বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০

চোখের রোগ সারাতে শ্রীশ্রী ঠাকুরের বলা কথা গুলি শুনুন

 

এক দাদা আলোচনা প্রসঙ্গে ঠাকুরকে বললেন-ঠাকুর  আমি অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি বিশেষ করে ডাক্তার কালিদাকে দেখিয়েছি।ডাক্তার কালিদা বলেছেন এই রোগ আর সারবেনা।

এখন কী করবো ঠাকুর? শ্রীশ্রী ঠাকুর বললেন -কতগুলো কাজ করলে চোখ সেরে যেতে পারে।

(1) কৃষ্ণতিল (2) কলা (3) চোখে জলের ঝাপটা (4) চোখে কিছুখন ঢাকা রাখতে হবে।

শ্রীশ্রী ঠাকুর বললেন চোখের যেকোন অসুখ সারাতে এবং চোখকে সুস্থ রাখতে কালো তিল বা কৃষ্ণ তিল প্রত্যহ খাওয়া ভালো।কৃষ্ণ তিল ছাড়া অন্য কোন তিলে ঐ কাজ হবে।

কলা খাওয়ার কথা ঠাকুর বললেন।কলা কিন্তু  বীচে কলা বা সরবি কলা হতে হবে।কলা খেলে চোখের যেকোন অসুখ সারাতে এবং চোখের যেকোন রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

শ্রীশ্রী ঠাকুর বললেন প্রত্যহ মুখ ধোয়ার সময় খোলা চোখে ঠাণ্ডা পরিস্কার জল দিয়ে চোখে ঝাপটা দিতে হবে।

শ্রীশ্রী ঠাকুর আবার বললেন-চোখে কিছু সময় ঢাকা দিয়ে রাখার কথা বললেন।চোখে ঢাকা দিয়ার সময় মনে রাখতে হবে চোখে ঢাকা খুব আল্গা ভাবে হবে।

চোখের যেকোন রোগ সারাতে পরমপিতা শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের কথা গুলি মেনে চলুন



বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২০

পরম পূজনীয় বাবাই দার বলা একটি রোমাঞ্চকর ঘটনা

 


একদিন এক ঘটনা ঘটলো এ কুমারী মা তিনি একটি অফিসে চাকরি করতেন একদিন তার অফিস ছুটি হতে অনেক দেরি হয়ে গেছে তিনি ভাবছেন রাত হয়ে গেল কি করে যাব।

ওই মা পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের এত নিষ্ঠ ভক্ত এবং দয়ালের সদ দীক্ষায় দীক্ষিত এবং তিনি যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলছিলেন।



তিনি রাস্তায় গাড়ি পাবেন কিনা অর্থাৎ অটো বাস পাবেন কিনা  এই কথা চিন্তা করতে করতে ঠাকুরকে স্মরণ করে চলেছেন।কিছুক্ষণ পর তিনি রাস্তায় এসে পৌঁছালেন।তখন তিনি দেখলেন একটি অটো আসছে তিনি ওই অটোর দিকে দাঁড় করিয়ে ওই অটোতে চেপে পড়লেন  তিনি দেখলেন অটোতে আর কোন প্যাসেঞ্জার নেই তারপর খুব রাত হয়ে গেছে তিনি ভয়ে ভয়ে শ্রী ঠাকুরের নাম ধারণ করতে করতে ওই অটোতে চলেছেন।

অটোতে যাবার সময় তিনি দেখলেন ড্রাইভারটি লুকিং গ্লাস দিয়ে ওই মাটির দিকে তাকিয়ে আছে তখন ওই মাটি ভয় পেতে শুরু করলেন।এবং তিনি পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের শরণাপন্ন হয়ে ঠাকুরের নাম করতে লাগলেন।

এই মা দেখেছেন খবরের কাগজে কত নাকি ঘটনার কথা।সেই ভেবেই তিনি বেশি ভয় করছিলেন।তিনি বাড়ির কাছে আসা মাত্রই নিজের ভাড়াটি দিয়ে গেট খুলে ছুটে বাড়ির দিকে ঢুকে গেলেন ।

 এদিকে ড্রাইভার চিৎকার করতে লাগলো আর একজনের ভাড়া কে দেবে বাড়ির লোক চিৎকার চেঁচামেচি শুনে ওই মাটির বাবা-মা বাইরে বেরিয়ে এসে অটো ড্রাইভার এর কাছে গেলেন।অটো ড্রাইভার বলল উনি একজনের ভাড়া দিয়েছেন আর একজনের ভাড়া দেননি।তখন তারা বললেন আমার মেয়ে একাই এসেছে তখন ওই ড্রাইভার বলল দুজন ছিল।

তখন তারা ওই ড্রাইভারকে বোঝাবার জন্য বাড়ির ভিতরে নিয়ে গেলেন।তারা বললেন আমার মেয়ে একাই ছিল।তখন ওই অটো ডাইভার দেওয়ালের দিকে লক্ষ্য করে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ছবিটি দেখে বলল এইতো এই মানুষটি ছিল।

তখন তারা সব বুঝতে পারলেন  _পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুরের যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চললে শ্রী শ্রী ঠাকুর সব সময় মানুষকে রক্ষা করেন। 

তখন তারা পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুরের কথা ওই ড্রাইভারটি কে বলেন ওই ড্রাইভারটি সব শুনে শ্রী শ্রী ঠাকুরের সৎ নাম গ্রহন করতে রাজি হয়। এবং পরবর্তীকালে ওই ড্রাইভারটি শ্রী শ্রী ঠাকুরের সৎ নাম গ্রহণ করে  যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলতে থাকে।

 এই হচ্ছেন আমাদের ঠাকুর যুগো পুরুষোত্তমম্ পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।প্রত্যেকটি মানুষ আজ পরম দয়ালের সৎ নাম গ্রহণ করে যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলছে এবং প্রত্যেকেই তার কিপা লাভ করছেন।

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে হত্যা করার চক্রান্ত

 


অনেকদিন আগেকার কথা শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তিল তিল করে গড়ে তুলছেন দেওঘর আশ্রম। শ্রী শ্রী ঠাকুরের আশ্রম দেখে পান্ডাদের মনে আক্রোশ বৃদ্ধি পেল।

 পান্ডারা একজন ডাকাতকে ঠিক করল।ওই ডাকাতকে অনেক পয়সার বিনিময়ে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে হত্যা করার জন্য একটি আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে শ্রী শ্রী ঠাকুরের আশ্রম দেওঘরে পাঠান।

 ওই কুখ্যাত ডাকাত আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেওঘরে আশ্রয় নেয়। ওই ডাকাত দেখলো আমি বেশ ভালোই আছি। শ্রী শ্রী ঠাকুরের খাবার খাচ্ছি আর ঘুরে বেড়াচ্ছি।এই ভাবে দিন কতক কাটিয়ে যাওয়া যাক।

ওই ডাকাত মনে মনে ভাবল ওই হাফ হাফ ধুতি পরা লোকটাকে মারতে আমার এক মিনিট সময় লাগবে।আমি দিন কতক এখানে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুরে বেড়াই।

 একদিন এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটলো _ যেহুতু লোকটি কুখ্যাত ডাকাত ছিল সেই জন্য তার নামে ওয়ারেন্ট বেরিয়েছে।পুলিশ খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারে ওই ডাকাত শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে আছে।

একদিন সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী দেওঘরে এসে শ্রী শ্রী ঠাকুর কে জিজ্ঞাসা করলেন এখানে কোন ডাকাত এসেছে কিনা।

 শ্রী শ্রী ঠাকুর অন্তর্যামী তিনি সবই জানতেন কিন্তু পুলিশকর্মীদের তিনি মিথ্যে কথা  বললেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন এখানে সেরকম কেউ নেই তাছাড়া থাকলো আপনারই হাতে তুলে দিতাম না। 

ওই কুখ্যাত ডাকাত তখন আড়াল থেকে সব শুনছিল।শ্রী শ্রী ঠাকুরের সমস্ত কথা শোনার পর পুলিশকর্মী  যখন চলে গেলেন তখন ওই কুখ্যাত ডাকাত শ্রী শ্রী ঠাকুরের কাছে এসে পায়ে পড়ে গেল।

শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বলল আমি খুবেই পাপী। আমি যার জীবন নিতে চেয়েছিলাম তিনি  আমার জীবন রক্ষা করলেন।

 ওই ডাকাত পান্ডার এর সঙ্গে চুক্তি হওয়ার সমস্ত কথা শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বললেন।

 যুগো  পুরুষোত্তমম্ পরম  দয়ালের আশ্রম দেওঘরে ওই ডাকাতের পুনর্জনম হলো অর্থাৎ ঠাকুরের সৎ দীক্ষায়  দীক্ষিত হয়ে।

 বেশ কিছুদিন পর শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তার পবিত্র পাঁজা এবং পবিত্র দন্ড দিয়ে একজন ডাকাত থেকে শ্রী শ্রী ঠাকুরের পাঞ্জাধারী কর্মীতে পরিণত করলেন।

 এই হলেন আমার দয়াল ঠাকুর। 


বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০

এক কৃপণ মায়ের কথা

 



পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত যারা। তারা প্রত্যেকেই জল গ্রহণের পূর্বে পরম পিতার ভোগ হিসাবে যৎকিঞ্চিৎ কাঞ্চন মুদ্রা ইস্ট ভৃতি নিবেদন করি। বেশিরভাগ মানুষ টাকা-পয়সার উপর লোভ বেশী। তাই সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত যারা  ঠাকুরের ভোগ হিসাবে প্রত্যেকেই নিবেদন করেন।।                                                                   একদিন এক সন্ন্যাসী এক গৃহস্থের বাড়িতে ভিক্ষা নিতে যান।কিন্তু সন্ন্যাসী যতবার ভিক্ষা চেয়েছেন ওই বাড়ির মা কিছু অজুহাত দিয়ে ভিক্ষা দেননি।            ওই মাটি যখন বারবার ব্যস্ততাই দেখাচ্ছেন তখন ওই সন্ন্যাসী বললেন আপনার বাড়িতে রান্না হয়।। ঐ মা টি বললেন তা হবে না কেন? প্রত্যহ রান্না হয়। তখন ঐ সন্ন্যাসী বললেন আপনার বাড়িতে উনুনে যে ছাই হয়েছে তা আমাকে দেন।            তখন ওই মা বললেন ওই উনুনের ছাই আপনার কী কাজে লাগবে? তখন ঐ সন্ন্যাসী বলল  আমার কিছু কাজে লাগবে না তোমার ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগবে। তখন ঐ মা সমস্ত কথা জানতে চাইলেন। তখন ওই সন্ন্যাসী বললেন কাউকে কিছু না দিয়ে দিয়ে আপনি কোন conjugate  হয়ে গেছেন। আপনার গর্ভে যে সন্তান জন্ম গ্রহন করবে  সেও conjugated হয়ে যাবে। ফলে আপনার বার্ধক্য সময়ে আপনাকে আপনার সন্তান দু মুঠো ভাত দেবে না। তাই আপনিও উনুনের ছাই যদি আমাকে দেন আপনার দেয়ার হাত খুলে গেলে।আপনার গর্ভে যে সন্তান হবে সে আপনার ভাত কাপড়ের দায়িত্ব নেবে। এই বলে সন্ন্যাসী সেখান থেকে চলে গেলেন।                                                  তাই আমরা পরমপিতা কে ভোগ নিবেদন করি ইষ্টভৃতির মাধ্যমে যাতে আমাদের বার্ধক্য জীবন  ঐ মা টির মতো কাটাতে না হয়।

সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের পুণ্য পুথি প্রকাশ

 শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র ডাক্তারি ডিপ্লোমা ডিগ্রী পাওয়ার পর  হিমায়েতপুরে ডাক্তারি শুরু করলেন।তিনি দুঃস্থ মানুষদের চিকিৎসা করতেন তিনি টাকাপয়সা তো নিতেই না বরং উল্টে তাদের টাকা দিতেন। মাঝেমধ্যে তাদের চাষের সবজি ফল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে দিলে শ্রী শ্রী ঠাকুর তা গ্রহণ করতেন।


 এইভাবে তিলে তিলে সঞ্চয় করে কীর্তনের  দল গঠন করলেন। তার কীর্তনের দল সব জাতী ধর্মালম্বী  মানুষ কীর্তনে শামিল হত। শ্রী শ্রী ঠাকুর সমস্ত জাতি ধর্মের পতি অনুরাগী ছিলেন। শ্রীশ্রীঠাকুর বলতেন ধর্ম এক ধর্ম বিভিন্ন হয়না। আমার মতে এক-একটা মত।

 এরকম কীর্তন করতে করতে ভাব মত্ত অবস্থায়  শ্রী শ্রী ঠাকুরের সমাধি ঘটতো। ঐ সমাধি অবস্থায়  ডাক্তার তখন শ্রী শ্রী ঠাকুরের পার্স পেতেন না।সেই সময় শ্রী শ্রী ঠাকুর ভাব মস্ত অবস্থায়  ঠাকুর যে বাণী বলতেন সেই বাণী লিপিবদ্ধ করে রাখা হতো। এইভাবে লিপিবদ্ধ করতে করতে 72 দিনের বাণী সমূহ একত্রিত করে পুস্তকাকারে লিপিবদ্ধ  করা হয় যা আমাদের কাছে পুণ্যপুথি বা ভাব বাণী হিসাবে পরিচিত।


শনিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত একগুরু ভাইয়ের জগন্নাথ দর্শন


 যুগো পুরুষোত্তমম পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত এক গুরুভাই অনেকদিন ধরেই শ্রী শ্রী ঠাকুর এর কাছে ছিলেন। তার অনেক দিন ধরেই ইচ্ছে পুরীর জগন্নাথ দেবের মন্দিরে যাওয়ার।

 জগন্নাথ দেবের দর্শন করার ইচ্ছা মনে বারবার উঁকি দিচ্ছিল। একদিন ওই গুরুভাই পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের কাছে বললেন ঠাকুর আমার অনেক দিনের ইচ্ছা পুরীর জগন্নাথ  দেবের মন্দিরে যাওয়ার। 

মন্দিরে যাওয়ার কথা বলতেই শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন পুরীর মন্দিরে যাবি তো? ওই গুরু ভাই বলল হে ঠাকুর আমার অনেক দিনের ইচ্ছা তা পূরণ করতে চাই। শ্রী শ্রী ঠাকুর জগন্নাথ দেবের দর্শনের জন্য ঐই গুরু ভাই কে  অনুমতি দিলেন।

 একদিন ওই গুরুভাই সমস্ত ভাবে তৈরি হয় জগন্নাথ  দেবের দর্শনের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।পুরীতে পৌঁছে যখন জগন্নাথ দেবের মন্দিরে গেলেন ওই গুরুভাই দেখলেন জগন্নাথ দেবের মন্দিরে জগন্নাথের জায়গায় যুগো পুরুষোত্তমম পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সেই জায়গায় বসে আছেন।

 শ্রী শ্রী ঠাকুর কে দেখে ওই গুরুভাই শ্রী শ্রী ঠাকুরকে প্রণাম করে দেওঘরে ফিরে এলেন। পরেরদিন সকালবেলায় ওই গুরুভাই শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন।ওই গুরু ভাইকে দেখে শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন জগন্নাথ দেবের দর্শন হয়েছে তো ?। কই গুরু ভাই বলল হ্যাঁ ঠাকুর আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।

 শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন _ "জীবন নাথকে ছেড়ে তুই  জগন্নাথ কে দেখতে গেলি।জীবন নাথেই যে জগন্নাথ হেলায় তা তুই সব হারালি"। 33 কোটি দেবতার সমারোহে যুগো পুরুষোত্তমের সৃষ্টি। তাই আমাদের প্রতি প্রত্যেকের উচিত অন্ততপক্ষে যারা শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত  তাদের ঠাকুরকে নিয়ে চলা উচিত।

বুধবার, ২১ অক্টোবর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের নাতি পরমপূজ্যপাদ বর্তমান আচার্যদেব শ্রীশ্রী দাদার 88 তম জন্ম দিবস

 


পরম দয়ালু শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের নাতি  পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রী দাদার  88 তম জন্ম দিবস আজ ইংরেজি 21/10 /2020।

 আজ একটি বিশেষ দিন এই বিশেষ দিনে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে দেওঘরে।কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার জন্য সমস্ত কিছু অনুষ্ঠান বন্ধ করা  হয়েছে।

 আচার্যদেব শ্রীশ্রী দাদা বললেন আগামী বৎসর সবকিছু ঠিক  হয়ে যাবে। 2021 সালের শ্রীশ্রী দাদার শুভ 89 তম জন্মদিন আমরা সকলে দেওঘরে থেকে আনন্দ উৎসবে মাতো হারা হয়ে থাকতে পারবো বলে আশা করি।

 আচার্য দাদা কারো নিন্দা করতে বারণ করলেন। শ্রীশ্রী দাদা বললেন কেউ খারাপ এ কথা বলতে নেই। তার যে ভালো গুণ টুকু আছে সেইটুকু আমরা নেব। লোকের খারাপ দেখলে সেই দোষ নিজের উপর আসে।

আচার্যদেব শ্রীশ্রী দাদা নাম ধ্যানে জন্য  জোর দিতে বললেন।শ্রী শ্রী দাদা বললেন  নিষ্ঠার সঙ্গে নাম ধ্যান করলে আমাদের নিজের ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়। একাগ্রভাবে নাম ধ্যান  করলে লক্ষ্য স্থির থাকার ক্ষমতা বাড়ে।

 আজ আমরা বাড়িতে বসেই পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের নাতি পরমপূজ্যপাদ আচার্যদেব দাদাকে স্মরণ করে দিন কাটাতে হল।   


 

রবিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জন্ম রহস্য ও জন্ম মহোৎসব

 


 


বাংলার  1295 বঙ্গাব্দে  শুক্রবার 30 শে ভাদ্র তাল নবমী তিথিতে যুগো  পুরুষোত্তম পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সকাল 7টা05 মিনিটে পাবনার হিমায়েতপুরে মাতা মনমোহিনী দেবীর কোল আলো করে  ধরাধামে অবতীর্ণ হন।

পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুরের প্রতিবছর দেওঘর আশ্রমে জন্ম মহোৎসব পালিত হয়।সাধারণত বছরের শেষ ভাগে এই উৎসব পালিত হয়।

 এবছর করোনাভাইরাস বিশ্ব মহামারীর রূপ নেওয়ায় দেওঘর আশ্রম এবং শ্রী শ্রী ঠাকুরের সমস্ত কেন্দ্র মন্দিরে  ঠাকুরের সব রকমের উৎসব থেকে সকলকে বিরত থাকার জন্য আদেশ এসেছে।

দুই হাজার কুড়ি (2020) সালে পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের জন্ম মহোৎসব তৎসহ ঋত্বিক কনফারেন্স 28 ও 29 অক্টোবর ঘোষিত হলোও কোন প্রকার অনুষ্ঠান দেওঘর আশ্রমে  অনুষ্ঠিত হওয়া সম্ভাবনা নেই বলেই মনে হয়।

 এই করোনাভাইরাস বিশ্ব মহামারীর হাত থেকে যতদিন না রক্ষা পাচ্ছি কোন প্রকার অনুষ্ঠান না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।  

যদি করোনাভাইরাস এর টিকাকরণ সমস্ত বিশ্ববাসীকে দেওয়া সম্ভব হয় তাহলেই সকল প্রকার অনুষ্ঠান করার আর কোনো বাধা থাকবে না। 

আশা করছি আগামী বছর অর্থাৎ 2021 সাল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের কৃপায় ঠাকুরের জন্ম মহোৎসব দেখার সুযোগ আমরা সকলেই পাব।


 

মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০

ভগবান শ্রী বিষ্ণু ও নারদ মুনির কথা

 


ভগবান শ্রী বিষ্ণু একদিন নারদ মুনির অহং দূর করার জন্য  একটি পরিকল্পনা করলেন।                   ভগবান শ্রীবিষ্ণু নারদ মুনি কে কাছে দেখতে পেয়ে মর্তভূমিতে  একটি কুঁড়েঘর দেখিয়ে বললেন ওই কুঁড়েঘরে ওই যে মানুষটিকে দেখতে পাচ্ছেন ও আমার পরম ভক্ত। এই কথা শুনে নারদ মুনির খুব রাগ হল।নারদ মুনি বললেন আমার থেকে পরম ভক্ত আপনারা আর কেউ নেই।

 তখন বিষ্ণুদেব বললেন _ ঠিক আছে নারদ আপনি একটি পরীক্ষা দেন। ভগবান বিষ্ণুর কথামতো নারদ মুনি পরীক্ষা দিতে রাজী হলেন।                       বিষ্ণুদেব বললেন আপনি একটি ঘটিতে করে এক ঘটি তেল নিয়ে  পুরো ব্রহ্মাণ্ড ঘুরে আসুন। দেখবেন যাতে একফোঁটাও তেল মাটিতে না পড়ে।তাহলে আমি জানব আপনি পরম ভক্ত। সেই কথামতো নারদ মুনি এক ঘটি তেল নিয়ে  পুরো ব্রহ্মাণ্ড  ঘুরার সিদ্ধান্ত নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। তিনি সব সময় লক্ষ্য রাখছিলেন যাতে এক ফোটা তেল না পড়ে।

 পুরো ব্রহ্মাণ্ড ঘুরে আসার পর নারদ মুনি বললেন আমি এক ফোটা তেল না ফেলে ঘুরে এসেছি তাই আমি আপনার প্রিয় ভক্ত। ভগবান শ্রী বিষ্ণু বললেন আপনি আপনি যখন পরিক্রমণ করছিলেন তখন কতবার আমাকে স্মরণ করেছিলেন।তখন নারদ মুনি বললেন আপনার কথা কি মনে করবো। আমিতো এই ঘটির তেল নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আপনার কথা স্মরণ করতে পারিনি। তখন ভগবান শ্রীবিষ্ণু বললেন ওই কুঁড়েঘরে যে বাস করে সে প্রতিদিন আমাকে স্মরণ না করে থাকেনি।

 নারদ মুনি সব শুনে লজ্জিত হলেন।                          তাই আমাদেরও দরকার পরম পিতা কে প্রত্যহ স্বরন করা।

শনিবার, ১০ অক্টোবর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রও ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায় এবং এক মায়ের ঘটনা

 


যুগো পুরুষোত্তমম পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত  স্বত্যয়নী ব্রত পালন করা এক মা অসুস্থ হয়ে ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের কাছে চিকিৎসার জন্য যান। ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় সব রকম পরীক্ষা করে বললেন আমি কিছু ওষুধ দিচ্ছি ওই ওষুধগুলো খাবেন সেইসঙ্গে আপনি বাড়িতে প্রতিদিন আড়াইশো গ্রাম মুরগির ছানার ঝোল খাবেন। অর্থাৎ ছোট ছোট মুরগির বাচ্চার মাংস আড়াইশো গ্রাম করে খাবেন। তা যদি না খান তাহলে আর আপনি বাঁচবেন না।এই কথা শুনে ওই মা টি বাড়ি চলে আসেন।                 
          এই মাটি স্বত্যয়নী ব্রত গ্রহণ করার জন্য  তিনি নিরামিষ আহার গ্রহণ করেন। স্বত্যয়নী ব্রত যারা গ্রহণ করেন তারা  মাছ মাংস পেঁয়াজ রসুন গ্রহণ করেন না।

 এই মাটি কোন কিছু উপায় না পেয়ে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে জান।    সকল সমস্যার সমাধান জানবি ইষ্ট প্রতিষ্ঠান।           ওই মা ডঃ বিধান চন্দ্র রায় যা বলেছিলেন তা শ্রীশ্রী  ঠাকুরকে বললেন। ঠাকুর সমস্যা সমাধান করে দিলেন। শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন _ আপনি গরম ভাতে গরম ছানা কুলে খাড়া ঝোল খাবেন।

ওই মা ঠাকুরের কথামতো খাবার খেয়ে এক মাস পর ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের কাছে আবার জান।ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়ঐ মাকে দেখে  বললেন আপনি আমার কথামত খেয়েছেন বলে  ভালো হয়ে গেছেন। তখন ওই মা বললেন না ডাক্তার বাবু আমি পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের  সৎ দিক্ষায়  দিক্ষিত সেই সঙ্গে স্তত্যয়নী ব্রত পালন করি আমি নিরামিষ আহার গ্রহন করি।

 তাই আপনার বলা খাবার না খেয়ে আমার পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের বলা খাবার গরম ভাতে গরম ছানা কুলেখাড়ার ঝোল খেয়ে আমি ভালো হয়েছি। 

সব কথা শুনে ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। 

পরবর্তীকালে ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সান্নিধ্যে যান।

 


বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০

কলকাতার এক অদীক্ষিত জমিদারের জীবন রক্ষার কথা


 কলকাতার এক বিখ্যাত জমিদার তিনি এক ঋত্বিক দাদার বারবার যাজনের  পর  সপরিবারে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে  যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন।       
                                                        ওই জমিদার সপরিবারে নিজে গাড়ি নিয়ে দেওঘরের উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। কিছুদুর যাওয়ার পর যখন রাত্রি বারোটা বাজছে তখন তার গাড়িটি যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা যায়। তখন অনেক রাত্রি হয়েছে মেকানিক নেই। অগত্যা সেই জায়গায় সকাল হওয়া পর্যন্ত ওই গাড়িতে কাটাতে হলো।                                               ওই জমিদারের লোক যখন গাড়ি সারানোর জন্য মেকানিক  নিয়ে এলেন তখন ওই মেকানিক জিজ্ঞাসা করলেন আপনারা কোথায় যাচ্ছিলেন বলুন তো? তখন ওই জমিদার বিদ্রূপের  সঙ্গে জানালেন অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘর।                                                                                       তখন ওই মেকানিক বললেন তাই আপনারা রক্ষা পেলেন।                             তখন ওই জমিদার সবিস্তারে ওই মেকানিকের কাছে জানতে চাইলেন কী ঘটনা ঘটেছিল। তখন ওই মেকানিক বললেন আপনাদের গাড়ি কখন খারাপ হয়েছিল? তখন ওই জমিদার বললেন রাত্রি বারোটার পাশাপাশি।                                                                                                                                                তখন ওই দাদা বললেন রাত্রি বারোটার পর থেকে ভোর 3 টা পর্যন্ত ছিনতাই হয়েছে। ঐই সময় যত গাড়ি গেছে  প্রত্যেকে টাকাপয়সা এমনকি মার ধোরা হয়েছে। কিছু মানুষ হসপিটালে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন। তখন ওই কলকাতা জমিদার বাবু ঠাকুরের কথা বুঝতে পারলেন।                                           পরম পূজনীয় বাবাই দা তাই বললেন কেও যদি অদীক্ষিত হয়  পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘর এলে তারও অকল্যাণ হয় না। 

বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পাবনা হিমায়েতপুরে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর এর দাদার প্রাণ রক্ষা করলেন


 পাবনা হিমাইতপুর পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের আশ্রমে বিশেষ ঘটনার কথা। 
             একদিন আশ্রমে ঠাকুর বসে আছেন ভক্তবৃন্দ ঠাকুরকে বেষ্টন করে শ্রী শ্রী ঠাকুরের আলোচনা শুনছেন। বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এসেছে। হঠাৎ করে  ঠাকুর বলে উঠলেন _ আমাকে এখুনি পদ্মা পাড়ে যেতে হবে একটা ছাতা একটা বাতি নিয়ে।       ভক্তবৃন্দ শ্রী শ্রী ঠাকুরের কথা কেউ বুঝতে পারলেন না।                                                           কিছুক্ষণ পর এক ভক্ত খুব পরিশ্রান্ত হয়ে শ্রী শ্রী ঠাকুরের কাছে এলেন। ওই ভক্ত বললেন ঠাকুর আপনি আমার প্রাণ রক্ষা করেছেন। শ্রী শ্রী ঠাকুর সব জানার পরও কি ঘটনা ঘটেছিল তাও ঐ ভক্ত ঠাকুরের কাছে ঠাকুরের কাছে খুলে বললেন।                ওই ভক্ত বললেন পদ্মা পেরিয়ে এক বিশেষ কাজের জন্য কুষ্টিয়া গিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম দিন বেলাবেলি ফিরে যাব কিন্তু কাজ শেষ করতে বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যে নেমে আসে। এবং বৃষ্টি পড়তে থাকে । আমি দিকভ্রষ্ট হয়ে এদিকে সেদিকে ঘুরতে থাকি। তখন আমার মনে পড়ে আপনার কথা।                     তখন আমি অশ্রুসজল চোখে কাতর ভাবে আপনাকে ডাকতে থাকি ঠাকুর আমাকে বাঁচাও বাঁচাও বলে। সঙ্গে সঙ্গে কেউ একজন একটি ছাতা ও বাতি হাতে আমার আগে আগে চলতে থাকেন। আমি তাকে ধরার অনেক চেষ্টা করেছি কিন্তু তাকে ধরতে পারিনি।এই আশ্রম এর কাছে এসে  তাহাকে আর দেখতে পেলাম না। ভক্তবৃন্দরা শ্রী শ্রী ঠাকুরের পদ্মা পাড়ে ছাতাও বাতি হাতে যাবার ঘটনা তারা সকলেই বুঝতো পারলেন।                                          এই পরম তাতা হলেন যুগ পুরুষোত্তমম পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র।সৎ নামের মাধ্যমে এই বিশ্ববাসীকে রক্ষা করে চলেছেন।


সোমবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০

তানসেন ও তার গুরু এবং আকবর



 আকবরের রাজসভায় 9 জন গুণী ব্যক্তির সমাদর করা হতো। তাদের নবরত্ন বলা হত।তাদের মধ্যে তানসেন  ছিলেন অন্যতম। তানসেন উত্তর ভারতের একজন বিশেষ সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন।তানসেন সংগীতে এত পারদর্শী ছিলেন তা সঙ্গীত শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরে পড়তো।                             তানসেন আকবর কে খুশি করার জন্য সঙ্গীত পরিবেশন করতেন। এতদিন সম্রাট আকবর মনে কৌতূহলবশত তানসেন কে  বললেন আপনি তো ভালো গান করেন।কিন্তু আপনার গুরুর কাছে আমাকে নিয়ে চলুন আমি তার কাছে গান শুনবো। তানসেন তার গুরুর কাছে আকবর কে নিয়ে গেলেন। আকবর তানসেনের গুরুর কাছে সঙ্গীত শুনে মুগ্ধ হলেন।                                                      আকবর রাজসভায় ফিরে এসে  তানসেন কে বললেন আপনার গুরুর মত আপনি সঙ্গীত পরিবেশন করতে পারেন না কেন?                             তানসেন সব কথা শুনে মহামতি আকবর কে বললেন সঙ্গীত পরিবেশন হয় যে শুনে তার উপর।     
আমি সঙ্গীত পরিবেশন করি আপনার জন্য।আর আমার গুরু সঙ্গীত পরিবেশন করেন ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য।সেই জন্যই পার্থক্য।                                শ্রী শ্রী ঠাকুরের উদ্দেশ্যে সঙ্গীত পরিবেশন হলে তার মাধুর্য বৃদ্ধি পায়।


রবিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

এক আদর্শ মায়ের কথা

 

আজ থেকে অনেকদিন আগেকার কথা।এক মা তার শ্বাশুড়ীকে খেতে দিচ্ছেন। তার শাশুড়ি না-বলা সত্যেও খাবার দিয়ে চলেছেন।শাশুড়ি জিজ্ঞাসা করছেন তোর খাবার আছে তো? ওই মা তখন মৃদু      হেস চলেছেন।

                                                                                                                                              এমন সময় শাশুড়ির লক্ষ্য হলো বৌমার কানের ফুল নেই।সেই সময় ওই বৌমার দিদি শাশুড়ি এসে পৌঁছালেন।তিনি গালমন্দ করে বললেন _ কেমন ঘরের থেকে মেয়ে এনেছো  জানোনা।এই বলে বাপের বাড়ির লোককেও গালমন্দ করল দিদি শাশুড়ি। বোমাটি চোখে অশ্রুসিক্ত হলো।কাউকে কিছু না বলে তিনি সেখান থেকে চলে গেলেন।               কিছুক্ষণ পর শাশুড়ি বারান্দায় বসে ছিলেন।বৌমা জল আনতে গিয়েছিলেন। দিদি শাশুড়ি পাশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।এমন সময় একটি জেলে বউ একটি কাগজের পুটলি নিয়ে শাশুড়ির কাছে নামালেন।শাশুড়ি জিজ্ঞাসা করলেন এতে কি আছে? জেলে বউটি বলল আমার ছেলের খুব অসুখ। কোথাও কিছু ব্যবস্থা করতে না পারায় আমার কর্তা ঠাকুরের কাছে এসেছিলেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর এই করনফুল দিয়ে বলেছিলেন আমি এটি তোমাকে দান করছি এটি দিয়ে তোমার ছেলের চিকিৎসা করাবে যাও।আজ আমার কর্তা প্রচুর মাছ পেয়েছে সেগুলো বিক্রি করে যে পয়সা হয়েছে তা দিয়ে ওই কর্ণফুলটি যেখানে বাধা ছিল সেখান থেকে এনে আপনাদের ফিরিয়ে দিতে এনেছি।            এই কথা জানার পর শাশুড়ি সব বুঝতে পারলেন।বৌমাকে এত গালমন্দ করার পরও সে কোন কথা না বলে চলে গিয়েছিলেন।                                                                                                        এই মহীয়সী রমণী আর কেও না _ পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের অর্ধাঙ্গিনী শ্রী শ্রী বড়মা।

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পাবনা সৎসঙ্গ আশ্রমের ফিলান্থ্রোপি অফিসে টাকা চুরির ঘটনা



 হিমায়েতপুর সৎসঙ্গ আশ্রম এর ফিলান্থ্রোপি অফিসের ক্যাশিয়ার পদে নিযুক্ত ছিলেন ভবানী সাহা।                                                                      এতদিন ওই টাকা পয়সার লোভ সামলাতে না পেরে ফিলান্থ্রোপি অফিসে টাকা চুরি করার পর তিনি নিরুদ্দেশ হয়ে যান।এরকম বেশ কিছুদিন চলতে থাকার পর শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র নগেন দা কে ডেকে বললেন অনেকদিন হলো ভবানী দার খবর পাইনি ।ভবানী দারএকটু খবর করুন ।               শ্রী শ্রী ঠাকুরের কথা মত নগেন দা কিছু জন লোককে নিয়ে  বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেন কিন্তু তারা ভবানী দার কোন খবর পাননি।                                                           খগেন দা পাবনা সঙ্গে ফিরে এসে শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বললেন ঠাকুর সব জায়গায় খুঁজেছি কিন্তু ভবানী দাকে কোথাও পায়নি।                                    শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আপনি আবার খোঁজ নেন।ঠাকুরের কথামতো নগেন দা আবার খোঁজ চালাতে  শুরু করলেন। নগেন দা এক গুরু ভাই এর  মাধ্যমে জানতে পারলেন ভবানী সাহা দা চাকদহ স্টেশনে থাকেন।নগেন দা চাকদহ স্টেশন খুজাখুজির পর একটি জীর্ণ শীর্ণ বেধি গ্রস্ত লোককে চট ঢাকা অবস্থায় দেখতে পান।নগেন দা বললেন আপনি ভবানী দা তো? তখন ওই লোকটি বলল আমি ভবানী না আপনি এখান থেকে যান।            নগেন দা কিছুদূর আসার পর।ভবানী দা নগেন দা কে ডাকলেন  আমি ভবানি ঠাকুরের টাকা চুরি করে খুব অন্যায় করেছি। আমার কেও বেঁচে নেই।আমি রোগগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে আছি। কেউ খেতে দিলে খেতে পাই।                                                             নগেন দা বললেন ঠাকুর আপনাকে নিয়ে  যেতে বলেছেন। ভবানী দা  বললেন আমি যা পাপ করেছি এই জীবনে ঠাকুরকে  এই মুখ দেখাবো না।                        নগেনদা ঠাকুরের কাছে গিয়ে সব কথা খুলে বললেন। শ্রী শ্রী ঠাকুর মা মা বলে চিৎকার করে বললেন ওকে আর বাঁচানো গেল না। 


বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মুসলিম মায়ের জীবন রক্ষা



 কিছুদিন আগের ঘটনা।এক ধনী পরিবারের একমাত্র কন্যা ছিল। সেই মেয়েটি ছিল ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত                                                   একদিন এক ঋত্বিক দাদার ঠাকুরের যাজন শুনে ওই ব্লাড ক্যান্সার রোগীর বাঁচার তাগিদে সদ দীক্ষা নিতে চাইলেন।                                                             শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন  _কেউ যদি যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলে তাহলে তার অকাল মৃত্যু হয়না।এই কথা ঋত্বিক দাদার এই আলোচনা শুনে ওই ব্লাডক্যান্সারে আক্রান্ত মা টি  পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের দেওয়া সৎনামে দীক্ষিত হলেন   ।                                                                           এদিকে ব্লাড ক্যান্সার রোগী অবস্থা খুবই খারাপ।একদিকে তার রোগ অন্যদিকে তার পরিবারকে নিয়ে অশান্তি।কেননা হিন্দুদের ঠাকুরকে মুসলিমরা গ্রহণ করেছে বলে।বাড়ির লোক অনেক চেষ্টা করোও ওই ব্লাড ক্যান্সার রোগী টির ইস্টভৃতি করা ছাড়াতে পারেন নাই।                                      একদিন টেস্ট করে বললেন একটি মেজর অপারেশন করে ওই রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করা যাবে এই বলে প্রচুর টাকার বিনিময় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই রোগীকে ভর্তি করা হয়।                  ওই ডাক্তারদের একজন বললেন রোগীর কাছে কোন টাকা পয়সা রাখা যাবেনা।এই কথা শুনে বাড়ির লোক খুব আনন্দিত হলো তারা অনেক চেষ্টা করোও পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ইস্টভৃতি ছাড়াতে পারেন নাই।কিন্তু ডাক্তার সেই কাজ সম্পন্ন করেছে ।                                            ওই মাটি তখন অনেক অনুনয় বিনয় করল।কিন্তু ডাক্তারবাবু  তার পয়সা সব বাড়ির লোকের হাতে দিয়ে দিয়েছিলেন।                                                  ওই মাটি তখন কান্নাকাটি করে বললেন ঠাকুর আমি ইষ্টভৃতি কি দিয়ে করব  । ভোর বেলায় অপারেশন করার আগেই মাটি দেখলেন আমার কাছে তো কিছুই নেই আমি কি ইষ্টভৃতি করব। তখন একটি মগে জল দেখতে পেয়ে  তা দিয়েই শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ইষ্টভৃতি করলেন।                      কিছুক্ষণ পর অপারেশন শুরু হল।ঐ মা টি অপারেশন টেবিলে মারা গেলেন।তখন বাড়ির লোক টাকা ও বাড়ীর মেয়েকে ফেরতের কথা বলতে লাগলেন। কিছুক্ষণ পর হসপিটালের এক কর্মী দেখেন ওই মা টির জ্ঞান ফিরে এসেছে।             এই হল পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎদীক্ষা ও ইষ্টভৃতির ফল।                                      শ্রী শ্রী ঠাকুরের বাণী তে আছে _ যজন যাজন ইষ্টভৃতি করলে কাটে মহাভৃতি।                                                                

মঙ্গলবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সাওতাল ভক্তের কথা


 পরম দয়াল ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎদীক্ষায় দীক্ষিত যারা তাদের প্রত্যেকের জল গ্রহণের পূর্বে ঠাকুরের ভোগের জন্য ইস্ট ভৃতি হিসাবে কিছু অর্ঘ্য তুলে রাখতে হয় ।                                                      শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের এক সাঁওতাল ভক্ত ছিল।ওই ভক্তের সামর্থ্য জমছিল না ইষ্টভৃতি করার মত।একদিন ওই সাঁওতাল ভক্ত ঠাকুর এর কাছে যান।শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র সব জানতেন ঐ  ভক্ত ইস্ট ভৃতি করেনা।শ্রী শ্রী ঠাকুর ওই ভক্তকে বললেন আপনি কি ইস্ট ভৃতি  করেন? ওই ভক্ত টি বললেন আমার দিনান্তে দিন চলে।ইষ্টভৃতি কিভাবে  করবো ঠাকুর। শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন বাড়িতে প্রতিদিন রান্না হয়।ওই সাঁওতাল ভক্ত টি  বলল তা হয় ঠাকুর ।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন রান্নার পর উননে যে ছাই হয়  তা দিয়ে ইষ্টভৃতি করবেন এবং সেটি 30 দিনে ঠাকুরের কাছে পৌঁছে দেবেন।                          ঠাকুরের কথামতো তাঁর স্ত্রীকে বলে ঠাকুর বলেছেন ছাই দিয়ে ইষ্টভৃতি করার কথা। ঠাকুরের কথামতো পরের দিন থেকে উনুনের ছাই দিয়ে ইষ্টভৃতি  শুরু করল। ঠিক 30 দিনের দিন ঠাকুরের কাছে ওই সাঁওতাল ভক্ত টি ঠাকুর বাড়িতে পৌঁছায়।শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বললেন ঠাকুর আমার ইষ্টভৃতি 30 দিন হয়েছে।অনেক ছাই হওয়ায় লোকে কিছু বলবে ভেবে ঐ ছাই নিয়ে  আসতে পারিনি। ঠাকুর বললেন ঠিক করেছেন।আপনার বাড়িতে কোনো ফাঁকা জায়গা আছে। ওই সাঁওতাল ভক্ত টি  বলল আছে ঠাকুর।ঠাকুর বললেন ওই ছাই ওই ফাঁকা জায়গায় মাটির সঙ্গে মিশিয়ে মান কচুর চাষ করুন। সে চিন্তা করছে মান কচু কোথায় পাব।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আমি মান কচুর চারা দিচ্ছি আপনাকে।সেই মান কচু দিয়ে চাষ করুন।                                                ঠাকুরের কথামতো মান কচুর চাষ করল ভক্ত টি  খুব ভালোভাবে মান কচু হলো।ওই ভক্ত টি একটি মান কচু নিয়ে ঠাকুরের কাছে গেলেন।ঠাকুর খুব খুশি হলেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন এ মান কচু কার।ওই সাঁওতাল ভক্ত টি  বলল  আপনার ঠাকুর। ছাইও আপনার আমিও আপনার । শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন মান কচু বিক্রি করে একটি নতুন ব্যবসা শুরু করুন তারপর যা মুনাফা হবে তা দিয়ে ইষ্টভৃতি  করবেন।ঠাকুরের কথামতো ব্যবসা করে তার প্রচুর মুনাফা হলো সে ইস্ট ভীতি  শুরু করলো।পরম দয়ালের দেওয়া মান কচু ও তার এই ইষ্টভৃতি করার ছাই ব্যবসার উন্নতির সহায়ক হলো।                     পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুরের কৃপায় আমরা প্রত্যেকেই ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চললে আমাদেরও লাভ হবে ।

সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

আমরা শ্রী শ্রী ঠাকুরের সৎনাম নিতে ভয় পাই কিন্তু সৎনাম না নিলে কি হয়

 কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের শেষে অর্জুন তা সখা কৃষ্ণ কে ডেকে বললেন _এই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে আমার আত্মীয় স্বজনকে মেরেছি অর্থাৎ আমি প্রচুর পাপ করেছি।সখা আপনি যদি আমাকে একবার গঙ্গাস্নানে নিয়ে যান।                                               অর্জুনের কথা শুনে কৃষ্ণ বললেন আমি আপনার রথের সারথি আপনি যা বলবেন তাই করবো।এই বলে রথ চালিয়ে অর্জুন কে সঙ্গে নিয়ে কৃষ্ণ ঠাকুর অর্জুনকে গঙ্গা সানে নিয়ে গেলেন।                               কৃষ্ণ ঠাকুর অর্জুনকে রথে বসতে বলে একটু দূরে চলে গেলেন। অর্জুনের একটি মহৎ গুণ ছিল তিনি পশুপাখিদের ভাষা বুঝতে পারতেন।ওই সময় দুইজন লোক একটি মোরা কাঁধে করে শ্মশানে নিয়ে আসছে হরিবোল হরিবোল বলে তারা মড়াটি নামিয়ে চিতা সাজাবার কাজ শুরু করলো।চিতা সা যাবার পর তারা দেখল  কোন আগুন নেই।তারা দুজনেই কেউ একা এখানে থাকতে চাইলনা মরার কাছে তাই তারা দুজনেই বাড়ি চলে গেল আগুন আনতে।                                                                   সেই সময় একটি জীর্ণ শীর্ণ শিয়াল মড়াটিকে একা পেয়ে তাস খাওয়ার উদ্দেশ্যে মরার কাছে গেল কিন্তু শিয়ালটি তার পা দুটি শুকছে আর মাথা নাড়াচ্ছে।হাত দুটি শুকছে মাথা নাড়াচ্ছে কান দুটি শুকছে আর মাথা নাড়াচ্ছে মরার মুখ শুকে মাথা নাড়িয়ে চলে যাচ্ছে।এমন সময় একটি মোটা শিয়াল সব লক্ষ্য করে জীর্ণ শিয়ালটি কে বলল _তুই মরাটি নাখেয়ে চলে যাচ্ছিস কেন?তখন জীর্ণ শিয়ালটি  বলল আমি অখাদ্য-কুখাদ্য খাইনা।তোর খেতে হয় তুই খা।তখন মোটা শিয়ালটিকে সব কথা খুলে বলল _ওর পা দুটি কখনো হরিনাম আসরে যায়নি।ওর হাত দিয়ে কোন সদগুরু সেবা করেনি।ওর কান দিয়ে হরি কথা সবন হয়নি।ওর জিভ দিয়ে কোনদিন হরিকথা উচ্চারণ হয়নি।তাই আমি ওই অকাদ ওই কুখাদ্য খাব না । তখন মোটা শিয়াল টি বলল ওকে নাই খাস কিন্তু রথে যে বসে আছে তাকে খাবো চল। তা শুনে জীর্ণ শিয়ালটি  বলল ও তো আরো বেশি মূর্খ।যার পা হতে গঙ্গার উৎপত্তি তাকেই বলে গঙ্গা স্নান করতে নিয়ে যেতে।অর্জুন সমস্ত ঘটনা লক্ষ্য করছিলেন।সখা কৃষ্ণ এলে তার পা দুটি জড়িয়ে নিজের ভুল স্বীকার করলেন।             কৃষ্ণ ঠাকুর অর্জুনকে শিক্ষা দেয়ার জন্য বাবা মহেশ্বর নন্দী ভিঙ্গি ও  যোগমায়ার সাহায্য নিয়েছিলেন।ওই মরাটি ছিল বাবা মহেশ্বর।যে দুজন লোক বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল তারা হল নন্দী আর ভিঙ্গি। আর দুই শিয়াল হল যোগমায়া।


শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র

 সেদিন ছিল 1332 বঙ্গাব্দ।অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনেকদিন ধরে কৌতূহল ছিল পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুরের আশ্রমকে কেন্দ্র করে।


                                                                     অমর কথাশিল্পী একদিন শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের পাবনা আশ্রমে তপবন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।                          কএই সমাজের প্রতি থাশিল্পীর মনে অনেক কৌতূহল ছিল।শ্রী শ্রী ঠাকুরকে প্রথম সাক্ষাতে কৌতুহল বসতো জিজ্ঞাসা করেন আপনি বিযোগআন্ত রচনা পছন্দ করেননি একথা আমি শুনেছি।                                              পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র শিল্পীকে বললেন আমাদের প্রত্যেকের এই সমাজের প্রতি দায়িত্ব আছে।যদিও জানি সমাজ আজ  পচে গেছে।তাও সমাজকে ভালো করার চেষ্টা করতে হবে।শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বললেন সাহিত্যের মধ্যে হিত কথাটি আছে যার প্রকৃত অর্থ মঙ্গল।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আমরা যদি মানুষের মঙ্গল করতে না পারি তাহলে  সাহিত্যের লাভ কি?                                   শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন মানুষকে যদি বিয়োগান্ত দুঃখে ভরা উপন্যাস দেয়া হয় তাহলে মানুষ আরো খারাপের দিকে যাবে।                                              অমর কথাশিল্পী তার মনের সমস্ত কৌতুহল দূর হলো।কথাশিল্পী বললেন আমার প্রথম সাহিত্য রচনার পূর্বে কেন আপনার কাছে আসিনি?তাহলে এই ভুল আর হতো না।কথাশিল্পী বললেন আমি এই শেষ  জীবনে আর কি সাহিত্য রচনা করতে পারব? শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কে মনে সাহস দিলেন বললেন আপনি পারবেন।                                                                 কথাশিল্পী পাবনা আশ্রম থেকে  যাবার পর তার অন্তিম সাহিত্য বিপ্রদাস রচনা করেন।যদিও ওটি প্রকাশিত হয় অমর কথাশিল্পীর মহাপ্রয়াণের পর।     
  অমর কথাশিল্পীর অন্যান্য উপন্যাসের সঙ্গে বিপ্রদাসের অনেক পার্থক্য আছে।

বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের মানিকপুরে বনভোজন উৎসবের পেক্ষাপট

 

আজ থেকে অনেকদিন আগে কার ঘটনা।পরমপ্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র তার জৈষ্ঠ পুত্র পরম পূজনীয় শ্রীশ্রীবড়দাকে নিয়ে মানিকপুরে বেড়াতে যান।শ্রীশ্রী ঠাকুর বড়দাকে  বললেন এই মানিকপুরে যদি একদিন খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় ।  সেদিন ছিল বাংলার 1375 সন।

                      আরো বেশ কিছুদিন পর শ্রী শ্রী ঠাকুর বড়মা ও শ্রী শ্রী ঠাকুরের জৈষ্ঠ কন্যা সান্তনা মৈত্র কে সঙ্গে নিয়ে মানিকপুর এ যান।ঠাকুরের জৈষ্ঠ কন্যা সান্তনা মৌত্রের ওই মানিকপুর খুব ভালো লাগে।তিনি শ্রী শ্রী ঠাকুর কে একদিন ওখানে উৎসব খাওয়ার জন্য বললেন।   ঠাকুর ও বড়মা দুজনেই রাজী হলেন।                                                           সেদিন ছিল 9 জানুয়ারি।শ্রী শ্রী ঠাকুরের কথা মত শ্রীশ্রীবড়দা বাড়িতে রাঙ্গা বৌদি তত্ত্বাবধানে সব আয়োজন করা হলো।                                            মানিকপুর থেকে দু ফারলং দুরে সরকারি রির্জাফ ফরেস্ট দুতাবাঁধে ঐ খানে রান্না করে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হল।অনেক নর নারী উপস্থিত হলেন।        কিছূ খন পর ঠাকুরের  অসুস্থ লাগার জন্য  ঠাকুরকে  দেওঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঠাকুরের জন্য ঠাকুর ভোগ দেওঘরে পাঠানো হয়।বাকীরা মানিকপুরে থেকে উৎসব পালন করেন।                    সেই দিন থেকে প্রতি বছর 9 জানুয়ারী বনভোজন হয়ে থাকে।             

                                         

সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের টাওয়ার ঘড়ি সৃষ্টির ইতিহাস

 যুগ পুরুষোত্তম পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে গেল মেন গেট থেকে একটু দূরে পাবলিশিং হাউস এর কাছে একটি স্তম্ভ দেখা যায়। 

  এই স্তম্ভটির উচ্চতা 60 ফুট এই স্তম্ভে যে ঘড়ি টি আছে তাকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সুত্রপাত।  একদিন শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র শিষ দাকে  ডেকে বললেন সিমেন্ট গুলো অনেক দিন আছে নষ্ট হয়ে যাবে।আপনি যে কোন উপায়ে টাওয়ার ঘড়িটি তৈরি করে ফেলুন। শীষদা ইঞ্জিনিয়ারদের ডেকে বললেন ওই টাওয়ার ঘড়ি তৈরির কথা।তারা প্রত্যেকেই বললেন ওই টাওয়ার  ঘড়ি একদিনে তৈরি করা যাবে না।                                                                                              শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন তা হবে না এক দিনেই করতে হবে ।  ইঞ্জিনিয়াররা দেখে বললেন একদিন এই খুব বেশি হলে দশ ফুটের বেশি পড়া যাবে না।   কিছুদিন পর আবার শীষ দাকে ওই ঘড়ি তৈরির কথা বললে শীষদা বললেন একদিনে ওই ঘড়ি তৈরি হবে না বলে চলে গেলেন।                                                         এরপর শ্রী শ্রী ঠাকুর খগেন দা কে ডেকে বললেন এই ঘড়ি করা যায়।খোকনদা বললেন ঠাকুর ইঞ্জিনিয়াররা যখন বারণ করেছে তখন একদিনে করা যাবে না আমিও মার খাবো আপনিও খারাপ হবেন।                                                                                                                                                          শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আজই ভোর থেকে শুরু করতে হবে কাজ লোকজন সব রেডি করুন ।খগেন দা ঠাকুরের কথা মত  লোকজন তৈরি করলেন।        তাদেরকে রাত্রিবেলায় আনন্দবাজার প্রসাদ খাইয়ে ভোর থেকে কাজ শুরু হল।শ্রী শ্রী ঠাকুর অস্থির  হয়ে পড়েছেন।এক জন লোক পাঠিয়ে খবর নিচ্ছেন।সকাল ছটার মধ্যে নিচের 6 ফুট ঢালাই হয়ে গেছে।সকাল আটটার মধ্যে উপরে আরো ছোট হয়ে গেছে ঢালাই।                                                   এদিকে শ্রী শ্রী ঠাকুর খগেন দা কে সব বুঝিয়ে রেখেছেন শীষদা এলে কি বলতে । শীষদা এসে হাজির তিনি ঘড়ি তৈরি হচ্ছে দেখে রেগে খাপ্পা হয়ে গেলেন।খগেন দা কে নিয়ে ঠাকুরের কাছে গেলেন।শ্রীশ্রী ঠাকুর খগেন দাকে বললেন তুমি শীষকে বলনি।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন শীষদা খগেন দা আমাকেও বলেনি আপনাকেও বলেনি।খগেনদা ঠাকুরের শিখানো মত কথাগুলি বলতে শুরু করলেন খগেন দা  বললেন ঠাকুর অনেক কষ্টে সিমেন্ট জোগাড় করেছি নষ্ট হয়ে যাবে তাই কাজ শুরু করে দিয়েছি আমাকে জুতা পিটা করুন ঠাকুর।                                                                                                               শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন যা করেছ এখন শীষ দাকে নিয়ে বাকি কয়টি শেষ করুন।শীষদা রেগে বললেন ওই ঢালাই পড়ে যাবে যে কাজ শুরু করেছে সেই করুক আমি পারবো না বলে চলে গেলেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর খগেন দা কে ইশারা করে আরো কাজ শুরু করতে বললেন।   ঠিক দুপুর দুটোর সময় কাজ শেষ করে খগেন দা শ্রী শ্রী ঠাকুরের কাছে গেলেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর খগেন দা কে জিজ্ঞাসা করলেন এখনো ঢালাই টি আছে তো।খগেন দা মাথা নেড়ে বললেন হে ঠাকুর এখনো আছে।শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন পরম পিতা রক্ষা করবেন।খগেনদা তখন বললেন আপনার পরমপিতা রক্ষা করুন না করুন আমার পরমপিতা যদি রক্ষা না করেন আমার অবস্থা খারাপ।                                                                                                                                  বর্তমানে সংস্কারের পর এর নাম হয় ঘড়িঘর।                                                                                                                 এটি তৈরি হয়েছিল 1946 সালে। 

শুক্রবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২০

এক 22 বছরের রিকেট রুগীর পরম দয়াল ঠাকুর জীবন রক্ষা করলেন

 

পানকৃষ্ণ সাও দার কথা।

পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎসঙ্গ অনুষ্ঠিত হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পানিপারুলে।     ঐ প্রসঙ্গে ঠাকুরের আলোচনা করছিলেন এক ঋত্বিক দাদা তার আলোচনায় একটি অংশ ওই রিকেট রোগীর মনে দাগ কাটে।                                  ওই আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল যদি কেউ যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলে তার অকাল মৃত্যু ঘটে না।এই কথা শুনে ওই 22 বছরের রিকেট রোগী ওই ঋত্বিক দাদার কাছে সবিস্তারে আরো জানেন সত্যিই কি যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চললে অকাল মৃত্যু ঘটে না। ওই ঋত্বিক দাদা বলেন একথা আমার কথা নয়। একথা আমার পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের কথা অর্থাৎ এ কথার কোন ভুল হবেনা।                                                             ওই 22 বছরের রিকেট রোগীটি তখন তার জীবনের কথা সব বললেন - তিনি বললেন আমার 22 বছর বয়স আমার ওজন 22 কেজি।আমি অনেক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু সবার এক কথা।সব ডাক্তারবাবুরা বলছেন আমি আর বেশিদিন বাঁচবো না।আমার বাঁচার মেয়াদ আর তিন মাস ডাক্তারবাবুরা বলেছেন।ওই ডাক্তারবাবুরা বললেন বাড়িতে যেয়ে ভালো করে মাছ মাংস খান ডাক্তারবাবুরা যা বললেন আমি তাই করছি।কিন্তু আমার শরীরের ওজন 22 কেজি আর বেরোয় না।     তখন ওই ঋত্বিকদা যার মাধ্যমে পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত হয়ে যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলতে থাকলেন। কিছুদিন যাওয়ার পর ওই ঋত্বিক দাদার সঙ্গে আরো দেখা হয় ওই রিকেট রোগীর।তিনি বলেন আমার খুব একটা উন্নতি এখনো হয়নি।তখন ওই ঋত্বিক দাদা বললেন আপনি আমার সঙ্গে আমার পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রম দেওঘরে চলুন।ওই রিকেট রোগী তখন ওই ঋত্বিক দাদার সঙ্গে দেওঘর এই জান।এবং তিনি ঠাকুরের কাছে বলেন ঠাকুর সব ডাক্তাররাই আমাকে বলেছেন আমার আয়ু 3  মাস।আমি কি আর বাঁচবো না ঠাকুর।পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আপনি অনেক দিন বাঁচবেন কিন্তু আপনাকে নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হবে।তা শুনে ওই রিকেট রোগী রাজি হলেন।                                         তিনি বাড়ি ফিরে এসে নিরামিষ খাওয়ার কথা বাড়িতে বলতেই তাহার বাড়ির লোক সবাই খুব রাগা রাগী । বাড়ির লোক প্রত্যেকেই  বললেন নিরামিষ খেলে আর এক দিনও বাঁচবি না।কিন্তু ওই রিকেট রোগী নিরামিষ খাবেই।ওই রিকেট রোগী বললেন ডাক্তাররা বলেছেন আমি আর তিন মাস বাঁচব।আমি এখন আমার ঠাকুরের কথা শুনে চলবো।তা শুনে ওই রিকেট রোগের কাকা রিকেট রোগীকে প্রচুর মারধর করেন।কিন্তু রিকেট রোগী ঠাকুরের কথামতো নিরামিষ আহার গহন করতে । কিছুদিন পর তার শরীরের উন্নতি ঘটে।                     তার ওজন আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে।বর্তমানে তার বয়স 77 বছর।তিনি এখন পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের পাঞ্জা ধারী সহপতি ঋত্বিক। তিনি ঘুমন্ত অবস্থায় শ্রী শ্রী ঠাকুরের নাম করে চলেন।নাম করতে করতে অচৈতন্য হয়ে পড়েন।কিছুক্ষণ পর আবার চৈতন্য ফিরে আসে । বর্তমানে তিনি পানিপারুল মন্দির এর সঙ্গে যুক্ত সুস্থ অবস্থায় আছেন।

বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০

সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে নরকবাস

 পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষায় দীক্ষিত প্রত্যেকটি মানুষ এই এই কথাটি সকলেই জানেন।                                                      আমরাও যদি সৎ মানুষের সঙ্গে থাকি আমাদের প্রকৃতি সৎ হবে।কিন্তু আমরা অসৎ মানুষের সঙ্গে থাকি আমাদের প্রকৃতি অসৎ হবেই।                       এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি কৌতুকের ছলে সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে ।                    একটি গোবরে পোকা ও একটি ভ্রমর  পকার মধ্যে খুবেই ভাব।তারা কিছু সময়ের জন্য একে অপরের ভালো মন্দের খবরা খবর নিত।একদিন ভোমর পোকা গোবর পোকাটিকে বলল বন্ধু  তুমি পত্যহ গোবরে থাক,গোবর খেয়ে থাক।তুমি আজ আমার সঙ্গে চলো আজ গোবর খেতে হবে না।তুমি আমার মত ফুলে ফুলে মধু খাবে চলো।সেই কথা শুনে গোবরে পোকা টি ওই ভ্রমর প্রকার সঙ্গে মধু খেতে গেল।                                                           ভ্রমর পোকাটি মধু খেয়ে বাড়ি যাবে বলে ঠিক করল সে গোবরে পোকার টিকেও বাড়ি যাওয়ার কথা বলল।কিন্তু গোবরে পোকা প্রথম দিন মধু বেশি খাওয়ার জন্য ওই ফুলের ভিতরেই বিশ্রাম নিল।ভ্রমর পোকাটিকে বাড়ি যেতে বলল।এদিকে ওই গোবরে পোকা টি যে ফুলে বিশ্রাম  নিচ্ছিল সেই ফুলটি রাত্রিতে পাপড়িগুলি গুটিয়ে গেছে। পরের দিন সকালবেলায় মালি এসে নিত্য পূজার জন্য ফুল তোলার সময় ওই গোবরে পোকা থাকা ফুলটি তুলে নিয়ে যায়।তখন দিনের আলো ফোটায় ফুলটি আবার পাপড়ি গুলো । গোবরে পোকা এখন লক্ষ্য করে সে দেবতার পদতলে আশ্রয় পেয়েছে।সে যদি ভ্রমর পকার কথা না শুনছো তাহলে দেবতার পায়ে জায়গা হতো না।তাকে গোবর খেয়ে দিন কাটাতে হতো।                                                                         গোবরে পোকা কি ভাবল সৎ এর ছিলাম বলে আজ আমি দেবতার পদতলে আছি।                       ফুল বিভিন্ন কাজে ব্যবহার হয়।শবদেহ কাজে ফুল ব্যবহার হয়।আবার দেবতার পূজায় ফুল লাগে।        তাই আমি সৎ ভ্রমর পকার  সঙ্গে  ছিলাম বলে দেবতার পায় আশ্রয়  পেয়েছি।                                তাই আমাদের প্রতি প্রত্যেকের সৎ আশ্রয় নেয়া । পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের বলা সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস অসৎ সঙ্গে নরকবাস প্রতি প্রত্যেকের মনে রাখা দরকার।



সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০

পুত্রবধূকে আপন করার একটি তুক

 


প্রত্যেক বাড়িতে দেখা যায় শাশুড়ি আর বৌমার সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়।তাদের সম্পর্ক অহি-নকুল বা একটা চলতি কথা আছে আদা কাঁচকলা সম্পর্ক।                                                                   এর ফলে বাড়িতে একটা অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি ।   

পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র পুত্রবধূকে আপন করার জন্য একটি তুক বললেন _শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন পরের মেয়ে বাড়িতে এলেই তাকে আপন করে নিতে হয়।সে যেমন প্রকৃতির হোক না কেন।তাকে সবার কাছে বলতে হবে আমার বউমা মত আর কারো কারোও বৌমা  নেই।যেমন গুনে তেমনি কথাবার্তা সবাইকে আপন করে নিয়েছে।তাহলে সেই যদি খারাপও হয় আস্তে আস্তে সেও ঠিক হয়ে যাবে।                                                     তাছাড়াও কিছুদিন পর সংসারের দায়িত্ব তার উপর নেস্ত্য করতে হবে।যাতে বৌমা নিজের সংসারের কথা ভাবতে পারে।তাহলে সে যদি খারাপ প্রকৃতির ও হয় আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।


রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০

মানুষ মৃত্যুর পরে কিরূপে থাকে

 


মানুষ মৃত্যুর পরে কিরূপে থাকে? বা মানুষ সত্যি কি মানুষরূপে আবার ফিরে আসে?                                      পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র কে এক গুরু ভাই মৃত্যুর পর মানুষ কিরূপে থাকে তা জানার জন্য জিজ্ঞাসা করলে পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র বলেন কি ভাব নিয়ে মৃত্যুবরণ করে এবং সে ইষ্ট পরায়ন কিনা তার উপর নির্ভর করে কিরূপে থাকবে।                                                      শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন কেও হয়তো খুব ইস্ট পরায়ণ সে মৃত্যুর সময় ভাবছে আমি তো মারা যাবো কিন্তু আমার গরুটি খুঁটিতে বাধা আছে কে তাকে সরাবে। যেহেতু লোকটি ইষ্ট পরায়ণ ছিল সেই সময় গরুর কথা ভাবতে ভাবতে মৃত্যুবরণ করলে ওই ব্যক্তি গরু রূপে  জন্মগ্রহণ করবে ।ইষ্ট পরায়ন থাকার জন্য ওই ব্যক্তি একটি সৎ মিনুষের গৃহে গরু রুপে থাকবে এবং গরুটি ভালো সেবা যত্ন পাবে।ইষ্টমুখি থাকার জন্য পুনরায় মৃত্যুর পর মানুষ রূপে জন্ম গ্রহণ করবে।                                                    কিন্তু যে মানুষ ইস্টো মুখী নয় সে মৃত্যুর সময় যদি ভাবে বাঘ সিংহ কথা তখন সে যেভাব নিয়ে মৃত্যুবরণ করবে সে রুপে জন্মগ্রহন করবে। কিন্তু যেহেতু মানুষটি ইষ্টমুখি ছিলনা সেই জন্য বনে বনে ঘুরে বেড়াবে এবং পশুর  মৃত্যুর পর আর মানুষরূপে ফিরে আসতে পারবে না।

শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০

দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ ও কৃষ্ণের বস্ত্রদান


 ধৃতরাষ্ট্রের রাজসভায় যখন দূঃশাসন দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ করছিলেন সেই সময় শ্রীকৃষ্ণের বস্ত্র দান করা।পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের ইষ্টভৃতির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই ঘটনা।                        ধৃতরাষ্ট্রের রাজসভায় পাণ্ডব ও কৌরবদের যখন আলোচনা হচ্ছে সেই সময় এক দুষ্টু রাজা ছিলেন শিশুপাল।তার দেবতাদের বর দিয়েছিল তিনি 101 টা খারাপ কাজ করতে পারবেন।                                                           ওই দুষ্টু রাজা খারাপ কাজ করতে করতে তার খেয়াল ছিলনা কখন 101 টি খারাপ কাজ হয়ে গেছে।                                                                    ওই শিশুপাল উত্তেজিত হয়ে কৃষ্ণ ঠাকুর কে গালাগালি দিতে শুরু করেন।কৃষ্ণ ঠাকুর তখন সুদর্শন চক্র দিয়ে রাজা শিশুপালের মস্তক ছেদন করেন। মস্তক ছেদন এরপর ওই চক্র ফিরে আসার সময় কৃষ্ণ ঠাকুরের অঙ্গুলিতে লাগে এবং রক্তপাত । সেই সময় দ্রোপদী ওই জায়গায় উপস্থিত ছিলেন।তিনি নিজের কাপড় ছিড়ে কৃষ্ণ ঠাকুরের হাতে বেঁধে দেন।                                                                       এখানে আরেকটি ঘটনার কথা উল্লেখযোগ্য।দূর্যোধন ছিলেন খুবই কুচক্রী তিনি সব সময় ভাবতেন পান্ডবদের কিভাবে ক্ষতি করা যায়।একদিন তিনি দুর্বাসা মুনি কে পাঠালেন পাণ্ডবরা যখন অজ্ঞাতবাসে ছিলেন সেই জায়গায়।সেই সময় পান্ডবদের খাবার ঠিকঠাক ছিল । এদিকে দুর্বাসা মুনি ছিলেন খুবই রাগী তার একটুকু দোষ হলেই অভিশাপ দিতেন।ওই দুর্বাসা মুনি কুচক্রী দুর্যোধনের কথা শুনে তা সহস্য শিষ্য কে নিয়ে পান্ডবদের অজ্ঞাতবাস এ যান।জ্যেষ্ঠ  পাণ্ডব যুধিষ্ঠির তখন দুর্বাসা মুনি কে শিষ্যদের নিয়ে স্নান করে আসতে বললেন।এদিকে বাড়িতে খাবার নেই।কৃষ্ণ ঠাকুর আগে থেকে তা জানতেন।তিনি আগে গিয়ে দ্রৌপদীর  কাছে কিছু খাবার চান।দ্রৌপদি দেখেন হাঁড়িতে কোন খাবার নেই।কৃষ্ণ ঠাকুর সবই জানতেন।তিনি বললেন হারি খুঁজে দেখতে।দ্রৌপদী তখন একটি ভাতের কনা খুঁজে পান এবং কৃষ্ণ ঠাকুর কে তা দেন।ওইযে কৃষ্ণ ঠাকুর কে কনা দিয়েছিলেন সেই জন্য কৃষ্ণ ঠাকুর দুর্বাসা মুনির সহস্য শিষ্যদের খাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।       এই দুটি ঘটনা থেকে আমরা বুঝিতে পারি পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুরের ইস্ট ভীতি ঘটনার কথা।


বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০

শ্রীভগবান ও তার প্রিয় ভক্ত




 শ্রী ভগবানের এক পরম ভক্ত ছিলেন।তিনি ভগবানকে বলতেন আমি আপনার সব সময় নাম ধ্যান  করি কিন্তু অনেকেই আপনার নাম ধ্যান করে না তাও তারা আমার থেকে বেশি সুখী।                   ওই বক্তব্য বলতে থাকে ও ভক্তটি। ভগবান বলেন আমি সকলের জন্য একেই ব্যবস্থা করেছি অর্থাৎ আমার দৃষ্টি সকলের দিকে সমান।                          কিন্তু ওই ভক্ত সে কথা শুনতে রাজি নয়।ওই ভক্ত বলে আমার যত রোগ-শোক দারিদ্র আছে তা দূর করুন।                                                                  কিন্তু ভগবান সেই একই কথা ওই ভক্তকে বলতে থাকেন।ভক্ত টি ও ভগবান কে একই কথা বারবার বলতে থাকে।                                                           শ্রী ভগবান দেখলেন ভক্ত টি একই কথা বারবার বলছে।শ্রীভগবান তখন ওই ভক্তকে বললেন একটি উপায় আছে,এই কথা শুনে ভক্ত টি আত্মহারা হয়ে গেল।ভক্তটি ভগবানকে বললেন বলুন কী উপায় । শ্রী ভগবান বললেন ঐ মন্দিরের পাশে একটি পুরানো বৃক্ষ আছে ঐ বেক্ষে আপনার যত দূঃখ কষ্ট আছে তা লিখে ঐ পূরানো  বৃক্ষে রেখে  আসুন তা শুনে ভক্ত খুব খুশী।ভক্ত একটু আগাতেই ভগবান  বললেন আমার একটি শর্ত আছে।ঐ ভক্ত ভগবানের শর্তের কথা শুনতে চাইলেন।ভগবান বললেন আপনি যখন নিজের দুঃখ কষ্ট যা আছে তা বাঁধার সময় ঐ গাছে আগে থেকে যে পুটলি আছে।ঐ গুলোর মধ্য থেকে আপনার জন্য একটা পুটলি নিয়ে আসবেন।



রবিবার, ৩০ আগস্ট, ২০২০

উত্তরাখন্ডের ভূমিকম্পের 30 জন মায়ের জীবন রক্ষার ঘটনা

 


আজ থেকে অনেক দিন আগের ঘটনা।উত্তরাখণ্ডে আই সি এস (ICS) ট্রেনিং এর জন্য 30 জন মা গিয়েছিলেন।                                                         ঐ মাদের মধ্যে একজন মা পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎদীক্ষায় দীক্ষিত এক মায়ের প্রত্যহ যজন যাজন ইষ্টভৃতি পরায়ন হয়ে চলা এক মায়ের ঘটনা।                                            6 মাস আগে পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের সৎ দীক্ষা নিয়ে ওই ট্রেনিংয়ের জন্য যান।         তখনকার দিনে মোবাইলের এত প্রচলন ছিলনা।   ঐদিন ওই 30 জন মা ট্রেনিং এর কাজ একটি উত্তরাখণ্ডে গ্রাম পরিদর্শন করেছিলেন। সেই সময় ওয়ারলেস এর মাধ্যমে জানতে পারলেন আজ উত্তরাখণ্ডে ভূমিকম্প হবে।                                     এবং বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।সেদিন ছিল আমাবশ্যা রাত্রি। সেদিন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে সবার কাছে যা খাবার ছিল তা নিয়েই একটি প্রাইমারি স্কুল ঘরে সবাই আশ্রয় নিলেন।                                               হঠাৎ করে মাঝ রাত্রিতে পরম দয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুরের সদ দীক্ষায় দীক্ষিত মা টির পা টি হঠাৎ করে নাড়া দিয়ে ওঠে।ওই মাটির তখন ঘুম ভেঙে যায়।ওই মাটি তখন দেখতে পান পায়ের  সামনে আলো পড়েছে সেই আলোতে দেখা যাচ্ছে একটি কাল কেউটে সাপ সামনে দাঁড়িয়ে আছে।                 তখন ওই মাটি সকলকে ডাকাডাকি করে সাপ সাপ বলে সবাইকে বাইরে বার করে নিয়ে যান।কখন বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি পড়ছে।বাকি মা রা ওই দীক্ষিত মাটিকে বলছেন এই বৃষ্টিতে ভিজছি শুধুমাত্র ঐ শাপের জন্য।                                        কিছুক্ষণ পর খুব জোরে একটা শব্দ হলো অমাবস্যা রাত থাকার জন্য সেখানে কিছু দেখা যাচ্ছিল না তারপর সে দিন বৃষ্টির  জন্য ওই গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না।                                           কিছুক্ষণ পর দেখা গেল যে স্কুল বাড়িতে ওই মায়েরা ছিলেন সেই বাড়িটি সম্পূর্ণরূপে ভেঙ্গে পড়েছে।                                                                 এই মা টি পরে চিন্তা করলেন ওই অমাবস্যা রাত্রিতে বিদ্যুৎহীন গ্রামে আলো হলো কি করে।             ওই মা তখন পরম দয়াল শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের দয়ার কথা বুঝতে পারেন।

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২০

হেম কবির এ জিবনে রক্ষা পাওয়া সাত জনম আগের ঘটনা

 


হেম দা উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন।তিনি বিদেশে বহু জায়গায় গিয়েছেন।                                          কাজের সঙ্গে সঙ্গে মদ্যপান এবং বিভিন্ন প্রতিতা নারীদের কাছে প্রতিনিয়তই যেতেন।এইভাবে উশৃংখল জীবনযাপন ছিল তার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার।                                                                 এইভাবে চলতে চলতে হেম দা অসুস্থ হয়ে পড়েন।এই সময় এক দাদা হেম দা কে শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্রের আশ্রমে নিয়ে যান।                          শ্রী শ্রী ঠাকুরের কাছে থাকার জন্য হেম দাকে বলা হলে হেম দা বলেন আমি থাকতে পারি প্রতিদিন আমার মদ চাই।এই কথা শুনে ঠাকুর বললেন আমি রাজি।কিন্তু আমার একটি শর্ত আছে আমি নিজ হাতে আপনাকে মদ খাওয়াবো।হেম দা  শুনে রাজি হলেন।                                                                    এরপর প্রতিদিন হেম দার  জন্য মদ এনে ঠাকুর নিজ হাতে খাওয়াতে থাকেন।                                  এদিকে একটা কথা উঠে যায় ঠাকুর নিজে হাতে এক জনকে মদ দেন।চারিদিকে ঠাকুরকে নিয়ে নানা মন্তব্য শোনা যায়।এই কথার পর অনেক গুরু ভাই আশ্রম ছেড়ে চলে যাওয়ার কথা । তাতো ঠাকুরের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই।শ্রী শ্রী ঠাকুর হেম দা কে মদ খাওয়াতে থাকেন।                                      একদিন যে গুরু ভাই হেম দার জন্য মদ আনতেন ঠাকুরের নামে অপপ্রচার হচ্ছে বলে সেদিন মদ আনলেন । এদিকে শ্রী শ্রী ঠাকুরও কিছু খাবার খেলেন না।তখন সবাই চিন্তায়   পড়লেন।যখন জানা গেল দ্বিপ্রহর পেরিয়ে গেছে ঠাকুর কিছু খাবার খান নেই হেম দাকে মদ না এনে দেয়ার জন্য।তখন  দাদা হেম দার জন্য মদ অনলেন।           শ্রীশ্রী  ঠাকুর না খেয়ে আছেন শুধুমাত্র হেমদাকে মদ না দেওয়ার । তখন হেমদা মদের বোতল মাটিতে ছুড়ে । সেদিন তিনি প্রতিজ্ঞা করলেন আর কোনদিন মদ খাবেন না বলে।হেম দা বললেন আমি আগে বুঝতে পারিনি ঠাকুর মদ দিয়ে আমার মদ খাওয়া ছড়াবেন।                                                    এরপর হেমদা শ্রী শ্রী ঠাকুরের আশ্রমে থেকে যান।এবং তিনি শ্রী শ্রী ঠাকুরের অনেক গান লেখেন।         অনেকদিন পর শ্রী শ্রী ঠাকুর কে বলেন ঠাকুর সাত জন্ম আগে আমি কি ছিলাম তা বড় জানতে ইচ্ছে করে।শী শী ঠাকুর বলেন সাত  জন্ম থাক এই জন্মে পরম পিতাকে পেয়েছেন।পরমপিতা কে নিয়ে চলুন।                                                                   হেমদা কিছুদিন ছাড়া ছাড়া একই প্রশ্ন করতে থাকেন।শ্রী শ্রী ঠাকুর একেই উত্তর দেন।                   তখন হেম দা ভাবলেন ঠাকুর একথা জানেন না বলে আমাকে উত্তর দিচ্ছেন না।                              হেম দা তখন তিব্বতে লামাদের কাছে গিয়ে সাধন করে জানবেন বলে শ্রী শ্রী ঠাকুর এর কাছে অনুমতি নিয়ে একটু আগাতেই শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন হেমদা সাত জনম আগের ঘটনা শুনবেন নাকি।হেমদা বললেন বলুন ঠাকুর।                                                   শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন সাত জনম আগে আপনি বৌদ্ধ ভিক্ষুক । কঠোরভাবে প্রবৃত্তি গুলো দমন করেছিলেন বলে এ জীবনে এত উশৃংখল হয়েছেন। তা শুনে হেমদা বললেন আমাকে তিব্বতে না যেতে দেওয়ার জন্য  শ্রীশ্রী  ঠাকুর একথা বলছেন।               ঠাকুর তখন বললেন এই জীবনের দু একটা ঘটনার কথা সুনবেন নাকি হেমদা? হেমদা বললেন বলুন । শ্রী শ্রী ঠাকুর বললেন আজ থেকে 18 বছর আগে এক বন্ধুর বাড়িতে তার ছেলের অন্নপ্রাশনে গিয়ে বাতাবি লেবু তলায় এক মা বাথরুমে বসে ছিল আপনি তাকে জড়িয়ে ধরেছিলেন।আজ থেকে 12 বছর আগে এক বন্ধুর বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়ে পরিশ্রান্ত স্ত্রী দরজা ভেজিয়ে যখন বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছিল আপনি তাকে বেআব্রু করেছিলেন। এর পর হেমদা আর কিছু শুনতে চাইলেন না।


পুত্র সন্তান লাভ করার তূক

 পরম দয়াল পরম প্রেমময় শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূলচন্দ্র পুত্র সন্তান হওয়ার একটি তুক দিলেন।  অনেক মায়েদের অনেক দিন বিবাহর পরেও যাদের কোন সন্তা...