একদিন হবেই ঠাকুরের নাম করে চল।তখন ওই দুটি মাছ ঠাকুরের নাম নিয়ে জেলের হাতে ধরা পড়ে চলতে থাকলো।                                              জেলে তার স্ত্রীকে বলল আমি বাজার থেকে ঘুরে আসছি তুমি মাছগুলোকে  রান্না করে রাখো।             জেলে যখন বাজারে গেছে তখন রাজার একজন কর্মী ঢেঁড়া পিটিয়ে বলছে দুটি মাগুর মাছ  দিতে পারবে প্রচুর স্বর্ণমুদ্রা দেয়া হবে।                     তখন ওই জেলে ছুটতে ছুটতে বাড়ি যায়। তার স্ত্রীকে বলে তুমি কি মাছ গুলো কেটে দিয়েছো?জেলে স্ত্রী বলছেনা কাটিনি পাঁস মাখিয়ে রেখেছি। তখন ওই জেলে বলল ওই দুটি মাছ জ্যান্ত অবস্থায় রাজাকে দিলে অনেক স্বর্ণমুদ্রা পাওয়া যাবে।                                                                   রাজার কাছে মাছ দুটি দিয়ে জেলে স্বর্ণমুদ্রা নিয়ে বাড়ি চলে এলো। রাজা তখন ওই দুটি মাছকে তা শান বানানো দিঘিতে ছেড়ে দিলেন। এবং ওই মাছ দুটিকে দেখাশোনার জন্য প্রহরী ঠিক করলেন। সৎদীক্ষা গ্রহনের ফল মাছটি বুঝতে পারল।

বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০

হার্টকে সুস্থ রাখতে এবং হার্টের কোন রোগ হলে আমাদের ভূমিকা

 হার্টকে সুস্থ রাখতে আমাদের কিছু করণীয় বিষয় _ আমরা পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত হওয়ার পর কিছু নিয়ম পালন করে চলি।                                                                       এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো সবধ্যান।  সবধ্যান আমরা প্রত্যেকেই জানি।কিন্তু পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সদ দীক্ষায় দীক্ষিত তাদের সবধ্যান সম্পূর্ণ আলাদা।         

                                    এই সবধ্যানের নিয়ম হলো _রাতে শোয়ার আগে অন্তত পাঁচ মিনিট এই  সবধ্যান করতে হবে। এই সবধ্যান করার সময় মাথার পিছনে শ্রী শ্রী ঠাকুরের যে চক্র ছবি তা মনে করে চক্র ধ্যান  করতে হবে।       তাহলে আমাদের হাটের কোন সমস্যা থাকবে না।                                     আবার যদি কারোও হার্টের সমস্যা থেকে থাকে তা হলেও তা ঠিক করার জন্য এই সবধ্যানের সঙ্গে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের নিজ হাতে তৈরি Cardotone এর ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।       
                                                            এই Cardotone ব্যবহার করলে হাটের যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।                এই   Cardotone  ব্যবহারের নিয়ম _এই Cardotone প্রত্যহ খালি পেটে কিছু মধুসহ 5 ml   প্রত্যহ সেবন করতে হবে।                                          তাহলে আমাদের যেকোনো হার্টের সমস্যা আর থাকবে না।যেমন হার্টের ভাল্ব বসে যাওয়া,এনজাইনা পেকটোরিস,মায়োকার্ডিয়াম ইত্যাদি রোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারি। 

অনুকূল চন্দ্রের জন্ম রহস্য

 


পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বাংলার 1295 বঙ্গাব্দে 30 শে ভাদ্র শুক্রবার  তাল নবমী তিথিতে  সকাল 7 টা 5 এ পিতা শিবচন্দ্র গৃহ আলো করে এই ধরাধাম কে রক্ষা করার জন্য নর রূপে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হলেন ।                                                             ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকেই শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র খিলখিল করে হাসতে থাকেন।তার হাসির ছটায় ওই বাড়িতে আগুন লেগেছে বলে সকলে যে যা পেরেছে তাতে করে জল নিয়ে ছুটে আসছে।সকলে দেখে ছোট্ট শিশু খিলখিল করে হাসছে।তার রূপের ছটায় ওই বাড়ি আলোকিত হয়েছে।                                                                                          তখন মাতা মনমোহিনী দেবী অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন। এবং ঢাইমা নিদ্রামগ্ন ছিলেন।                       রামকৃষ্ণদেব যখন এই ধরাধাম ছেড়ে যাচ্ছেন,তিনি বললেন পর্ষদ এর জন্য আমি কিছু দিয়ে যেতে পারলাম না আমি খুব শীঘ্রই আসছি বায়ু কোণে যার প্রথম অক্ষর অ দিয়ে শুরু।                                                                    এই হলো পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর এর জন্ম বৃত্তান্ত।

বুধবার, ১২ আগস্ট, ২০২০

থানকুনির উপকারিতা

থানকুনি পাতার গুরুত্ব অপরিসীম।আমরা পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত  প্রত্যেকেই ইষ্টভৃতি করার পর দাঁত মাজার পর 3 টি  ডাটা সহ থানকুনি পাতা চিবিয়ে খাওয়ার পর পেট ভর্তি করে জল খাই।

থানকুনি পাতা খাওয়ার নিয়ম খালি পেটে। তাহলে এর কার্যকারিতা অনেক গুণ বৃদ্ধি পায়।                                                                  থানকুনি পাতার উপকারিতা _(1) আমরা যে সমস্ত খাবার খাই তারমধ্যে বেশিরভাগেই শরীরে টক্সিন সৃষ্টি করে  তা দূর করতে থানকুনির অবদান খুবই গুরুত্বপূর্ণ                                                              ( 2) আমাদের পৃথিবীর ভারসাম্য নষ্ট হয়ে পড়েছে তার ফলে আমাদের সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি সরাসরি আমাদের শরীরে প্রবেশ করছে যার ফলস্বরূপ ত্বক ক্যান্সার হতে পারে।কিন্তু থানকুনি পাতা প্রত্যহ সেবন করলে এই ত্বক ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।তাছাড়া ত্বক মসৃণ রাখতেও থানকুনি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে।                 (  3) বুদ্ধি বিকাশের জন্য নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়া দরকার।                                                     (4)   থানকুনি এ ছাড়া 64 প্রকার রোগ পতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে                    

পিয়াজ রসুন আমিষ না নিরামিষ

 


পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আমরা সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত তারা অনেকে পিয়াজ রসুন পছন্দ করেন না।বেশিরভাগ মানুষ সাত্ত্বিক আহার পছন্দ করেন।অর্থাৎ সাত্বিক ব্যক্তিরা পেঁয়াজ-রসুন খান না।                                                                   পিয়াজ রসুন না খাওয়ার একটি পৌরাণিক ঘটনা আছে।        যখন সমুদ্র মন্থন হয়েছিল ওই সমুদ্রমন্থনের সময় যে অমৃত উঠেছিল তারা দেবতাদের ভাগ করে দিচ্ছেন মুনহি অবতার।                            সেই সময় রাহুল ছদ্মবেশে ওই অমৃত পান করতে যান সূর্য ও চন্দ্র দেব তা বুঝতে পেরে
মুনহি অবতার কে দেখিয়ে দেন।সেই সময় অবতার রাহুল গলা কেটে দেন।                      ওই রাহুর রক্ত মাটিতে পড়ে।ওই রক্ত থেকে পিয়াজ রসুনের সৃষ্টি হয় বলে জানা যায়।      যেহুতু অসুরের রক্ত থেকে পিয়াজ রসুনের সৃষ্টি তাই ওই পিয়াজ রসুন খেলে অসুরের মত শক্তি এবং প্রবৃত্তি হয় বলে অনেকেই পেঁয়াজ রসুন খান না

মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০২০

করোনাভাইরাস

 করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে আমাদের কি করা দরকার                                                                 পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র  দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন যেসব বিধান দিয়েছিলেন         আজ হু ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন সেই সব বিধান দিয়ে চলেছেন পরম দয়ালু শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন অজ্ঞাত কুলশীল ব্যক্তির হাতে কিছু খেতে নেই তার জন্য সপাক  শ্রেয় অর্থাৎ নিজ হাতে রান্না করে খাওয়াই শ্রেষ্ঠ শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন পরের জামাকাপড় গামছা ব্যবহার করা যাবে না এমনকি এক পাততে আহার করা যাবে না   ৷                       শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন কেউ হয়তো সহনশীল অর্থাৎ রোগ বহন করে নিয়ে যায় তার রোগ না হলে অন্যকে ছড়িয়ে দেয় পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর বলছেন আমার হাত ধোয়া অভ্যাস অনেকদিন থেকে কেউ হয়তো পেপারটি নিয়ে আমাকে দিয়েছে তার কুষ্ঠ কেউ টাকা পয়সা দিলো তার কোন ছোঁয়াচে রোগ আছে  তাই আমি সব সময় হাত ধুতাম আজ হু অর্থাৎ ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন সেই কথা বলছেন                                                  আরো কিছু নিয়ম আমাদের পালন করতে হবে        ইমিউনিটি পাওয়ার বাড়ানোর জন্য ঠাকুর বাড়ি থেকে কিছু নির্দেশ এসেছে                                     যেমন প্রত্যহ একটু করে কাঁচা হলুদ খেতে হবে        পাতিলেবুর রস খেতে হবে                                      প্রত্যহ খাবারে পেঁপে থাকা বাঞ্ছনীয় 

 

রামচন্দ্রের বনবাস এর সময় বিশেষ ঘটনা


কেরল এবং কুরগের ছিল জ্ঞাতি  বিরোধ এক সময় লক্ষণ ঘুরতে ঘুরতে কুরগ  থেকে কেরলে পৌঁছালেন ,          সেই সময় লক্ষণের মনে হল বাবা  খুব বোকা বিমাতার কু পরামর্শে দাদাকে বনবাসে পাঠালেন, এবং আমিও খুব বোকা দাদার সঙ্গে  বনবাসে চলে এলাম, পরক্ষণে তিনি যখন ফিরে গেলেন তখন তার চৈতন্য হলো,                                                         তিনি ভাবলেন দাদা নাই শুনুন আমি তার নিয়ে খারাপ মন্তব্য করেছি, আমি আর এ জীবন রাখব না, তাই তিনি চিতা  সাজিয়ে অগ্নিকুন্ডে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ বিসর্জন দিবেন এই সিদ্ধান্ত যখন নিয়েছেন, রামচন্দ্র তখন সব বুঝতে পারলেন তিনি তখন অগ্নিগিরি বক্ষে তির নিক্ষেপ করে লক্ষণের প্রাণ বাঁচালেন, লক্ষণ প্রভু রামচন্দ্র কে সব কথা খুলে বললেন রামচন্দ্র বললেন এই দুটি জায়গার জন্যই তোমার মনে এ কথা উদয় হয়েছিল 

অকাল বার্ধক্য দূরীকরণের উপায়


অকাল বার্ধক্য আমরা কিভাবে দূর করতে পারি                           ৷৷ আমাদের দুই চক্ষু ভুরুর মাঝখানে পিনিয়াল নামক এক প্রকার গ্ল্যান্ড আছে  ওই পিনিয়াল গ্ল্যান্ড থেকে একপ্রকার  ক্ষরণ হয় যার নাম         মেলা টনিক                                         এর কার্যকারিতা  - আমরা যখন নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নি প্রত্যহ 21600 বার সেই সময় আমাদের কোষগুলি ধ্বংস হয়ে যায় 'কিন্তু এই মেলা টনিক ক্ষরণ হলে কোষ গুলি ধ্বংস হয় না 'ফলে আমাদের অকালবার্ধক্য হয়না 'তার জন্য আমাদের দরকার সৎ গুরুর দীক্ষা এবং আজ্ঞা চক্র অন্তত দুবার ধ্যান করা''যত বেশি ধ্যান করা যাবে ততো বেশি মেলা টনিক ক্ষরণ হবে তাহলে আমাদের কোষগুলো উজ্জীবিত থাকবে এবং অকালবার্ধক্য হবেনা, এছাড়াও এর আরো অনেক কাজ আছে -যেমন উচ্চরক্তচাপ হবে না, বুদ্ধির বিকাশ ঘটবে এবং আয়ু বৃদ্ধি পাবে  

পুত্র সন্তান লাভ করার তূক

 পরম দয়াল পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র পুত্র সন্তান হওয়ার একটি তুক দিলেন।  অনেক মায়েদের অনেক দিন বিবাহর পরেও যাদের কোন সন্তা...